বইঃ আহমদ ছফার ডায়েরি
১। লোকে যাই বলুক, যাই অনুভব করুক, নিজের কাছে আমি অনন্য।
২। সরলতা এবং সততাই আমার মূলধন।
৩। নারীরা নারীই, সঙ্গের সাথী, দুঃখের বন্ধু এবং আদর্শের অনুসারী নয়।
৪। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কারো রচনায় আমার মন বসে না।
৫। কার্লাইল গ্যয়টেকে মহাপুরুষ মুহাম্মদের চাইতেও বড়ো মনে করেছেন। আমার ধারণা তিনি ভুল করেছেন। কারণ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) জীবনের স্বরুপ উপলব্ধি করে নিজস্ব মহিমায় স্থিত করেছেন। আর গ্যয়টে শুধু জীবনের মহিমা কীর্তন করেছেন। Prophetic genious –এর সাথে Poetic genious-এর এখানেই তফাৎ।
৬। বাংলাদেশেরআসলবস্তুবলেযদিকিছুথাকেতাহলোএরআমলাতান্ত্রিককাঠামো।স্থবির, অনড়, লোভী, রিদয়হীনএবংবিদেশীশক্তিরক্রীড়নকহওয়ারজন্যেসর্বক্ষণপ্রস্তুত।
৭। মানুষের শরীরে যেমন টিউমার থাকে, পণ্ডিতেরাও তেমনি সামাজিক টিউমার। প্রকৃতির গভীর গোপন রহস্য এরা বোঝে না। এরা বিশ্বাস করে ছাপার অক্ষরের প্রমাণ।
৮। মহৎ সাহিত্যের মধ্যে একটা পবিত্র প্রাণশক্তি সব সময়েই থাকে। এটা এক ধরণের আশ্চর্য রহস্যময় শক্তি। অনেকটা মা-রেফাত বা আধ্যাত্মিক তত্ত্বের মতো।
৯। ইসলামের সম্ভাবনা এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে যোগহীন কোনো রাজনীতির ভবিষ্যত এদেশে নেই।
১০। মানুষ যে সমস্ত কথা বলে, ইতিহাসের কাছে নির্দোষ প্রমান করার জন্য সজ্ঞানভাবে লিখে যায়, ও সমস্ত প্রয়াসের মধ্যে একটা কপটতা রয়েছে।
১১। মাথায় খুস্কি, চোখের নিচে কালো দাগ এবং দাঁতের ব্যথা এ তিনটি যেনো আমি সাহিত্য, সঙ্গীত এবং রাজনীতির কাছে থেকে পেয়েছি।
১২। বোকা লোকেরা বোকামীতে ভয়ানক চালাক। তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বোকামীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
১৩। বাঁধনহীন মানুষের অনেক বাঁধন।
সম্পাদনাঃ ফাতিন আরেফিন