Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ইকবাল হোছাইন ইকু

১০ বছর আগে লিখেছেন

ব্যক্তিত্বের বিকাশ

 

ব্যক্তিত্বের পূর্ব কথাঃ
আমরা জানি মানুষ বলতে মানবতা নয়; কিন্তু মানবতা বলতেই মানুষ। মনবীয় গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিই মানবতার ধারক ও বাহক। ব্যক্তি বলতে ব্যক্তিত্ব নয়; কিন্তু ব্যক্তিত্ব বলতেই ব্যক্তি। আর তাই ব্যক্তি বলতে কোনো সাধারণ একজন মানুষকে বুঝায়।
মানুষ যেখানে ব্যক্তিত্ব ও মানবতা সেখানে। কিন্তু মানুষ যেখানে নেই; ব্যক্তিত্ব ও মানবতা সেখানে নেই। মানব জীবনের সবকটি গুণাবলীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল ব্যক্তিত্ব ও মানবতা। আর ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘাটানোর জন্য ব্যক্তি স্বধীনতা প্রয়োজন। কারণ সুপ্ত মেধা, সুপ্ত ক্ষমতা, সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর নামই ব্যক্তিত্ব বিকাশ।
জীবন ধারণের পক্ষে যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি অপরিহার্য তেমনি জীবন যাপনের জন্যও ব্যক্তিত্ব অপরিহার্য। ব্যক্তিত্ব বলতে আমরা সাধারণত বুঝি আমাদের নিজস্ব সত্তার যে সমস্ত গুণ আছে সেগুলোকে সুষ্ঠ বিকাশের সঠিক পথে চালানো। অর্থাৎ এক কথায় নিজস্ব গুণাবলীর প্রকৃত প্রতিফলন ঘটানো। মানব জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই এর প্রয়োজন রয়েছে। আবার ব্যক্তিত্ব বলতে কিন্তু উচু কণ্ঠস্বর, ভাবভঙ্গি, দৃষ্টি, চেহারা ও অস্বাভাবিক উচ্চতাকে/শরীরকে বুঝায়না।

ব্যক্তিত্ব যাঃ
-ব্যক্তিত্ব হল এমনই কোনো সীলমোহর যার ছাপ আমরা মানুষের উপর রেখে যাই। ব্যক্তিত্ব হল কার্যকরী সম্পদ।-হারর্বার্ড ক্যাশন
-ব্যক্তি জীবনের ব্যক্তিত্বের সীমারেখা নির্ধারিত হয় কথাবার্তায়, আচার-আচরণে, চালচলনে, ধ্যান-ধারণায় ও মন-মানসিকতায়।
-সাফল্যের চাবীকাঠি
-চৌম্বক শক্তি
-অগ্রণী শক্তি বা এগিয়ে নেয়ার শক্তি
-মানুষের চালনা শক্তি
-একটি আদর্শ, একটি দর্শন
-চারিত্রিক গুণাবলী
ব্যক্তিত্ব হীনতা যা ঘটায়ঃ
-ব্যক্তিত্বহীনদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ থাকেনা
-আত্ম-নির্ভরশীল হতে পারেনা/পরনির্ভরশীল হয়ে পরে
-আত্ম-জ্ঞান, আত্ম-শিক্ষা, আত্ম-উপলব্দি থাকেনা
-আত্ম-বিশ্লেষণ, আত্ম-সমালোচনা, আত্ম-জিজ্ঞাসা ও আত্ম-শুদ্ধি করতে পারেনা
-আত্ম-ত্যাগের মন-মানসিকতা হারিয়ে ফেলে
-আত্ম-সম্মান করেনা
-মানবতা লোপ পায়
-ইচ্ছা, স্বপ্ন, লক্ষ্য হারায়
-ভয় পায়
-হীনমন্যতায় ভোগে
-কর্মদক্ষতা হারায়
-সর্বোপরি ব্যর্থ হয়
ব্যক্তিত্ব অর্জনের ফলে যা হয়ঃ
-সমস্ত বাধা, ভয়, হীনমন্যতা, দুশ্চিন্তা, সন্দেহ, ঘৃণা, ঈর্ষা, হতাশা, ক্ষতি, ব্যর্থতা, কদর্যতা, তিক্ততা, কষ্ট, অশান্তি ইত্যাদি দূর/জয় করা যায়
-প্রয়োজনের সময় কর্তৃত্বের অবস্থা দান করবে। ব্যক্তিত্বের শক্তি আপনার ধারণার বাইরে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
-গ্রহণযোগ্যতা লাভ করা যায়
-প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়
-প্রভাব বিস্তার করা যায়
-নেতৃত্ব দেয়া যায়
-জনপ্রিয় হওয়া যায়/ খ্যতি লাভ হয়
-সাফল্য পাওয়া যায়
-শ্রদ্ধা পাওয়া যায়
-ক্ষমতা দখল করা যায়
-বন্ধু লাভে সহায়ক হয়
-বেচে থাকার আনন্দ পাওয়া যায়
-নিজেকে জানা/ আবিষ্কার করা যায়
-অন্ধভাবে ভুল করার হাত থেকে রক্ষা করবে
ব্যক্তিত্বঃ
আভিধানিক অর্থ-ব্যক্তি বিশেষের বৈশিষ্ট, স্বপ্রধান্য, আত্মকেন্দ্রিকতা, ব্যক্তিগত অবস্থা, বিশেষভাবে খ্যাতিমান, কোনো ব্যক্তির শারীরিক বৈশিষ্ট, স্পষ্টতা, পার্থক্য ইত্যাদি। ইংরেজিতে personality, individualism, distinctness.

ব্যক্তিত্ব গঠনঃ
-প্রখর বাস্তব বুদ্ধি, চতুরতা ও সহিষ্ণুতা থাকলে পুঁথিগত শিক্ষা না থাকা সত্তেও ব্যক্তিত্ব পূরণে বাধা হবে না। কারণ ব্যক্তিত্ব ধীরে ধীরে গড়ে উঠে। তার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
-আমাদের সহজাত ক্ষমতাকে নমনীয় করে তুলতে হবে। নমনীয় করতে হবে তার ইচ্ছা, বাসনা, আবেগ আর কল্পনাকেও। আর এই পথধরেই ব্যক্তিত্বকে গঠন করতে হয়।

ব্যক্তিত্ব গঠনে যা করতে হবেঃ-
-তর্ক করা যাবে না (যুক্তিপূর্ণ তর্ক হতে হবে)
-কথার সাথে কাজের মিল রাখা
-করুনার পাত্র হওয়া যাবেনা
-শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে
-নিরপেক্ষভাবে কথা বলা
-একান্ত গোপন বিষয় কাউকেই বলা যাবেনা
-নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে কাউকে নাক গলাতে দেয়া যাবেনা
-অনধিকারচর্চা করা যাবে না
-অন্যের মতকে শ্রদ্ধা করতে হবে
-জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করা
-স্মার্ট হতে হবে-
:পরিচ্ছন্ন
:দক্ষ
:চটপটে
:বুদ্ধিমান
:উপস্থিত বুদ্ধির অধিকারী
-দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিক মত পালন করা
:মাতাপিতার প্রতি
:দেশের প্রতি
ব্যক্তিত্বের অনুভুতি/ যাদুঃ
-কার সাথে কথা বলছেন তিনি ভাবতে চাননা, তার কথা শুনে যান
-তার চমৎকার ধৈর্য্য আছে
-মানুষের সাথে মেলমেশা করতে তার কোনোরকম অসুবিধা হয়না
-যেখানেই যান সেখানেই তিনি বেশ মানিয়ে চলতে পারেন
-তিনি কখনই স্বার্থপর মানুষ নন
-যে লোকই তার সংস্পর্শে আসে তাকেই বলতে শোনা যায় “কেমন চমৎকার মানুষ, আহা ওর মতো যদি হতে পারতাম”। এর ভিতরে অনেক কিছু আছে, জিনিয়াস ইত্যাদি ইত্যাদি।
-মনোরঞ্জন করার ওই যাদু যদি আমার থাকত।

ডেল কার্নেগীর ব্যক্তিত্বের পরীক্ষাঃ
একজন মানুষের সঠিক ব্যক্তিত্ব প্রকাশের চাবিকাঠি চারটি। এই চারটি বিষয় নির্ভর করেই গড়ে ওঠে যে কোনো মানুষের ব্যক্তিত্ব। যথাঃ-
১.আমরা কি করি?
২.আমাদের বাহ্যিক আকৃতি কী?
৩.আমরা কীভাবে কী কথা বলি?
৪.আমাদের সেই বলার পদ্ধতি কী রকম?

ব্যক্তিত্বের বিকাশঃ
মানুষের জ্ঞান, বিশ্বাস, আচার-আচরণ, রুচী, অভ্যাস ইত্যাদি মিলিয়ে তার ব্যক্তিত্ব। যাদের মধ্যে মানবিক গুণের চেয়ে পাশবিক গুণ বেশি অর্থাৎ যারা চরিত্রহীন তাদেরকে ব্যক্তিত্বহীন বলা যায়। এ্যাড লারের মতে- ‘ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্যক্তির প্রধান উপাদান হচ্ছে তার চরিত্র। কুপরিবেশকে জয় করে যদি চরিত্রকে অক্ষত রাখা যায়, সেখানে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সুন্দর হয়ে ফুটে উঠে।’
চরিত্র বলতে বুঝায় মানবীয় ও নৈতিক গুণাবলী সমৃদ্ধ আচার ব্যবহার চাল-চলন। ব্যক্তির মূল উৎস হচ্ছে মানসিকতা। বুদ্ধি ও আবেক দ্বারাই মানসিকতা গড়ে উঠে। মানসিকতা আবার নিয়ন্ত্রিত হয় জ্ঞান দ্বারা। জ্ঞান হচ্ছে ব্যক্তিত্বের মূল উপাদান। যার মধ্যে জ্ঞান আছে তার মধ্যে ব্যক্তিত্ব অবশ্যই থাকবে। একারণে ব্যক্তিত্বকে সুন্দর করতে হলে জ্ঞানের সাধনা করা প্রয়োজন। ব্যক্তিত্বের অন্যতম মূল উপাদান হচ্ছে অনুভূতি। যাদের অনুভূতি কম তারা সাধারণত ব্যক্তিত্বহীন হতে পারে। জ্ঞানীরা অনুভূতি সম্পন্ন বলেই মান সম্মানবোধ তাদের প্রখর। ব্যক্তিত্বকে ছোট করতে পারে এমন কাজ থেকে তারা সদা-সর্বদা বিরত থাকে।

ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপদান:
ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়-একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কারণ ইচ্ছা ও সাধানার ফলে বহু ক্ষেত্রে সফলতা বয়ে এনেছে অনেক মানুষ। জ্ঞান ছাড়া অনেক কিছুই অসম্ভব। প্রথমে আমাদের পেশাদারিত্ব অর্জন করতে হবে। মানসিকাতা বড় করতে হবে। অনেক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে।

প্রথম উপাদান জ্ঞান:
জ্ঞান হচ্ছে ব্যক্তিত্বের প্রথম ও মূল উপাদান। যার মধ্যে জ্ঞান আছে তার মধ্যে ব্যক্তিত্ব অবশ্যই থাকবে। একারণে ব্যক্তিত্বকে সুন্দর করতে হলে জ্ঞানের সাধনা করা অপরিহার্য। জ্ঞান সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়ার আগে আমাদেরকে তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে। তথ্য হচ্ছে- উপাত্ত (ডাটা) প্রক্রিয়াকরণের পর নির্দিষ্ট চাহিদার প্রেক্ষিতে যে সুশৃঙ্খল ফলাফল পাওয়া যায় তা। আমরা জানি কহড়ষবফমব রং ঢ়ড়বিৎ. তাই সেই ক্ষমতাটির তাত্বিক ব্যাখ্যা হচ্ছে এই-
১.জ্ঞান হচ্ছে অনুধাবনের ফল বা তথ্য।
২.জ্ঞান হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিক ও বস্তুভিত্তিক বিশ্লেষণপদ্ধতি।
৩.জ্ঞান হচ্ছে যুক্তিভিত্তিকভাবে আহরিত তথ্য ও তার ভিত্তিতে যুক্তিভিত্তিক সিদ্ধান্তগ্রহণের পদ্ধতি।
আমরা জানলাম জ্ঞান মানে কি। তাহলে এই সোনার হরিণ জ্ঞান কিভাবে অর্জন করব তা নি¤œরুপ।

জ্ঞান অর্জন করার পদ্ধতিঃ-
-দোয়া ও প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে
-অনুভব ও অনুমানের মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করা যায়
-চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করে
-অভিজ্ঞতা থেকে
-অতীত থেকে
-জ্ঞানীদের সাথে মিশে
-মূর্ত জগতকে দেখে
-মূর্ত এবং বিমূর্ত জগত সম্পর্কে চিন্তা গবেষণা করে
-শুনে ও ভ্রমণ করে
-বই পড়ে
:জিবনী (রাসূল সা:, সাহাবী, হাসান আল-বান্না, ইমাম শামায়েল, গাজী সালাহ উদ্দিন আইয়ুরী, ওসামা বিন লাদেন, হিটলার)
:ধর্মীয় (কুরআন, হাদীস, বাইবেল, মহাভারত)
:বিখ্যাত লেখকদের লেখা (ডঃ ইউসূফ আল কার্যাভি, সাইয়েদ কুতুব, ডাঃ জাকির নায়েক প্রমুখ)
:সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত বই (আজকের বিশ্ব, কিশোর কন্ঠ ইত্যাদি টাইপের)
:বিজ্ঞান ও শিক্ষামূলক সিরিজ (সাইমুম, ক্রুসেড, রিসালায়ে নূর)
-টিভি দেখে (ডিসকভারি, পিস টিভি)
-রেডিও শুনে (আমার, ফুর্তি)
-পত্রিকা পড়ে (সব পত্রিকার শিক্ষা, বিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সাইডটি বেশি করে)
-নেট সার্স করে
:ফেইসবুক
:ব্লগিং
-প্রশিক্ষণ নিয়ে
-সমস্ত পেশার লোকদের সাথে মিশে

দ্বিতীয় উপাদান পেশাদারিত্ব:
সঠিকভাবে খুন করতে পারলে আমরা তাকে পেশাদার খুনি হিসেবেই চিনি। তাই পেশাটিকে মানিয়ে নেয়ার জন্য পেশাদারিত্ব অর্জন করা দরকার। দেখি কিভাবে অর্জন করা যায়।

পেশাদারিত অর্জন করার পদ্ধতিঃ-
-নিজের স্বপ্ন লেখা ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা
-নিজের পেশাকে বুঝার জন্য যে সেক্টরে কাজ করেন সেখানের দায়িত্বশীল/ লিডারদের সাথে সময় দেয়া
-ডিসিপ্লিন/ সিস্টেম মানা
-ট্রেনিং করা বা তথ্য সংগ্রহ করা
-পেশার যে কোনো মিটিংয়ে উপস্থিত থাকা
-নিয়মিত অফিসে আসা
-উদ্যেগী হওয়া
-পেশাটাকে ভালবাসা
-অফিসিয়াল টুলস সাথে রাখা (পেড, কলম, ব্যাগ, লিগ্যাল পেপার, ব্রুশিয়ার, কেটালগ ইত্যাদি)
-প্রপার ড্রেসকোড
-ধৈর্য ধরা ও লেগে থাকা
-প্রো-একটিভ, ক্রিয়েটিভ ও লিডার হওয়া
-প্ল্যান করে কাজে নেমে পড়া
-অভিজ্ঞতা অর্জন করা (কিভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়)
:দীর্ঘদিন লেগে থেকে
:পরিবেশ থেকে
:প্রশিক্ষণ নিয়ে
:অপরের ভুল বা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে
:নিজের ভুল থেকে
:সব ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে
:স্ট্যামিনা/ কঠোর পরিশ্রম করে

তৃতীয় উপাদান মানসিকতা:
ব্যক্তির মূল উৎস হচ্ছে মানসিকতা। বিবেক ও আবেগ দ্বারাই মানসিকতা গড়ে উঠে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বেরিয়েছে পৃথিবীর ৮৭% লোক তাদের এটিচুডের কারণে সফল হয়। আর এই এটিচুড দুই প্রকার। যথা:-
১.রি-একটিভ (Negative - নেতিবাচক) Vs ২.প্রো-একটিভ (Negative - ইতিবাচক)

দেয়াশলাই এর একটি কাঠি দিয়ে:
-ঘড় পোড়া যায়
-আলোকিত হয়
একটি গ্লাস দিয়ে:
-মদ খাওয়া যায়
-দুধ খাওয়া যায়
একটি সেলফোন দিয়ে:-
-সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক তৈরী করা যায়
-প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করা যায়
তাই প্রো-একটিভ হওয়ার জন্য পাঁচটি জিনিস অন্যকে দিতে হবে। যথা:-
১.Respect (সম্মান)
২.Influence (উৎসাহ)
৩.Help (সহযোগিতা)
৪.Gratitude (কৃতজ্ঞতা)
৫.Experience (অভিজ্ঞতা)

এই মানসিকতা ইতিবাচক করার জন্য একটি কার্যকরী থেরাপী দেয়া হল। যা জীবনের সব সময় যত বেশি ব্যবহার করবো তত বেশি উপকৃত হব ইনশাআল্লাহ।

মানসিকতা বা স্বপ্ন বড় করার পদ্ধতি:-
১) ইমাজিনেশন করতে হবে
২) মেডিটেশন করতে হবে (না জানলে যে বইগুলির সহায়তা নিব)
The power of positive thinking and attitude-Remez Sasson
সাফল্যের চাবিকাঠি কোয়ান্টাম মেথড- মহাজাতক সহিদ আল বোখারি
আত্ম উন্নয়ন-বিদ্যুৎ মিত্র
নিজেকে জানো- বিদ্যুৎ মিত্র
সুখ-সমৃদ্ধি- বিদ্যুৎ মিত্র
আত্মসম্মোহন- বিদ্যুৎ মিত্র
নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবেননা-ডাঃ ড্যানিয়েল জি আমেন
চেতনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি-মহাজাতক সহিদ আল বোখারি
৪) মটিভেশনাল বই পড়তে হবে
বিগব্যাঙ থেকে মানুষ-রুশো তাহের
ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যের সহজ উপায়-ডেল কার্নেগী
আপনি প্রতিষ্ঠিত যদি হতে চান-ডেল কার্নেগী
ধনী হতে কদিন লাগে-হারবার্ট ক্যাশন
মানুষকে বাগ মানানোর কলাকৌশল-লেসলি টি গিবলিন
মোরা বড় জতে চাই-আহসান হাবিব ইমরোজ
সবার আগে নিজেকে গড়ো-আব্দুস্ শহীদ নাসিম
ডা: লুৎফর রহমান শ্রেষ্ঠ রচনাসমগ্র
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনিষি-মাইকেল এইচ হার্ট
দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে-গোলাম হাফিজ
সফলতার রহস্য-মো: আয়াজ করিম
Freedom is not free-Shiv Khera
Living with honour-Shiv Khera
The 7 habits of highly effective people-Stephen R Covey
The magic of thinking big-David J.Schwartz Phd
Success and creativity within seven days-Garath Luis
৫) অভিজ্ঞ, জ্ঞানী এবং উচু ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষের সাথে মিশতে হবে
৬) যারা বড় বড় স্বপ্ন দেখে তাদের সাথে মিশতে হবে
৭) যারা গোছালো, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আছে, পজিটিভ, ক্রিয়েটিভ, ও প্রো-একটিভ তাদের সাথে মিশতে হবে
৮) বড় ও প্রশস্ত রাস্তায় যেতে হবে
৯)সমুদ্রে যেতে হবে
১০) পাহার পর্বতে যেতে হবে
১১) মটিভেশনাল সিডি, ভিসিডি, ডিভিডি দেখতে হবে
১২) সেলিব্রেশন প্রোগ্রামে যেতে হবে
১৩) বড় সমাবেশ, মিছিল, মেরাথন ট্রেনিং ও বড় হাট-বাজারে যেতে হবে
১৪) ইনটারনেট সার্স করতে হবে
১৫) উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ব্লগ সাইটে ব্যপক ঘাটাঘাটি করতে হবে

চতুর্থ উপাদান বিশ্বাস:
যে নদীর স্রোত রুদ্ধ হইয়া যায়, তাহার পানি যেমন হাজিয়া মজিয়া পচিয়া দুর্গন্ধযুক্ত এবং অব্যবহার্য হইয়া পড়ে, তেমনি যে জাতি আত্ম-গৌরব ও আত্ম-শক্তিতে বিশ্বাসহারা হইয়া উঠে, পৃথিবীর সমস্ত লাঞ্ছনা ও দুর্গতি তাহাদের মস্তকেই। আত্ম-শক্তির প্রতি যাহার শ্রদ্ধা আছে, সে একদিন যত বিলম্বেই হউক না কেন,তরুর ন্যায় নিজের পায়ে নির্ভর করিয়া, গগনমার্গের দিকে শির উত্তোলন করিবেই। কিন্তু যাহার আত্ম-বিশ্বাস নাই, তাহার অন্য গুণ যতই থাকুক না কেন, চিরকাল আশ্রয়হীনা লতার ন্যায় শোচনীয় দুর্গতিগ্রস্ত হইয়া কাল কাটাইবে। বিশ্বাস হইতেছে আত্মার খাদ্য। বিশ্বাস হইতে চিন্তা এবং চিন্তা হইতে কার্যের উৎপত্তি। প্রত্যেক মানবের কার্যই তাহার বিশ্বাসের অনুরূপ হইবে। যখনই যে জাতি পৃথিবীতে যে বিষয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে,তখন শুধু তাহা আত্ম-বিশ্বাসের বলেই লাভ করিয়াছে। -(সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী) একটি প্রচলিত কথা আছে- When belief is established, the rest is automatic.

ছয়টি বিষয়ের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। এখানে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা প্রাসঙ্গিত তাই সেটি নিয়েই আমার আলোচনা। তবে কিছু জিনিস বিশ্বাস স্থাপনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে মন থেকে গভীরভাবে পরিহার/দূর করতেই হবে। তা হচ্ছে-
১) হীনমন্যতা দূর করুন:-
-আমি কালো, মোটা, ছোট, বৃদ্ধ , অশিক্ষিত, দরিদ্র
-অমুকের মেধা বেশি
-অমুকের সৌভাগ্য আছে
-তিনি পারেন ও তিনি জয়ী / সফল হবেন
২) ভয় দূর করুন:-
-অজানার ভয়
-প্রস্তুত না থাকার ভয়
-ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার ভয়
-প্রত্যাখ্যাত/ব্যর্থ হওয়ার ভয়
-দেউলিয়া হবার ভয়
-স্বাধীনতা হারাবার ভয়
-সমালোচনার ভয়
৩) ঝুঁকি দূর করুন:-
-আত্ম সম্মানের ঝুঁকি
-অর্থনৈতিক ঝুঁকি
-শারীরীক ঝুঁকি
৪) আলস্য ও অযুহাত পরিহার করুন:-
৫) উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, হতাশা, তিক্ততা ও ক্লান্তি দূর করুন
৬) ধৈর্য্য ধরুন ও লেগে থাকুন
৭) নিজেকে নিজে প্রেরণা এবং উৎসাহ দিয়ে কাজ করুন
৮) আমার জীবনকে পরিবর্তন করতে যাচ্ছি,স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি ও লক্ষ্যে পৌঁছতে যাচ্ছি এই ভাবুন

হীনমন্যতা, ভয়, ঝুঁকি, আলস্য ও অযুহাত পরিহার করার জন্য (জীবন মানেই কাজ-মিখাইল ডিলান) পড়ুন। জোড়ে জোড়ে সব স্থানে একা হলেই খালি মাঠে ইয়েস ইয়েস বলুন। আর নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য বিখ্যাত দার্শনিক, প্রখ্যাত বিজ্ঞানিদের ভাষ্যমতে ও আমার সারা জীবনের অজ্ঞিতা থেকে একটি থেরাপি বের করেছি। এটি কার্যকরভাবে প্রত্যেকের জীবনে ব্যবহার করলে বিশ্বাস বাড়বে ও সব কাজে সফল হওয়া যাবে। প্রথমে সকালে উঠেই ডান হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে মাথার উপর থেকে নিচ দিকে অর্থাৎ মাজা পর্যন্ত হাত জোড়ো জোড়ো নামিয়ে ইয়েস ইয়েস উচ্চ কন্ঠে বলতে হবে। আর মনে মনে বলতে হবে আমি সব পারব। কঠিন লাগলে আমার সাথে যোগাযোগ করলে বাতলে দিব। এবার নিচের কথাগুলি সকালে উঠেই জোড়ে জোড়ে বলতে হবে। পাগল-ছাগল লোকে যাই বলুক বন্ধ করা যাবে না। এটি হচ্ছে থেরাপি।

নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়ানোর পদ্ধতি:-
১) আমি সাহসী, আমি তেজস্বী , আমি সম্ভাবনাময়ী, আমি গুরুত্বপূর্ণ
২) আমি সক্ষম,
৩) আমি ব্যর্থ হতে চাইনা
৪) আমি আমার জীবনে সাফল্য আনবই
৫) আমাকে উঠতেই হবে
৬) আমার মাঝে বেশ কিছু ভালো জিনিস আছে
৭) আমার চেয়ে নিকৃষ্ট মানের মানুষও যখন পেরেছে আমি পারবনা কেনো ? আমি অবশ্যই পারব
৮) আমি সবকিছু সঠিক করতে চাই। আমি প্রাণপনে সবকিছু বদল করতে চাই
৯) আমি এবার আবার কাজে মনোযোগ দেবো। সব মনপ্রাণ নিয়োজিত করবো, এর মাঝখানে আনন্দ আর সুখ খুঁজে নেব
১০) একাজ আমি পারবো
১১) অন্য গুলোও পারবো।

পঞ্চম উপাদান নিজেকে উপস্থাপনা:
সারা বিশ্বে চিন্তার জগতে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আলোড়ণ সৃষ্টিকারী ‘ডেভিড জোসেফ সার্টজ’ ও আমার আবিষ্কৃত বিশেষভাবে ৪ টি সংজ্ঞা মনে রাখবেন। যা সারা জীবনের জন্য সফলতার ক্ষেত্রে কাজে দিবে। যেমন:-
১.সফলতা:-কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ধৈর্য্য সহকারে কর্মের প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করাই হচ্ছে সফলতা।
২.ব্যর্থতা:- কিছু নেতিবাচক ও ভুল কাজের ধারাবাহিক পূণরাবৃত্তি।
৩.উদ্দেশ্য:- উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো কিছু করার সাধারণ অভিপ্রায়, যেটা সাধারণ ভাবে প্রকাশ করা হয়। যেমন:-আমি মাঠা কোমপানির মুন্সিগঞ্জ এরিয়ার ডিলারশীপ নেব।
৪.লক্ষ্য:-লক্ষ্য হচ্ছে কোনো কিছু করার সুনির্দিষ্ট অভিপ্রায়। যেমন:-আমি ০১/০৮/২০১৩ইং তারিখের মধ্যেই মুন্সিগঞ্জের সমগ্র উপজেলায় মাল সরবরাহ করব। ৫.উন্নতি:-উন্নতি হচ্ছে বর্তমানের কাজ এবং ভবিষ্যতের দৃঢ় প্রত্যয়।

প্রথমেই ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানোর জন্য কেন আমি সফল হব তা ভাবতে হবে। এই ভাবনার মাধ্যমেই নিজেকে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে পারব। এটিই ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানোর প্রান্তিক পর্যায়। আসুন আমরা কেন সফল হব তা ভাবতে শিখি।
ব্যক্তির কিছু বৈশিষ্ট যেমন ক্ষমতা, মেধা, অভ্যাস, আবেগ, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ইত্যাদির সমন্বয়ে ব্যক্তিত্ব গঠিত হয়। যুগপৎ বুদ্ধির অনুশীলন ও আত্মার পরিচর্যাই মানুষকে প্রকৃত মনুষ্যত্বে ম-ন্ডিত করে। মন মুক্ত, স্বাধীন এবং সৃজনী ক্ষমতার অধিকারী। সৃজনশীলতাকে মেধার চূড়ান্ত অভিব্যক্তি বলা হয় (Clark, 1983) । মানুষ কেবল শক্তি, ক্ষমতা, জনপ্রিয়তা বা অর্থের লোভেই কিংবা কাম বসেই কাজ করেনা। প্রত্যেক মানুষের গভীরতম কামনার বস্তু হচ্ছে শুখ ও শান্তি। আর ব্যক্তিত্বের বিকাশের জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন ও বিস্তর একটি বিষয়। আমরা রাতারাতি আমাদের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন করতে পারিনা। আমরা বর্তমানে ‘যা’ হয়েছি, তার পশ্চাতে রয়েছে আমাদের সারা জীবনের অভিজ্ঞতা। যদি আমরা নিজেদের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন করতে চাই, তাহলে গভীর ধৈর্যের প্রয়োজন। তাই বলে আমাদেরকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে না। তবে আমাদের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তনের জন্য স্বাভাবিক বা ন্যায়সঙ্গতভাবে বৈজ্ঞানীক পন্থা অবলম্বন করতে হবে। যার অনেকটাই আমার গবেষণায় উদ্ভাবিত ‘ব্যক্তিত্বের বিকাশ’ থেকে পেয়ে যাব আশা রাখি ইনশা আল্লাহ। এমন লোক কি কেউ আছেন, যিনি তার ব্যক্তিত্বকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে চান না? আমরা সব সময় নিজেকে অন্যের চেয়ে বুদ্ধিমান, যোগ্য ও শ্রেষ্ঠ হিসেবে তুলে ধরার জন্যে সচেষ্ট থাকি। (যেমন-৬০ বছর গোসল না করে থাকার রেকর্ড, ৫ হাজার মেয়ের স্তন স্পর্ষ করে প্রেসিডেন্ট এর সাথে দেখা করা, নিজেকে বাঘ ও কুকুরের আকৃতি দেয়া, ১ লক্ষ ছেলের সাথে দৈহিক সম্পর্কের ঘোষণা দেয়া, টেমস নদী পায়ে হেটে পাড়ি দেয়া, ভায়াগ্রা জলপ্রপাত কেবলের উপর হেটে পাড়ি দেয়া, নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করা তো নস্যি, ) কারণ বর্তমান যুগ হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যুগ, প্রতিযোগিতার যুগ। নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে না পারলে আমরা অন্যদের পেছনে পড়ে যাচ্ছি। এই প্রচেষ্টায় আমরা কখনও কখনও সফল হচ্ছি, মারহাবা-করতালি পাচ্ছি, ফুলের মালা পাচ্ছি, আনন্দে বুক স্ফীত হচ্ছে, চেহারা উজ্জ্বল হচ্ছে। কিন্তু রাতে যখন বিছানায় একা ঘুমুতে যাচ্ছেন, নিজেকে নিয়ে যখন একান্তে ভাবছেন তখন আপনি নিজেও স্বীকার করবেন যে আপনার নিজেরও ব্যক্তিত্ব উন্নয়ন ও বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। অনেক গুণ আছে যা আপনি কাজে লাগাননি, অনেক কৌশল রয়েছে যা আপনি আয়ত্ত করতে পারেননি। মেধার অনেক ক্ষেত্রকে বিকশিত করতে পারেননি। তাই নিজের উন্নয়নের সুযোগও রয়েছে। এর ফলে আমরা প্রতিদিন বিকশিত হওয়ার চেষ্টা করি, আমরা পরিবর্তিত হই। আর এই পরিবর্তনের লক্ষ্য সব সময় থাকে আরও ভাল মানুষ হওয়ার। প্রতিদিনই আমরা চাই আমাদের ব্যক্তিত্ব আরও আকর্ষণীয় হোক, আরও সুন্দর হোক, প্রভাব বলয় আরও বাড়–ক। আমরা আমাদের ভুল ভ্রান্তিগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলেই আমাদের ব্যক্তিত্ব আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। আসুন আমরা মনটাকে কাজ দিয়ে বুদ্ধির অনুশীলন ও আত্মার পরিচর্যা করে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাই। (বি: দ্র:- মাসিক বিক্রমপুর এপ্রিল-মে সংখ্যায় ১ম পর্ব ও জুন সংখ্যায় ২য় পর্ব প্রকাশিত হয়েছে।)

আমি কেন সফল হব:
1.স্বপ্ন, উদ্দেশ্য, ও লক্ষ্য আছে
2.কাজ করি ও ধৈর্য ধরি
3.বই পড়ি, ট্রেনিং করি ও সিস্টেম মানি
4.আত্ম-বিশ্বাসী, আন্তরিক, কৌশলি, সৎ, সাহসী, সত্যবাদি, শিক্ষিত, কঠোর পরিশ্রমী, পজিটিভ ও প্রো-এক্টিভ
5.জীবন থেকে ও অতীত থেকে শিক্ষা নেই
6.পরিকল্পনা মাফিক কাজ করি

নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপনা করার পদ্ধতি:-
1.শামুকের মত খোলসের ভেতর নিজেকে লুকিয়ে রাখলে মানুষ আপনাকে চিনবে না। লার্নিং এন্ড শেয়ারিং করুন।
2.সবসময় এবং অফিসে হাসি-খুশি থাকুন।
3.নাম মনে রাখুন অর্থাৎ সবার সাথে মিশুন ও পরিচিত হোন।
4.রিহার্সেল অনুষ্ঠানে কিছু বলার জন্য পূর্বেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
5.বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত হোন (সিবিএফ, আইএফসি, চাঁদেরহাট ইত্যাদি)।
6.বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ব্লগ, পেইজ ও গ্রুপে লেখালেখি করুন।
7.কারো প্রতি ঘৃণা, রাগ-ক্ষোভ, হিংসা-বিদ্বেষ ও গর্ব-অহংকার একদম করবেননা।
8.কোনো প্রকার নেশা (ঘুম, মেয়ে,মদ) করবেননা।
9.আপনি অনেক কিছু জানেন এটি জাহির করার মানষিকতা থেকে বিরত থাকুন।
10.অতি আবেগ, রাগ, লজ্জা ও ভয় দূর করুন এবং স্বাভাবিকতা বজায় রাখুন।

ব্যক্তিত্ব একটি আপেক্ষিক, বিমূর্ত ধারণা হওয়ায় ব্যক্তিত্ব গঠনের উপাদান সমূহ চিহ্নিত করা বেশ জটিল বিষয়। তথাপিও বিভিন্ন মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষায় ব্যক্তিত্ব বিকাশের বিভিন্ন উপাদান চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হল:-
১.জৈবিক উপাদান (Biological Factor)
ক) বংশগতি ও ব্যক্তিত্ব ((Heredity and Personality)
খ) দৈহিক গঠন (Body Structure)
গ) জৈব রাসায়নিক উপাদান (Bio-Chemical Substances)
২.মনস্তাত্ত্বিক উপাদান (Psychological Factor)
৩.পরিবেশগত উপাদান (Environmental Factor)
ব্যক্তির আকৃতি, গঠন, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, শিক্ষণ, বুদ্ধি, চরিত্র, অভ্যাস, মেজাজ, আচার-ব্যবহার, অনুভূতি, মনোভাব, প্রেষণা, তাড়না, প্রবণতা, উপলব্দি, আকাঙ্খা, আবেগ, আগ্রহ, অনুরাগ, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ, আদর্শ ও বিশ্বাস সবকিছুর সমন্বিত রূপই ব্যক্তিত্ব। যা তাকে অনন্যতা দান করে। মনোবিজ্ঞানী ক্রাউডার এবং অন্যান্যদের মতে- ‘ব্যক্তিত্ব হল ব্যক্তির মনোদৈহিক প্রক্রিয়া সমূহের এক গতিময় সংগঠন যা পরিবেশের সাথে তার অনুপম অভিযোজন নির্ধারন করে’। এছাড়াও অন্যান্য মনোবিজ্ঞানী গণ বিভিন্নভাবে ব্যক্তিত্বের ধারণা প্রদান করেছেন। সার কথা হল- কতগুলো বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলীর সংগঠনকে ব্যক্তিত্ব বলে। জৈব, মানসিক, সামাজিক বিষয়াবলীর পারস্পরিক ক্রিয়া ব্যক্তিত্ব সংগঠনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
এক কথায় বলতে গেলে ব্যক্তিত্ব হচ্ছে অভিজ্ঞতার ঝুলি, আর এই ঝুলিতে রয়েছে আমরা প্রতিনিয়ত যা বলি, যা করি, যা অনুভব করি, যা ভাবি, যা আশা করি, যা বিশ্বাস করি। সঙ্গে রয়েছে চলার পথে আমরা কোন পরিস্থিতিতে কী প্রতিক্রিয়া দেখাই সে সবকিছু।
এই পর্বের তথ্যসূত্র: ১.বিকাশ মনোবিজ্ঞান-ড. কাজী আফিফা সুলতানা, ২.বুদ্ধির ফসল আত্মার আশিশ-শাহেদ আলী, ৩.ব্যক্তিত্বের বিকাশ-দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, ৪.আত্মনির্মাণ-মহাজাতক ও ৫.ইন্টারনেট।

সমাপ্তি: সময়ে সল্পতা, জ্ঞানের অপিরিপক্কতার কারণে যেভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করার কথা ছিল সেভাবে হয়ে উঠেনি বিধায় সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কোন সমস্যা হলে আমার প্রিয় পাঠকদের সুবিধার্থে একটি ব্লগ লিংক দিচ্ছি- www.equeiqbal.wordpress.com ভবিষ্যতে সময় পেলে ভুল শোধরিয়ে আমার প্রিয় পাঠকদের কাছে আবার হাজির হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহাফেজ ভবিষ্যতে সময় পেলে ভুল শোধরিয়ে আমার প্রিয় পাঠকদের কাছে আবার হাজির হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহাফেজ।

Likes Comments
০ Share

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    দাদা

    খুবি ভাল লাগল কবিতাটা

    • - অয়ন আবদুল্লাহ

      অসংখ্য ধন্যবাদ, দাদা :)