আমি রাস্তাঘাট এত ভাল চিনিনা। ভাবছিলাম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যাব কি যাবনা। নক্ষত্র অফিস কোথায় তাও জানিনা।আবার সময়েরও অভাব। পাশা ভাই ফোন দিয়ে বলল অনুষ্ঠানে যেন সময়মত হাজির হয়ে যাই। ঠিক করলাম রাস্তাঘাট চিনি আর নাই চিনি যাবই, মোবাইল তো আছেই। আমার পাশের বাসার এক ভাবীকে রাজি করালাম আমার সাথে যাওয়ার জন্য। দুইকাজ একসাথে করার পরিকল্পনা নিয়ে বের হলাম। নক্ষত্র অফিস আর বই মেলা।
পান্থপথে গেলাম কিন্তু অফিস তো চিনিনা। ফোন দিলাম নীলদাকে, ফোন ধরলেন ভাবী। উনি বলে দিলেন কিভাবে অফিসে যেতে হবে।গেলাম কিন্তু তাও পেলাম না। আবার ফোন দিলাম, নীলদা ফোন ধরে বলে দিলেন।৬ তলায় অফিস, উঠতে উঠতে হাঁপিয়ে গেলাম।অফিসে দেখি ৩/৪ বসে আছেন। জিজ্ঞেস করলাম ‘’ আপনারা কি ব্লগার’’? বলল হ্যা । পরিচিত হলাম, একজন সুমন আহমেদ আরেকজন কে এম রাকিব। দুজনেই খুব ভাল লিখেন। অনেক সময় বসে আছি কার কারো পাত্তা নেই। ফোন দিলাম পাশা ভাইকে, নীলদাকে। অনেক সময় পর উনারা আসলেন।প্রামাণিক ভাইয়ের ছেলে এলেন, আলমগীর সরকার এলেন, রব্বানী ভাই, নীল ভাবী এবং ব্লগের সি ই ও।
অনুষ্ঠান শুরু হল। সবাই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করল। ফটোসেশন হল। তারপর সবাই বই মেলার দিকে ছুটল।
সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল কিন্তু হাল্কা চা নাস্তার আয়োজন থাকলে আরও একটু বেশি ভাল লাগত। প্রতিযোগিতার ৩টা পর্বের সব বিজয়ীদের নিয়ে যদি একসাথে বড় করে অনুষ্ঠান করা হত তাহলে অনেক ভাল হত।তারপরও নতুন ব্লগ হিসেবে নক্ষত্র ব্লগ কর্তিপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই আয়োজনের জন্য।
Comments (16)
অসাধারণ চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। খুব ভাল লাগলো। শ্রদ্ধা জানবেন।
লেখা পড়ার জন্যে ও সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ জানাই।
গল্পটা বেশ ভালো লাগলো। ঝরঝরে লেখা। আমাদের সমাজে ধর্ষিতা নারীর ইজ্জত যায়, কিন্তু যারা ধর্ষণ করে তাদের ইজ্জত যায় না। আফসোস! ঝুমির তো কোন দোষ ছিল না। তবে কেন এই অন্যায় অবিচার। লবুন হতে পারে একজন টোকাই কিন্তু সে ব্যাপারটা ঠিকই বুঝে। সে বুঝে নিয়েছে ঝুমি নির্দোষ। ওর ইজত জোড় করে নেয়া হয়েছিল। ওর কোন দোষ ছিল না। তাই তো সে ঝুমিকে ভালোবাসতে পেড়েছিল। ঝুমিও যখন দেখল লুবন তার ধর্ষণের ব্যাপারটা বুঝে নিয়েছে, তখন মনে হয় সেও লুবনকে ভালোবেসে আলোর পথে দু'জন মিলে পা বাড়িয়েছে।
গল্পের বার্তাটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। লিখেছেনও বেশ সাবলীল ভাষায়। ধন্যবাদ তাপস দা।
গল্প ভাল লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।