ঘটনা ঘটার জন্য কোন পুর্ব নির্ধারিত শিডিউল ঠিক করতে হয় না। ঘটনা ঘটে তার নিজস্ব গতিতে, আমরা শুধু ঘটনার সাক্ষী হয়ে পরে থাকি আজীবন। ছুটির দিন, সকাল বেলা, কি যেন একটা জরুরী কাজে ফার্মগেইট যাব, কাউন্টার সার্ভিস বা ডাইরেক্ট বাস বলতে যা বুঝায় সেই বাসের দেখা পাচ্ছিনা দির্ঘক্ষণ!! রোদে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে চামড়া পুরে তামাটে বর্ণ ধারন করেছে অনেক আগেই, এখন ঘামে শরীরের সাথে শার্ট লেপ্টে আছে! ভাগ্যিস আমি পুরুষ! এই ভাবে একটা মেয়ে দাড়িয়ে থাকলে কতজনের দৃষ্টি দ্বারা যে ধর্ষনের শিকার হতো তা বলা মুস্কিল!। ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থায় কোনমতে ঠেলেঠুলে "লোকাল বাস" নামক এই আজিব যন্ত্রটায় সাওয়ার হলাম!! লোকাল বাসে উঠতে অবশ্য হেব্বি মজা লাগে!! কোনমতে শরীরটাকে বাসের গেট পর্যন্ত নিলেই কেল্লা ফতে!! পেছনের লোকেরা নিজ উদ্দেগ্যে ঠেলা দিয়ে বাসের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়!!! যাই হোক!! মানবশ্রোত নামক আজব লিফটে চড়ে আপাতত বাসের ঠিক মাঝ বরাবর দাড়িয়ে আছি, বাসের ছাদের সাথে লটকানো জং ধরা স্টিলের একটা রড ধরে শরীরের ভাসসম্য ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। গরম আর ঘাম এই দুইয়ের যন্ত্রনায় এতই অস্থির ছিলাম যে আমার ঠিক ডান পাশের জোরা সিটের একটিতে যে একজন সুদর্শনা তরুনী বসে আছে সেটা খেয়ালই করি নাই!! জিন্স প্যান্ট আর শার্ট পরিহিত আল্ট্রা মর্ডান ওই মেয়েটার ঠিক পাশেই কালো মতন একলোক! শ্রমিক শ্রেনীর হবে হয়তো!! শালার কপাল একখান!! জীবনে তো কম বাসে চড়লাম না এখন পর্যন্ত কোন সুন্দরীর পাশে বসার মধুর অভিজ্ঞতা হয় নাই কখনো!! আফসোস!! বিরাট আফসোস!!!
একজন মোটামতন লোকের ধাক্কায় সুন্দরী দেখার সুবর্ন সুযোগটা বাদ দিয়ে তার দিকে তাকালাম!! ভাই পিছে যান!! আদেশের সুরে বলল লোকটা!! ইচ্ছা ছিল কান বরাবর একটা... continue reading
Comments (10)
হুমায়ুন আহমেদের জন্ম দিনের শুভেচ্ছা।
তিনি শায়িত ছিলেন গাঢ় কব্বরে
যার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বেঁধে দেয়া,
গভীরতা নয়।
কব্বরে শুয়ে তাঁর হাত কাঁপে পা কাঁপে
গভীর বিস্ময়বোধ হয়।
মনে জাগে নানা সংশয়।
মৃত্যু তো এসে গেছে, শুয়ে আছে পাশে
তবু কেন কাটে না এ বেহুদা সংশয়?
শুভ জন্মদিন হুমায়ুন আহমেদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় লেখক এবং কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ৬৫ তম জন্মদিনে আমার বিনম্র শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধাঞ্জলী।