কালকে নাকি সকাল থেকে দেওয়া হবে ভোট,
হাশেম মিয়াঁ, ভোটটা দিবেন, পড়ে লুঙ্গি-কোট।
কামাই এবার করবেন দাদা, পকেট হবে পুরু,
সকাল থেকে ভোট কেনাবেচা করবে নেতারা শুরু।
মানিব্যাগটা লাফিয়ে উঠবে, একশ দুশোর নোটে,
বেনসনেরই বিড়ি থাকবে, কালো কালো ঐ ঠোঁটে।
এরকমই সব স্বপ্ন দেখে ঘুমটা ভাঙলো দাদার,
সকাল থেকেই দেখা হয় যেন পরম লক্ষ্মি-রাধার।
গসুল সেরে, পাওডার মেখে চুল গুলো শেতি করে,
রেডি হয়ে গেলেন, হাশেম মিয়াঁ, ভোটের দিনের ভোরে।
দশটা নাগাদ বুথে চলে এসে, দাদা ঘুর ঘুর করেন,
ধৈর্যহারা দাদা যে আমার টাকার জন্য মরেন।
লোকের পরে লোক দাঁড়িয়ে, লম্বা হয়েছে সারি,
ক্ষুধার জ্বালায় চুরবুর করে, দাদার শুকনো নাড়ি।
ভোটটা উনি বেচবেন বলে পিছিয়ে পিছিয়ে দাঁড়ান,
গরমের চোটে বেচারা দাদা রুমাল ঝাড়িয়ে নাড়ান।
সকাল গেল, দুপুর গেল, বিকাল গড়িয়ে আসে,
লক্ষ্মি-রাধা অন্যের ঘরে খিলখিলিয়ে হাসে।
বিগারে দাদার পিনিক তখন মাথায় বসেছে চড়ে,
ভোট তো দাদা দিবেন না বলে হটে গেলেন সরে।
Comments (12)
পড়লাম কিন্তু কি বলব ভাবছি
চলুক যার যেমন খুশি।
তবে কথা কিন্তু মন্দ বলেনি
ধন্যবাদ আপা মন্তব্যের জন্যে
তাঁরা খ্যাতিমান লেখক, প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা, সচিব, ব্যবসায়ী, ঠিকাদারদের অখাদ্য-কুখাদ্য পেলেই শুধু কোনো দিক থেকে শব্দ সংখ্যা কমিয়ে পত্রস্থ করতে পারলেই চাকরিজীবন সার্থক মানেন। আর এসব ব্লগে যাঁদের লেখা পোস্ট হয়, তাঁরা এত বেশি আবেগে উদ্বেল থাকেন যে, একই রচনা একই সঙ্গে একাধিক ব্লগে পাঠানোর ভেতর আত্মতৃপ্তি খোঁজেন।
লেখাটায় বাস্তবতা আছে। ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ