হাজারও শোকের মুর্ছনায়
জল শূন্য আমার মায়ের দুচোখ
সুপ্ত অগ্নিগিরির মত
বুকের মাঝে দ্রোহের আগুন
জলন্ত লাভার মত দুচোখ বেয়ে ঝরে ।
জল পিপাসায় মরুভুমি
পদ্মা মেঘনা যমুনা
মাঝির মনে বুক ফাটা আর্তনাদ
কোথাও একফোটা জল নেই
একাকী নিভৃতে দুচোখের জ্বলে
দুঃখ নদীতে পাল তুলে ভেসে যাবার ।।
পল্লী কবি জসিমুদ্দিনের নকসী কাথার মাঠে
সারি সারি ইটের ভাটায়
আমার শৈশবের সভ্যতার
শুভ্র স্বপ্নগুলো পুড়িয়ে পুড়িয়ে
লাল পাথরের কষ্ট বানানো হয় ।
মাইকেল মধুসূধন দত্তের
কুমারী কপোতাক্ষ নদের বক্ষে
জেগে ওঠা ধুধু বালুচরে
বেয়ারিশ মানবতার ছিন্ন ভিন্ন মাংস পিন্ড
হিংস্র জানোয়ারের মত চিবিয়ে চিবিয়ে খায়
ভুমি দস্যু দখলদার শিয়াল কুকুরের পাল ।
জীবনান্দের বনলতা সেনের
সিথির সিদুঁর মুছে গেছে
মধ্যে রাতে ধর্মের বিদ্বেষে ।
কবি নজরুলের স্বপ্নের পাখিরা
নিরুদ্দেশ চলে গেছে দুঃস্বপ্নের রাতে ।
কোকিলের গান বিপন্ন
জ্বালাও পোড়াও বোমাবাজির
শব্দ দুষনের দেশে ।
ধর্ম নিরেপেক্ষ লালনের
এক তারার বাউলের দেশে
মেীলবাদিরা জেগে ওঠে হায়েনার বেশে ।
জন্ম ভুমির পবিএ মাটিতে
অতি যতনে বেড়ে ওঠা উইপোকা
সংবিধানের নকসা বদলাতে
গভীর রাতে ষড়যন্ত্রে মগ্ন হয় ।
আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে
অবিশ্বাসের নোংরা রাজনীতির জুয়া খেলে
ক্ষমতা লোভী অপশক্তি হায়েনার পাল ।
তবুও আমার বুকের চিত্রে ধারন করি
কবি গুরুর রবীন্দ্রনাথের অমর বানী
মা তোর বদনখানি মলিন হলে
আমি নয়ন জ্বলে ভাসি ।।
Comments (5)
বেশ ভালো লাগলো
দুই এক চার তিনে
কেটে যায় সারাদিন।
এই ওপরের দুই লাইনে অন্তমিল হয় নাই। মিলিয়ে নিবেন প্লীজ।
তাছাড়া ছড়াতে মাত্রা বিভ্রাট আছে। সেগুলো ঠিক করে নিলে ভালো হবে। ধন্যবাদ আবরার।
আমি অংকে ভাল ছিলাম। তাই কাটাকাটি করতে হত না