-"আপনার পাশের সিটটা কি খালি?" -"না, আমার ব্যাগ বসে আছে" -"ব্যাগটা কোলের উপর রাখলে কি সমস্যা?" -"ব্যাগটার মন খারাপ, এখন কোলে বসতে চাইবে না" -"মন খারাপ কেন?" -"বই খাতার বদলে ল্যাপটপ ভরে রেখেছি তাই" মেয়েটা হেসে ফেললো। সিটি বাসের প্রায় অসুস্থ ইঞ্জিনের বিকট আওয়াজের মাঝে সেই হাসিটুকু হারিয়ে গেল। বাসের এ পাশ টায় রোদ এসে ঢুকছে। সকালের চনমনে রোদ। শ্যামলা করে মেয়েটার গালের একপাশে সেই রোদ পরে নয়নাবিরাম বিভ্রম তৈরী করছে। স্পিড ব্রেকারে বাসটা বাম্প করতেই মেয়েটা ব্যালেন্স হারালো। তবে সামলেও নিল দ্রুত, প্রকৃতি এ ক্ষমতা তাদের খুব বেশিই দিয়েছে। আমি ব্যাগটাকে কোলে নিয়ে জানালার পাশে চেপে গেলাম। মেয়েটা চোখে মুখে অবাক হবার ভঙ্গি ফুটিয়ে আরাম করে বসতে বসতে বললো " ওমা, মন খারাপের কি হলো?" আমি বিরাট এক দীর্ঘশ্বাস ধীরে ধীরে ছেড়ে বললাম, "স্টুপিড ব্যাগের মন খারাপে কি আসে যায়" মেয়েটা ভেংচি কেটে কানে হেডফোন লাগালো। আমি জানলা দিয়ে মুখ বের করে বাতাস খেতে লাগলাম। সায়েন্স ল্যাবের কাছাকাছি এসে বাসটার গতি কমতে থাকে, মেয়েটাও গান শোনা বাদ দিয়ে নেমে পড়ার তোরজোড় শুরু করে। নামটা জেনে নেওয়াটা আবশ্যিক কিনা তা ভাবতে ভাবতেই মেয়েটা হাওয়া। মন খারাপের বুদবুদ টা বড় সড় হয়ে উঠার আগেই আমি বরং হেল্পার মামার কাছ থেকে ভাংতি টাকার জন্য ঘ্যনঘ্যান শুরু করি। পকেটে ভংতি টাকার অভাব বোধ আজকাল সহযাত্রী মেয়ের নাম জানার চেয়েও জরুরী হয়ে পড়ছে। প্রবাসী স্বজনের পাঠানো নামী ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ হঠাৎ বিগড়ে যাওয়ায় এই অসময়ে বাস ভ্রমণ। দক্ষ মেকানিক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রায় সারাটা দুপুর লাগিয়ে প্রাণ ফিরিয়ে আনলো বেচারার। বাসস্টপে যখন দাঁড়িয়েছি তখন পেটে ছুঁচো দৌড়াচ্ছে। রাস্তা পার হয়ে গিয়ে 'মালঞ্চ'তে ঢুকে...
continue reading
Comments (0)
কিছুদিন পরেই তো নববর্ষ
পূর্ণ হতে যাচ্ছে আরো একটা বছর
শ্যাম , স্বেত বুঝিনা কিছুই
এই হতভাগার একটা সম্পর্কের খুবই প্রয়োজন।
কবি বুঝতে পারলাম বিয়েটা আপনার খুব পয়োজন। ভালো লেগেছে কবিতা।
খুব খুব ভাললাগা জানালাম ...
র্শাটের বোতাম চায়
এক চুল মেঘনার জল
শুকনো ঠোঁটে ফুল ফুটুক
ভাবনাটা এমনি গোলাপী কিংবা খয়েরী।
ভাবনাটা এমনি
গোলাপী কিংবা খয়েরী!---- দারুন!