Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

তারক কুন্ডু

৯ বছর আগে লিখেছেন

বিশ্ব মা দিবসে...মায়ের চরনে এ লেখা

তোমার কোলে মাথা রাখলে
 
দু:খ চলে যায়....
 
তোমার একটু স্পর্শে
 
ভুবন আলোকিত হয়।
 
তোমার একটু স্নেহ পেলে
 
কষ্ট কমে যায়....
 
পৃথিবীতে তোমার মত
 
আপন আর যে কেহ নাই।
 
 
“আজ বিশ্ব মা দিবস”পৃথিবীর সকল মায়ের চরনে রইল আমার শতকোটি প্রনাম। জন্ম গ্রহনের পর শিশুটির প্রথম চিৎকার হলো “মা”।পৃথিবীতে এমন কোন মা নেই, যে তিনি তার সন্তানকে কষ্ট দিয়েছে।অথচ দেখুন সন্তান তার মাকে কষ্ট দিয়েছে এরকম ঘটনা অনেক পাওয়া যাবে। আজকের এই মা দিবসে আমার পরিচিত একটি চেনা মানুষের কথা আপনাদের জানালাম।আমি তখন ৮ম শ্রেনীতে পড়ি ঠিক সেই সময়ের ঘটনা। প্রতিবেশি একজন তার স্ত্রীর প্ররচনায় তার জন্মদাত্রী মাকে আলাদা করে দিলো,এমন কি এতো পরিমানে নির্যাতন করতে লাগলো যে মা সহ্য করতে না পেরে বাড়ী ছেড়ে নদীর ধারে বালুর চরের বস্তীতে গিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে লাগলো।সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে গোবর কুড়িয়ে ঘুটো বানিয়ে তা বিক্রি করে পেট চালাতেন। মাঝে মাঝে ক্ষুধার জ্বালায় চিৎকার করে কাঁদতেন।এই সব দেখে পাশের প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে যে যেমন পারতো খাবার দিয়ে যেত।এরমাঝে খেয়ে না খেয়ে সেই মা বড় একটা অসুখে পড়ে যায়।সারাদিন বিছানায় শুয়ে যন্ত্রনায় চিৎকার দিয়ে শুধু ছেলেটিকে ডাকতেন।কিন্তু তার সেই ডাক সেই ছেলেটির কানে যেত না,কারন সে তখন বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে মহাব্যস্ত।এরপর অভাগী দুখিনীমা টি মারা যায়,ছেলেটির কাছে খবর গেলে ছেলেটি আসে শেষ কাজ করার জন্য। কিন্তু আশে পাশের মানুষ তাকে তার মায়ের কাছে যেতে দেয় না,তার মাকে স্পর্শ করতে দেয় না।যখন তার শেষ কাজের জন্য স্নান করানো হবে তখন দেখা গেল একটা ছোট কাপড়ের ব্যগ তার মাজার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

তারক কুন্ডু

৯ বছর আগে লিখেছেন

বাঁচার জন্য বুদ্ধি লাগে.... গতকাল রাতে একটা মজার জিনিস দেখলাম। একটা ফড়িং লাইটের কাছে এসে বসলো আর তার তিন পাশ থেকে তিনটা টিকটিকি ঘিড়ে ফেললো। টিকটিকি তিনটা প্রস্তুতি নিচ্ছে ধরার জন্য। আমি মনে হলো উঠে গিয়ে ফড়িং টাকে বাঁচিয়ে দেয়। কিন্তু মনে হলো দেখি না,সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে কিনা ? তিনটা টিকটিকি তিন দিক থেকে এতো জোরে ছুটে এসে আক্রমন করলো আমি ভাবলাম ফড়িং টা এবার শেষ। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ফড়িং টা এতো দ্রতু উড়ে গেল যে,টিকটিকি তিনটা একজন আর একজনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলো আর ফলে তিনটা টিকটিকি ভারসাম্য ধরে রাখতে না পেরে মাটিতে পরে গেল। এরপর ফড়িংটা সারাঘর উড়তে লাগলো,তাকে দেখে মনে হলো সে খুব আনন্দিত। আমার নিজের খুব ভাল লাগলো,ছোট একটি প্রানী সে তার বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে বাঁচালো এবং অন্যদের শাস্তি দিলো। কেন যেন বিষয়টা আপনাদের জানাতে ইচ্ছা হলো তাই জানালাম।

Likes Comments

তারক কুন্ডু

১০ বছর আগে লিখেছেন

তাহলে কি এটায় জীবন যুদ্ধ..........

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা, শুভকামনা সবই তো পেলাম। তারপরও কেন যেন বছরটা ভাল ভাবে শুরু করতে পাললাম না। শুরুতেই কাল বৈশাখীর ঝড়ের মত আমার সবকিছু উড়ে গেল। এতদিন ধরে যে পরিশ্রম তার সবকিছুই এক মূহুর্তে শেষ হযে গেল। আমিতো আমার পরিশ্রমের কোন মূল্য চাইনি, তবে কেন সব উড়ে গেল ? জানি এ বছরটা আর ভাল যাবে না, ভবিষ্যত চিন্তাভাবনা,যে পরিকল্পনা তার সবকিছুই নষ্ট করে দিতে হবে।মানুষ নাকি আশা নিয়ে বাঁচে। আমাকে আমার নতুন করে কি স্বপ্ন দেখতে হবে,নতুন করে আশা মনে জাগাতে হবে। তাহলে কি এটায় জীবন যুদ্ধ..........
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - প্রহেলিকা

     তুমি বাড়িয়ে দিলে দুহাত

    আমি হবো তোমার চাহাত

    হৃদয় সীমানায় দিলে ধরা

    বানাবো পৃথিবী প্রেম-বসুন্ধরা।

     

    ভালো লাগা রেখে গেলাম। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন।

তারক কুন্ডু

১০ বছর আগে লিখেছেন

আজ আবার হারলাম......তাতে কি অভ্যাস আছে।

পাকিস্তানের কাছে আজ আবার হারলাম। হারতে হারতে আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। হারাতে কষ্ট কম পেলেও রবি যে এ্যাড দেয় একটু পর পর,সেটা শুনলে মেজাজটা গরম হয়ে যায়। বাংলাদেশ আর কবে গর্জে উঠবে। নিজের ঘরে যখন গর্জে উঠতে পারলো তখন বাইরে গিয়ে তো লেজ গুটিয়ে থাকবে। আমাদের টাইগাররা বেড়াল হয়ে গেছে,আর সেই সাথে আমরাও বেড়াল হয়ে যাচ্ছি। বড় আনন্দ লাগছে অস্ট্রেলিয়াকে দেখে। আমাদের মাটিতে এসে তারাও আজ আমাদের মত বেড়াল হয়ে গেল। ভাবতে ভালই লাগছে,এক সময়ের বিশ্ব সেরা দল আজ আমাদের কাতারে দাঁড়িয়ে। কথায় বলে পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে,কিন্তু আজ পর্যন্ত তা দেখলাম না। এর নাম  গোল বলের খেলা,কখন যে কোন দিকে গড়াই তা বলা মুশকিল।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    বা গল্পটা পড়লাম ভাল লাগল

    স্বাধীনতার শুভেচ্ছা রইল----------

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ আলমগীর ভাই

    • Load more relies...
    - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    গল্পটি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ, বৈশাখী ঝড়। 

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      অফুরন্ত ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। লেখা ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম

    - মাসুম বাদল

    • - মোকসেদুল ইসলাম

    Load more comments...

তারক কুন্ডু

১০ বছর আগে লিখেছেন

জাতীয় সংগীত গেয়ে রেকর্ড করলাম...........তারপর কি ?

২৬ মার্চ তিন লক্ষ বাঙালীকে দিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর মধ্যে দিয়ে আমরা একটি রেকর্ড অর্জন করলাম। এই রেকর্ড অর্জনে নিজেও অংশগ্রহন করেছিলাম। কিন্তু এখন ভাবতে খুব অবাক লাগছে ১২ বছরের একটি শিশু যখন আমায় প্রশ্ন করলো আপনি কি পুরো জাতীয় সংগীতটা শুদ্ধ ভাবে গাইতে পারবেন। আমি বললাম কেন পারবো না,শিশুটি বললো আমার বাবা মা সহ আমি এ পর্যন্ত ১৫ জনকে জিঞ্জাসা করেছিলাম তারা কেউ পারেনি। আমিও পারতাম না,কিন্তু স্কুল থেকে যখন বললো তখন পাশের বাসার এক আপু শিখিয়ে দিয়েছে। এখন এই বিষয়টা আমার কাছে অবাক লাগে,সত্যিই তো বাংলাদেশের কতজন মানুষ শুদ্ধ ভাবে জাতীয় সংগীত বলতে পারে। কোটি টাকা খরচ করে যে রেকর্ড করলাম তার মর্য্যাদা রাখতে পারবো তো। হয়তো দেখা যাবে আমরা শুদ্ধভাবে গায়তে না পারার রেকর্ড আর একটা হয়ে যাবে। সরকার কি বিষয়টা জানেনা,যে তার জনগনের বেশির ভাগ মানুষ শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত গায়তে পারে না। কি দরকার ছিল কোটি টাকা দিয়ে এমন রেকর্ডের। টাকা কি গাছে ধরে নাকি ? এই টাকা দিয়ে সঠিক ভাবে জাতীয় সংগীত শেখানোর ব্যবস্থা করতে পারতো। যে দেশের মানুষ এখনও ডাসবিনের খাবার তুলে খায়,সে দেশের এমন রেকর্ড কতটুকু কাজে লাগবে তা ভেবে পাচ্ছি না।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - বাংলার সক্রেটিস

    লেখাটা ভালোই হইছে।তথ্যবহুল।বাট লাস্ট প্যারাটা লেখার সাথে মনে হয় গেলো না।পোষ্ট রিলেটেড ফিনিশিং হইলে ভালো হইতো।

    - ব্লগার ভাই