Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

প্রান্ত সাহা

৮ বছর আগে লিখেছেন

অগঠিত কারক

-"আপনার পাশের সিটটা কি খালি?" -"না, আমার ব্যাগ বসে আছে" -"ব্যাগটা কোলের উপর রাখলে কি সমস্যা?" -"ব্যাগটার মন খারাপ, এখন কোলে বসতে চাইবে না" -"মন খারাপ কেন?" -"বই খাতার বদলে ল্যাপটপ ভরে রেখেছি তাই" মেয়েটা হেসে ফেললো। সিটি বাসের প্রায় অসুস্থ ইঞ্জিনের বিকট আওয়াজের মাঝে সেই হাসিটুকু হারিয়ে গেল। বাসের এ পাশ টায় রোদ এসে ঢুকছে। সকালের চনমনে রোদ। শ্যামলা করে মেয়েটার গালের একপাশে সেই রোদ পরে নয়নাবিরাম বিভ্রম তৈরী করছে। স্পিড ব্রেকারে বাসটা বাম্প করতেই মেয়েটা ব্যালেন্স হারালো। তবে সামলেও নিল দ্রুত, প্রকৃতি এ ক্ষমতা তাদের খুব বেশিই দিয়েছে। আমি ব্যাগটাকে কোলে নিয়ে জানালার পাশে চেপে গেলাম। মেয়েটা চোখে মুখে অবাক হবার ভঙ্গি ফুটিয়ে আরাম করে বসতে বসতে বললো " ওমা, মন খারাপের কি হলো?" আমি বিরাট এক দীর্ঘশ্বাস ধীরে ধীরে ছেড়ে বললাম, "স্টুপিড ব্যাগের মন খারাপে কি আসে যায়" মেয়েটা ভেংচি কেটে কানে হেডফোন লাগালো। আমি জানলা দিয়ে মুখ বের করে বাতাস খেতে লাগলাম। সায়েন্স ল্যাবের কাছাকাছি এসে বাসটার গতি কমতে থাকে, মেয়েটাও গান শোনা বাদ দিয়ে নেমে পড়ার তোরজোড় শুরু করে। নামটা জেনে নেওয়াটা আবশ্যিক কিনা তা ভাবতে ভাবতেই মেয়েটা হাওয়া। মন খারাপের বুদবুদ টা বড় সড় হয়ে উঠার আগেই আমি বরং হেল্পার মামার কাছ থেকে ভাংতি টাকার জন্য ঘ্যনঘ্যান শুরু করি। পকেটে ভংতি টাকার অভাব বোধ আজকাল সহযাত্রী মেয়ের নাম জানার চেয়েও জরুরী হয়ে পড়ছে। প্রবাসী স্বজনের পাঠানো নামী ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ হঠাৎ বিগড়ে যাওয়ায় এই অসময়ে বাস ভ্রমণ। দক্ষ মেকানিক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রায় সারাটা দুপুর লাগিয়ে প্রাণ ফিরিয়ে আনলো বেচারার। বাসস্টপে যখন দাঁড়িয়েছি তখন পেটে ছুঁচো দৌড়াচ্ছে। রাস্তা পার হয়ে গিয়ে 'মালঞ্চ'তে ঢুকে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

প্রান্ত সাহা

৮ বছর আগে লিখেছেন

অমানুষিক শান্তি

সম্পূর্ণ শূন্য বা ভয়েড হয়ে যাওয়ার একটাইপের আনন্দ আছে ... কেউ আমার জন্য ভাবছে না ... আমি কারো জন্য রাত জাগছি না ... আচ্ছা এই মূহুর্তে সে কি করছে কিংবা এত রাতে তার ফোন বিজি কেন ... আবার কবে তার সাথে দেখা হবে ... সারাদিন কথা হয় নি, একটু ফোন দেওয়া দরকার ... এসব কোন টাইপের কোন চিন্তা, দুশ্চিন্তা কিংবা রেস্পন্সিবিলিটি থেকে টোটালি ফ্রি হয়ে একদম ঝাড়া হাত-পা হয়ে যাবার একটা অমানুষিক শান্তি আছে!! continue reading
Likes Comments
০ Shares

প্রান্ত সাহা

৮ বছর আগে লিখেছেন

ভালোবাসার অবয়ব

আমার হৃদয় হৃৎপিণ্ডের চাইতেও অনেক গভীরে, রক্ত আর শিরা উপশিরারও অনেক গহীনে যে অস্পৃশ্য অবিনশ্বর আত্মা আছে, সেই আত্মাবিন্দু থেকে তোমাকে ভালোবাসি। তোমার রূপ অবয়ব বা বয়স নয়, তোমার আত্মাটাকে ভালোবাসি।
কারন ভালোবাসা নয় রূপ যৌবনের লোভ। ভালোবাসা মানে নিজের অপর সত্ত্বাকে তোমার মাঝে খুঁজে পাওয়া। যাকে ছাড়া আমি অপূর্ণ।
আমার হৃৎপিণ্ডের একটু উপরে, অল্প ডানপাশে, আমি নতুন হৃত্স্পন্দন টের পাই। তোমার জন্য এই হৃত্স্পন্দনের জন্ম। তুমিই আমার সেই হৃদয়ের টুকরো, যা দিয়ে তোমাকে তৈরি করা হয়েছে, আর যাকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমি অপূর্ণ।
তোমার কাছে কিছু চাওয়ার সাহস নেই আমার। আমি বরং তোমার কাছে নিজেকে দিয়ে দিলাম। আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ সম্পত্তি দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব থাকলো শুধু তোমার। আমার সবকিছু চলবে শুধু তোমার কথামতো। continue reading
Likes Comments
০ Shares

প্রান্ত সাহা

৮ বছর আগে লিখেছেন

একা

একা থাকা মানুষগুলো সবসময়ই একা।জীবনের বিশেষ কোন আয়োজনেও একা আবার শুনশান বন্ধ ঘরের স্তব্ধ পরিবেশেও একা।কেউ হয়ত তাদের একাকিত্বের গায়ে আনমনে চোখের একটি পলক বুলিয়ে যায়।তবে তাতে বিশেষ কোন পরিবর্তন হয়কি??
হুম,এই একটি পলক ই হয়ত তাকে একাকিত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়,নয়তবা এই একটি পলকই তাকে আরো একা করে দেয়।
পদার্থবিজ্ঞান ক্লাশে পিছনের বেঞ্চটিতে বসে থাকা সেই ছেলেটি।একা তার জগৎ।ক্লাশ ভর্তি ছেলেমেয়ের মাঝেও শুনশান একাকিত্বের কঠিন জীবন।তবে সে অভ্যস্ত।পৃথিবীর সব আয়োজন,অনুষ্ঠানেও সে বড় একা।পদার্থ বিজ্ঞানের অভিকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ও সামান্য ক্ষমতা নেই তার থেকে তার একাকিত্ব কে আলাদা করার। প্রতিদিন গভীর রাতে অন্ধকার খাবার টেবিলে একা একা মধ্যরাতের ভোজ গ্রহন করা লোকটি।বড্ড সঙ্গীহীন তার জীবন।রাতের আধারে চশমার ফ্রেম ভেদ করে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে।ঠান্ডা কড়কড়ে ভাত আরো ঠান্ডা হয়।জীবনে একটু ছন্দের অভাব,খেয়াল রাখা লোকের প্রচন্ড অভাব তার।
রোজ বিকেলে চিলেকোঠার ছাদে হেটে বেড়ানো মেয়েটি।উদাস মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে।আকাশ থেকে শুণ্যতার বৃষ্টি পড়ে তার গায়ে।কাজল ঠাসা চোখগুলো বড় ফ্যাকাসে।হয়ত কেউ খেয়ালি করেনি।প্রচন্ড অবহেলায় শুকিয়ে যাওয়া তার সব গুলি অনুভুতি।শুণ্যতার বৃষ্টিতে ভিজে হয়ত সতেজ হয় সেই অনুভুতি গুলো। একা থাকা মানুষগুলো জীবনে একটু রঙ খোঁজে,খুশির রং।একটু খানি সঙগ খোঁজে,ভালোবাসার সঙ্গ,হারিয়ে গেলে খুজে খুজে পাগল হওয়ার মত একজন সঙ্গী খোজে।তবে দিনশেষে তাদের জীবন সেই রঙহীন সাদাকালোই থেকে যায়।ঠান্ডা ভাতের মত নিষ্প্রান একা মানুষ গুলা দিনশেষের পথেও একাই থাকে..... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - প্রলয় সাহা

    কিছুদিন পরেই তো নববর্ষ

    পূর্ণ হতে যাচ্ছে আরো একটা বছর

    শ্যাম , স্বেত বুঝিনা কিছুই

    এই হতভাগার একটা সম্পর্কের খুবই প্রয়োজন।

    কবি বুঝতে পারলাম বিয়েটা আপনার খুব পয়োজন। ভালো লেগেছে কবিতা। emoticons

    - মাসুম বাদল

    খুব খুব ভাললাগা জানালাম ... emoticons

    - সুমন সাহা

    র্শাটের বোতাম চায়

    এক চুল মেঘনার জল


    শুকনো ঠোঁটে ফুল ফুটুক


    ভাবনাটা এমনি গোলাপী কিংবা খয়েরী।

     

    ভাবনাটা এমনি
    গোলাপী কিংবা খয়েরী!---- দারুন!emoticons

    • - নকল পুরুষ

      emoticonsemoticonsemoticonsemoticons

প্রান্ত সাহা

৮ বছর আগে লিখেছেন

নিঃসঙ্গতা

''গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় প্রায়ই। ছাড়া ছাড়া অর্থহীন স্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ জেগে উঠি। পরিচিত বিছানায় শুয়ে আছি, এ ধারণা মনে আসতেও সময় লাগে। মাথার কাছের জানালা মনে হয় সরে গিয়েছে পায়ের কাছে। তৃষ্ণা বোধ হয়। টেবিলে ঢাকা দেওয়া পানির গ্লাস। হাত বাড়িয়ে টেনে নিলেই হয়, অথচ ইচ্ছে হয় না।
কোন কোন রাতে অপূর্ব জোছনা হয়। সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে। ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হত। আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেন বাইরের উথাল পাতাল চাঁদের আলোর সঙ্গে আমার কোন যোগ নেই।
মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মত সে শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হাহাকার করে ওঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষণ্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি!'' continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...