একদিন নদীটির সাথে প্রতারণা করেছিল মানুষের পূর্বপুরুষেরা
তখন নদীটি যুবতী, তখন নদীটির মুখে দুকূল ছাপানো লাস্যময়ী হাসি!
মানুষের পূর্বপুরুষেরা নদীটির পুরুষ্টু বুকে
ডুবসাঁতার খেলতে খেলতে থুতু ছিটিয়েছিল!
মানুষের পূর্বপুরুষেরা সীমাহীন কামনার বর্জ্য
সেঁধিয়ে দিয়েছিল নদীটির কোমল যোনিপথে!
মানুষের পূর্বপুরুষেরা ভালবাসার কথা বলে
নদীটির গলা টিপে ধরেছিল!
এখন নদীটির মুখে বলিরেখা, এখন নদীটির বুকে বলিরেখা,
এখন নদীটির সারা শরীরে অসংখ্য বলিরেখা!
অথচ স্বর্গের কথিত অন্সপরাদের মতো নদীরও কখনও বুড়ি হবার কথা ছিল না!
এখন এই জনপদে কোন মানুষেরা এসে নদীর কথা শুনলে-
নদীর কাছে ছুটে যাবার জন্য উদগ্রীব হয়।
নদীর পাড়ে হাওয়া খেতে, নদীর বুকে ডুবসাঁতার কাটতে,
নদীর মায়া সান্নিধ্য পাবার জন্যে-তাদের ভেতরটা আকুলি-বিকুলি করে ওঠে!
তারপর যখন মানুষেরা নদীর পাড়ে যায়,- নদী তখন দূর্গন্ধ ছড়ায়!
বলিরেখার ভাঁজে ভাঁজে, কিংবা যোনির গহ্বরে জমে থাকে যেটুকু জল
তা থেকে কেবল দূর্গন্ধ ছড়ায়!
বোকা বনে যাওয়া মানুষেরা তখন নদীকে গালি দেয়!
ময়লা দাঁত বের করে নদী হাসে, মানুষের পূর্বপুরুষদের মুখ মনে করে,
আপনমনে নিজের ভেতরে নদী, নিজেই কাঁদে!
একদিন নদীটির সাথে প্রতারণা করেছিল মানুষের পূর্বপুরুষেরা
এখন নদীটি পাগলী বেশে ধোকাবাজি খেলায় মেতেছে মানুষের সাথে,
উত্তরকালের উত্তরপুরুষ নদীটিকে খুঁজে পাবে
ইতিহাসের পিঙ্গল জঠর ঘেঁটে!
Comments (9)
ধন্যবাদ নীল'দা
কবি সুকুমার রায়ের
জন্মদিনে তাকে স্মরণ করার জন্য
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার এই অসাধারণ পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য। বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়কে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে উনারই লিখা একটি কবিতা দিলাম...
এমন যদি হতো
সুকুমার রায়
এমন যদি হতো
ইচ্ছে হলে আমি হতাম
প্রজাপতির মতো
নানান রঙের ফুলের পরে
বসে যেতাম চুপটি করে
খেয়াল মতো নানান ফুলের
সুবাস নিতাম কতো ।
এমন হতো যদি
পাখি হয়ে পেরিয়ে যেতাম
কত পাহাড় নদী
দেশ বিদেশের অবাক ছবি
এক পলকের দেখে সবই
সাতটি সাগর পাড়ি দিতাম
উড়ে নিরবধি ।
এমন যদি হয়
আমায় দেখে এই পৃথিবীর
সবাই পেতো ভয়
মন্দটাকে ধ্বংস করে
ভালোয় দিতাম জগৎ ভরে
খুশির জোয়ার বইয়ে দিতাম
এই দুনিয়াময় ।
এমন হবে কি ?
একটি লাফে হঠাৎ আমি
চাঁদে পৌঁছেছি !
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে
দেখে শুনে ভালো করে
লক্ষ যুগের অন্ত আদি
জানতে ছুটেছি ।