২৬ মার্চ তিন লক্ষ বাঙালীকে দিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর মধ্যে দিয়ে আমরা একটি রেকর্ড অর্জন করলাম। এই রেকর্ড অর্জনে নিজেও অংশগ্রহন করেছিলাম। কিন্তু এখন ভাবতে খুব অবাক লাগছে ১২ বছরের একটি শিশু যখন আমায় প্রশ্ন করলো আপনি কি পুরো জাতীয় সংগীতটা শুদ্ধ ভাবে গাইতে পারবেন। আমি বললাম কেন পারবো না,শিশুটি বললো আমার বাবা মা সহ আমি এ পর্যন্ত ১৫ জনকে জিঞ্জাসা করেছিলাম তারা কেউ পারেনি। আমিও পারতাম না,কিন্তু স্কুল থেকে যখন বললো তখন পাশের বাসার এক আপু শিখিয়ে দিয়েছে। এখন এই বিষয়টা আমার কাছে অবাক লাগে,সত্যিই তো বাংলাদেশের কতজন মানুষ শুদ্ধ ভাবে জাতীয় সংগীত বলতে পারে। কোটি টাকা খরচ করে যে রেকর্ড করলাম তার মর্য্যাদা রাখতে পারবো তো। হয়তো দেখা যাবে আমরা শুদ্ধভাবে গায়তে না পারার রেকর্ড আর একটা হয়ে যাবে। সরকার কি বিষয়টা জানেনা,যে তার জনগনের বেশির ভাগ মানুষ শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত গায়তে পারে না। কি দরকার ছিল কোটি টাকা দিয়ে এমন রেকর্ডের। টাকা কি গাছে ধরে নাকি ? এই টাকা দিয়ে সঠিক ভাবে জাতীয় সংগীত শেখানোর ব্যবস্থা করতে পারতো। যে দেশের মানুষ এখনও ডাসবিনের খাবার তুলে খায়,সে দেশের এমন রেকর্ড কতটুকু কাজে লাগবে তা ভেবে পাচ্ছি না।
Comments (4)
লেখাটা ভালোই হইছে।তথ্যবহুল।বাট লাস্ট প্যারাটা লেখার সাথে মনে হয় গেলো না।পোষ্ট রিলেটেড ফিনিশিং হইলে ভালো হইতো।
মোটামোটি ভালো লাগলো।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ