জীবনের ছাইরাঙা পথে চলতে চলতে আমরা এমন কিছু কিছু মানুষকে পেয়ে যাই, যাদের না পেলে হয়তো জীবনের সব ধ্বংসের আয়োজনের মাঝেও সৃষ্টির সম্ভাবনা জাগতো না। খুব বেশি থাকে না সেসব মানুষেরা। কিন্তু সব অপূর্ণতার মাঝেও তাদের মাঝে পরিপূর্ণতার ছায়া খুঁজে পাওয়া যায়, খুঁজে নেয়া যায়।
এমন মানুষ কখনো আসে দুঃসময়ের বন্ধু হয়ে, কখনো শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে, কখনো উল্লাসী প্রেম হয়ে, কখনো হয়তো চিরন্তন ভালোবাসার সম্পর্ক ভাই-বোনের ছায়া হয়ে। কিন্তু এরা আসবেই। আমরা জেনে তাদের জন্য অপেক্ষা করি, না জেনেও অপেক্ষা করি। অথবা তারা আমাদের সাথেই আছে, পাশাপাশি পথ চলে, আমরা বুঝতে পারি না। কারণ আমরা কাছের মানুষদের ব্যাপারেই সবচেয়ে কম জানি।
প্রতিটা মানুষের জীবনেই একান্ত কিছু সুখের মত দুঃখ আছে। অপেক্ষার পরের সম্পর্কগুলো সে দুঃখগুলো ভুলিয়ে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। ইচ্ছে করে চালায় না, অনিচ্ছায়-ও না। এটা যেন একটা অলিখিত একমাত্র কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। নিজের ইচ্ছেতে আর নিয়ন্ত্রণ হয় না তা।
এমন কিছু আমার ভেতর দিয়েও যাচ্ছে, আমার আপুনির ভেতর দিয়েও যাচ্ছে। ওকে আপুনি বলে আমি হয়তো ভালো করে ডাকিও না। সারাদিন করি দুষ্টোমি। ও সে দুষ্টোমিতে খুব হাসে। সে হাসি আমি দেখি না। কিন্তু বুঝতে পারি আমার বোন হাসছে, প্রাণখুলে হাসছে। আমিও সেই হাসিতে মিশে যাচ্ছি। ওই হাসিটুকু হয়ে ওঠে আমার সবচেয়ে বড় উপহার, শ্রেষ্ঠ উপহার। ইচ্ছে হয় একবার বলি, "আপুনি কিংবা বুবু কিংবা এই ফাজিল মাইয়া এমন করেই হাসিস, আমাকে কাঁদিয়েও হাসিস, আমাকে হাসিয়েও হাসিস। কিন্তু কখনো কাঁদিস না, আমাকে কাঁদিয়েও না, আমাকে হাসিয়েও না। তুই যে আমার অনেক আদরের, অনেক ভালোবাসার। কতটা তা মেপে বলতে পারবো না। কেউ কখনো পারেওনি। শুধু বলি, আঁধারের রাজ্যে ওই চাঁদমুখটা যেন কখনো আশ্রয় না নেয়, চাঁদের অবাক জ্যোছনায় যেন ভেসে যায় সব"
এই শুনছিস তুই? মুখে বলতে পারিনি, আজ লিখে দিলাম। যতন করে রাখিস। কথাগুলো উঠে এসেছে এমন এক জায়গা থেকে যা ছুঁয়ে দ্যাখার সাধ্য কারও নেই।
কোন ঝড় যেন উড়িয়ে না নেয়, সূর্যের প্রখর কোন তাপে যাতে পুড়ে না যায় আমার অথবা আমাদের এই আয়োজন।
Comments (0)
দারুণ লিখেছেন...
ধন্যবাদ :)
বেদনা ক্ষত; প্রলেপ লেপনে বসন্ত ঘ্রাণ
কবি,,,,,,,
প্রলেপ লেপনে বসন্ত ঘ্রাণ
অতিব সুন্দর উক্তি।
চমৎকার হয়েছে, ভালো লাগলো
ধন্যবাদ :)