Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

এনামুল রেজা

৯ বছর আগে লিখেছেন

দস্তেভয়েস্কির নোটস ফ্রম দি আন্ডারগ্রাউন্ডঃ আমাদের ভূগর্ভবাসের বয়ান

নিরন্তর অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে, এই ধরণের মানুষ আমাদের চারপাশে মেলা আছে।
দোকানে সদাই কিনতে গেলে যে লোকটার মনে হয়, দোকানি তাকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্য ক্রেতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিংবা রাস্তায় হাঁটার সময় মনে একটা শংকা কাজ করে, “সবাই কেমন করে যেন আমার দিকে তাকাচ্ছে, নিশ্চয়ই বাজে দেখাচ্ছে আমাকে!”
সবচেয়ে বড় সংকট হয় জমজমাট কোন আড্ডায়। ওই লোকটা ভাবে, তার কথা কেউ তেমন শুনছেনা, তার দিকে কেউ খেয়াল করছেনা!
মানব চরিত্রের বড় জটিল কিন্তু স্বাভাবিক একটা দিক হচ্ছে এই অস্তিত্ব সংকটে ভোগা। মজার বিষয় সমাজের নিম্ন স্তরের মানুষ কিন্তু এ ধরণের কোন ঝামেলায় পড়েনা। উচ্চবিত্তও না। এ সমস্যার মূল ভুক্তভোগী হল মধ্যবিত্ত কিংবা সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্তরা।
হঠাৎ এইসব নিয়ে কেন লিখছি? লিখছি কারণ লিখতে বাধ্য হচ্ছি। ফিওদর দস্তেভয়েস্কির “নোটস ফ্রম দি আন্ডারগ্রাউন্ড” পড়া শেষ করে কিভাবে বসে থাকা যায়? দুকলম যে লিখতে শিখেছে, সে লিখবেই। যে লিখতে পারছেনা, সে থম মেরে বসে থাকবে পর পর দুদিন!
নিয়তির সন্তান মানুষ মাঝে মাঝে নিজ হাতে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে। আপন দুর্ভাগ্য সে খাল কেটে কুমির আনার মতো নিজের জীবনে ডেকে আনে, সর্বনাশা মনের বিচিত্র সব অনুভবে জর্জরিত হয়েই। তাহলে দুঃখে জর্জরিত মানুষ শেষ পর্যন্ত অভিযোগের আঙুল কার দিকে তুলবে? নিজের দিকে কি আঙুল তোলা যায়?
ব্যক্তিত্বের দ্বন্দে ভুগতে ভুগতে তখন সে নিজেকে ভাবতে থাকে অন্ধকার গর্তে বাস করা ইঁদুরের মতো। নিজের গল্পগুলো তখন সে বলতে থাকে ওই গর্তে বসে বসেই!

বইটা দুটো ভাগে ভাগ করা। প্রথম পর্ব “ভূগর্ভবাস” এ নামহীন এক সরকারি কর্মচারি নিজের মনের ভিতর চলতে থাকা চিন্তা ভাবনা আপনার সামনে উগরে দেবে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেয়া যেতে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    াইয়া, পহেম্ব্র কি জিনিস? নাকি বানান ভুলের কারণে বুঝা যাচ্ছেনা? এছাড়া কিছু সহজ বানানে ভুল দেখতে পাচ্ছি---এগুলো ঠিক করে দিলে এটা অনেক সুন্দর দেখাবে।

    যেমন- মোড়ানো, প্রাণদাত্রী, বিঁধে, অশ্বরীরী আত্মা, ভবমূর্তী

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    পহেম্বর কি? আগের মন্তব্যে আমার বানান ভুল হয়েছে।

    - আসাদ ইসলাম নয়ন

    দারুন ।

এনামুল রেজা

১০ বছর আগে লিখেছেন

অপরিপক্ক

গ্রামের এ প্রান্তটা বেশ নির্জন।
চারপাশ দিয়ে যে নদীটা বয়ে চলে গেছে অবিশ্রান্ত, সেটির একদম তীরবর্তী বলেই হয়তো। পাশাপাশি চার-পাঁচটা বাড়ী। তারপর বিশাল ধানক্ষেত, বিল। সেসব পার হয়ে আবার দাঁড়িয়ে থাকা চার-পাঁচটা ঘর। যেন গ্রামের মাঝে আরও ছোট ছোট গ্রাম।
নির্জন বলেই হয়তো এদিকটা গ্রামের অঘোষিত প্রণয় ক্ষেত্র। সন্ধ্যার পর এদিকটায় সাধারণত কেউ আসেনা। তবে তখন নদীর পাড় ধরে নিরুদ্দেশের মত হাঁটতে থাকলে হঠাত হঠাত থমকে দাঁড়াতে হয়। হয়তো কোন ঝোপের ভিতর থেকে নড়া-চড়া, অস্ফুট শব্দ আসতে থাকে! চমকে উঠে ঘুরে চলে যাওয়া ছাড়া আগন্তুকের অন্য কিছু মাথায় আসেনা। কি ভৌতিক ব্যপার!
মূল গ্রাম এই যায়গাটা থেকে আরও অনেকটা ভিতরে। ছোট্ট কিন্তু জম-জমাট বাজার, লোকালয় সমস্ত কিছুতে মেশা। তবে ওই যে ঘনবসতি বলতে যা বুঝায়, তেমন কিছু ব্যপার এখানে নেই। সবাই সবাই কে চেনে, নাম জানে। মাঝে মাঝে দু-পাঁচ জন যারা অনিয়মিত আসা যাওয়া রাখে, এরাও প্রায় সবারই মুখচেনা।
তাই যখন ভ্যানচালক হামিদ গত রাতে নদীর পাড়ে বড়ো বিসর্জনের কাজ করতে গিয়ে দেখেছিল- ঝোপের মধ্যে অদ্ভূত কিছুর নড়াচড়া, সেটা তার কাছে মোটেও সহজ ব্যপার ছিলনা।  বিধায় তা হামিদের মুখ হয়ে দশ কান, দশ কান হয়ে ত্রিশ কান এভাবে সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো।
হামিদের কণ্ঠেই ঘটনাটি সবচেয়ে বেশি রসমন্ডিত হয়ে ওঠে- বুইসেন মিয়া ভাই, আমার তেন্নে হেব্বি হাগা লাগিসে। বদনা নিয়ে পাইখানাই গিসি, শালা দেহি আমার আগেও আর কেউ তার ভিতর ঢুইকে রইসে! শাউয়ো ভড় ভড় আওয়াজে পাইখানা কাঁপায় দেসসে একদম…
চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লোকজনের মাঝে হাঁসির তুফান ওঠে। চা’র দোকানের মালিক বজলু বলে- হামিদ শাউয়ো তুই কতাও কতি পারিস! এত্ত কতা না কইয়ে আসল ঘটোনা ক দিন!
... continue reading
Likes ১১ Comments
০ Shares

Comments (11)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    ছবিতে ভ্রমনটা ভালই হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      আপনাকেও ধন্যবাদ অনেক অনেক

    - নীল সাধু

    আর কদিন এই মেঘ এই রোদ্দুর তারপর এই ব্লগে ছবি পোষ্ট দিতে কোন কষ্টই হবেনা। বেশ ভালোভাবে দিতে পারবেন। ভালো লাগা রইলো -

     

    আকাশ থেকে দেখা হল যেন সকল - নাইস।

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      অপেক্ষায় থাকলাম । অনেক ছবি পোষ্ট বাকি আছে কিন্তু

       

      ধন্যবাদ নীল দা

    - প্রহরী

    খাবার গুলো দেখতে কি রকম লাগছে

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      ঠিক । খেতেও মজা ছিল না

      ধন্যবাদ

    Load more comments...