Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সি এম সাইয়েদুল আবরার

১০ বছর আগে লিখেছেন

অপরাধের অন্তরালের কিছু কথা

“অতীতের অমুক অপরাধের সুষ্ঠু বিচার হলে কেউ আর এরকম গহির্ত কাজ করার সাহস পেত না”। যে কোন ধরণের অপরাধের পর আমাদের মহান বিজ্ঞ বিজ্ঞ ব্যক্তিরা এই ধরনের বক্তব্য প্রদান করেন অহরহ।আমি শুনে হাসি। ভাবি এরা কোন মগের মুল্লুকের বাসিন্দা। আর হেসে খুন না হয়ে পারি না। যারা এখন এ লেখাটি পড়ছেন তারা হয়ত আমাকে গালিগালাজ করাও শুরু করে দিয়েছেন। থামুন। একটু ধৈর্য ধরে পুরো লেখাটি পড়ুন আমি বাস্তব সম্মত উদাহরণ দিয়ে আপনাদেরকে বিশ্বাস করিয়ে দিচ্ছি।

গতকালের স্ট্যাটাস এই বলেছিলাম “অপরাধ” বিষয়ে আমি নিয়মিত লিখবো তবে তা মোটেও তথাকথিত শাস্তির বুলি ঝরিয়ে নয়।

 

“ধর্ষণ”!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!  যখনই পত্রিকার পাতায় কিংবা টিভি চ্যানেলের এ খবর পড়ি আমি থমকে দাঁড়ায়।

ভারতের বানিজিযক রাজধানী মুম্বাই এ এক ফটো সাংবাদিক গণধর্ষণের স্বীকার খবরটি আজকের প্রধান শিরোনাম। আটক ২০ জন আপনাদের “তথযাদিকার আইন” এর কারনে বলে রাখলাম। এ নযাক্কারজনক ঘটনা শোনার পর আমার স্মৃতিতে ফিরে এল কয়েক মাস আগের দিল্লির সেই ঘটনা।

সেই ঘটনার পর পুরো ভারতসহ বিশ্বজুড়ে কত কিছুই তো হয়েছিল।ধর্ষণের অনেক ঘটনা তো আড়ালেই থেকে যায় কিন্তু সেই ঘটনা দেখাল ভিন্নয চিত্র। আমি সেই সময় ভারতীয় ভাইবোন দের বিবেকের তাড়না দেখে আমি “লাল সালাম” জানিয়েছিলাম। আজ আমি তাদের “থুক্কু মারি”।

 

সেই ঘটনার পর যখন একপ্রকার বিপ্লব ঘটে গেল তখন নানামুখী চাপে ভারতীয় সরকার সে দেশের “ধর্ষণ দমন” আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনল, সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে। “মৃত্যুদণ্ডের বিধান” কেন রাখা হল? সহজ উত্তর ভবিষ্যতে এ ধরণের অপরাধ করার “সাহস” ও যেন কেউ না পায়। হায়রে বুদ্ধু!!!!!!!!!!! আপনাদের মনে করিয়ে দেই সেই ঘটনায় জড়িত ৬-৭ জনকে খুব দ্রুতই বিচার করা শুরু হয় যা এখনও চলছে।

তাহলে একটা প্রশ্ন খুব সহজেই জাগে। যেহেতু “অতীতের সেই ঘটনায়” জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছিল তাহলে আজকে কোন “সাহস” এ ২০ জন!! মিলে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করল?? বিজ্ঞদের সেই “তত্ব” অনুযায়ী তো ধর্ষণ সেই দিনই নির্মূল হয়ে যাওয়ার কথা। নাকি? কিন্তু আজ বিশ্ববাসী আবার দেখল সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এতে আমি মোটেও অবাক হয়নি। কেন সেই কথায় বলছি।

আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর প্রতি যে কাম দৃষ্টি আর ভোগবাদী মানসিকতা যে কতটা তীব্র তা অস্বীকার করার উপায় নেই। এখন বলতে হয় যে ধর্ষণের ঘটনায় কেবল ধর্ষকই নয় দায়ী আরও অনেক উপরতলার “মানুষ”, মিডিয়া, ভারতের “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি”র পরিচালক, প্রযোজক আর সেই সাথে বযাবসায়িক প্রথিস্ঠানগুল। প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামী এরাই। সেই সাথে “ হট নায়িকা”রাও।

রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ে বিলবোর্ডের “নগ্নরানী” দের। সাবানের, শ্যাম্পুরসহ নানান পণ্যের বাজারজাত করতে যেন বিজ্ঞাপন বানিয়ে পণ্য করা হচ্ছে নারীকেই। অধিকাংশ বিজ্ঞাপনেই কিন্তু এসব “সেক্সি হট নুড” নারীদের কোন ভুমিকায় থাকে না। তাদের ঐভাবে না প্রদর্শন করালেও পণ্যের বিক্রিতে ঘাটতি হবে না আমি নিশ্চিত। কিন্তু তাতে যে পুরুষের লালায়িত বাসনা পূরণ হয় না?? তাই তো এই “নগ্ন” আয়োজন। এবার আসি ভারতীয় সিনেমার সাম্প্রতিক হালচাল নিয়ে। নির্দ্বিধায় বলছি এগুল কি শিল্প নাকি কাম বাসনা পূরণের এক মহাযজ্ঞ?? প্রতিতযসা এসব পরিচালকের কাছে চলচ্চিত্রের গল্পের চাইতে বিবসনা নায়িকার রগ রগা দৃশ্যই “লগ্নি” করার ধারাল অস্র!!!!

অনেক কথা বলে ফেললাম, মূল কথা একটায় ধর্ষণ নির্মূল করতে হলে আগে এসব “গদফাদার” দের বিচার করুন তারপর না হয় ধর্ষকদেরকে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলান হবে। 

Likes Comments
০ Share

Comments (2)

  • - ইকবাল মাহমুদ ইকু

    • - মোঃ ফাহাদ খন্দকার

      :)

    • Load more relies...
    - ঘাস ফুল

    আবার এমনও আছে মশা জ্বলন্ত কয়েলের উপর বসে আছে নির্বিঘ্নে।

    এই লাইনটা মনে হয় বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেছে। কী বলেন ফাহাদ? 

    • - মোঃ ফাহাদ খন্দকার

      বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। লাইনটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পরলেও কিন্তু একেবারে মিথ্যা নয়।