একা থাকা মানুষগুলো সবসময়ই একা।জীবনের বিশেষ কোন আয়োজনেও একা আবার শুনশান বন্ধ ঘরের স্তব্ধ পরিবেশেও একা।কেউ হয়ত তাদের একাকিত্বের গায়ে আনমনে চোখের একটি পলক বুলিয়ে যায়।তবে তাতে বিশেষ কোন পরিবর্তন হয়কি??
হুম,এই একটি পলক ই হয়ত তাকে একাকিত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়,নয়তবা এই একটি পলকই তাকে আরো একা করে দেয়।
পদার্থবিজ্ঞান ক্লাশে পিছনের বেঞ্চটিতে বসে থাকা সেই ছেলেটি।একা তার জগৎ।ক্লাশ ভর্তি ছেলেমেয়ের মাঝেও শুনশান একাকিত্বের কঠিন জীবন।তবে সে অভ্যস্ত।পৃথিবীর সব আয়োজন,অনুষ্ঠানেও সে বড় একা।পদার্থ বিজ্ঞানের অভিকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ও সামান্য ক্ষমতা নেই তার থেকে তার একাকিত্ব কে আলাদা করার। প্রতিদিন গভীর রাতে অন্ধকার খাবার টেবিলে একা একা মধ্যরাতের ভোজ গ্রহন করা লোকটি।বড্ড সঙ্গীহীন তার জীবন।রাতের আধারে চশমার ফ্রেম ভেদ করে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে।ঠান্ডা কড়কড়ে ভাত আরো ঠান্ডা হয়।জীবনে একটু ছন্দের অভাব,খেয়াল রাখা লোকের প্রচন্ড অভাব তার।
রোজ বিকেলে চিলেকোঠার ছাদে হেটে বেড়ানো মেয়েটি।উদাস মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে।আকাশ থেকে শুণ্যতার বৃষ্টি পড়ে তার গায়ে।কাজল ঠাসা চোখগুলো বড় ফ্যাকাসে।হয়ত কেউ খেয়ালি করেনি।প্রচন্ড অবহেলায় শুকিয়ে যাওয়া তার সব গুলি অনুভুতি।শুণ্যতার বৃষ্টিতে ভিজে হয়ত সতেজ হয় সেই অনুভুতি গুলো। একা থাকা মানুষগুলো জীবনে একটু রঙ খোঁজে,খুশির রং।একটু খানি সঙগ খোঁজে,ভালোবাসার সঙ্গ,হারিয়ে গেলে খুজে খুজে পাগল হওয়ার মত একজন সঙ্গী খোজে।তবে দিনশেষে তাদের জীবন সেই রঙহীন সাদাকালোই থেকে যায়।ঠান্ডা ভাতের মত নিষ্প্রান একা মানুষ গুলা দিনশেষের পথেও একাই থাকে.....
Comments (0)
কিছুদিন পরেই তো নববর্ষ
পূর্ণ হতে যাচ্ছে আরো একটা বছর
শ্যাম , স্বেত বুঝিনা কিছুই
এই হতভাগার একটা সম্পর্কের খুবই প্রয়োজন।
কবি বুঝতে পারলাম বিয়েটা আপনার খুব পয়োজন। ভালো লেগেছে কবিতা।
খুব খুব ভাললাগা জানালাম ...
র্শাটের বোতাম চায়
এক চুল মেঘনার জল
শুকনো ঠোঁটে ফুল ফুটুক
ভাবনাটা এমনি গোলাপী কিংবা খয়েরী।
ভাবনাটা এমনি
গোলাপী কিংবা খয়েরী!---- দারুন!