Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আহসান কবির

১০ বছর আগে লিখেছেন

আজকাল অর্থকড়ির গন্ধ ছাড়া গরীবের গোলাপ থেকে সুগন্ধি নেয়না কেউ!

টাকার জন্য বিয়ে করতে নেই। কারণ এর চেয়ে ঢের বেশি সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায়!
                                                                                     -স্কটল্যান্ডের প্রবাদ
দূরদেশ ইংল্যান্ডে জন্মেছিলেন বলে কিনা জানি না,সেক্সপীয়র আমার জীবনে আসার আগেই বাংলা ব্যকরণ চলে এসেছিল। এই ব্যকরণ বই প্রথম আমার মত অনেকের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়-অর্থই সব অনর্থের মূল! এরপর অর্থ কেন এবং কী ভাবে অনর্থ তৈরি করছে সেই ভাব সম্প্রসারণ করতে করতে অনেক দিন গেছে। সেক্সপীয়র তখনও আসেন নি তবে ভাব সম্প্রসারণের পরিবর্তে চলে এসেছিল আর একটি ভাব সংকোচন। এই ভাব সংকোচন ছিল অনেকটা এমনÑযে যাই বলুক টাকা ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না! ঘরে টাকা বাইরে টাকা,টাকাহীন বসবাস একেবারেই অসম্ভব। জন্মানোর সময় টাকা(হাসপাতাল খরচ)বেচে উঠতে টাকা,পড়ালেখা চালিয়ে নিতে টাকা অর্থাৎ বেচে থাকার জন্য জীবনভর টাকা এমন কি মৃত্যুর পরেও(মৃতের সৎকার)টাকার প্রয়োজন!
ছোটকাল থেকেই টাকা নিয়ে পরস্পর বিরোধী এমন ভাব সম্প্রসারণ ও সংকোচন আমাদের শিখতে হয়েছে। তবে সেক্সপীয়র ভাবটাকে নিয়ে টানাটানি করেন নি, একটা সেটেলডাউনের দিকে নিতে চেষ্টা করেছেন। যদিও তার এই ভাব তিন চারশ বছর আগের। সেক্সপীয়রের অমর ডায়ালগটা হ”েছ-মানি ইজ দ্য ভিজিবল গড! হায় এক ঈশ্বরকেই শুধু আমরা দেখতে পাই। তার নাম টাকা! পরবর্তীকালে,মানে প্রায় তিন চারশ বছর পরে এই অধম  মানি ইজ দ্য ভিজিবল গডের সাথে আরো এক লাইন যুক্ত করেছে।ব্যাংক ইজ দ্য গ্রেটেস্ট টেম্পল! ঈশ্বর কিংবা দেবতারা থাকেন স্বর্গে যেখানে আমরা যেতে পারিনা শুধু কল্পনা করতে পারি। টাকা নামের ঈশ্বরের বাস¯’ান হ”েছ ব্যাংক। মসজিদ,গীর্জা,প্যাগোডা কিংবা মন্দিরের মত টাকা দেবতার বাস¯’ান তাই দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। ব্যাংকে যার নামে যত বেশি টাকা থাকে সে নাকি তত বেশি ঈশ্বরের কাছাকাছি যায়!  মানিক বন্দোপাধ্যায় কী সে কারণেই বলেছিলেন ঈশ্বর থাকে ঐ ভদ্র পল্লীতে?
টাকার গায়ে  ভদ্র অভদ্র,ছোট বা বড়,জাত বা ধর্ম কিছুই লেখা থাকে না। লেখা থাকে চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে! কিš‘ এই টাকা দেবতা কিংবা ঈশ্বর কী সভ্যতার সমান পুরোনো? এক কথায় উত্তর না! আগে ছিল বিনিময় প্রথা। আমার মুরগী উদ্বৃত্ত আছে দরকার চাল। আপনার চাল আছে দরকার মুরগি। যদি দুজনই রাজি থাকি তাহলে বিনিময় হবে। এভাবেই চলে আসছিল। কিš‘ পুরোপুরি চলছিল না। এই চলছিল না থেকেই বিনিময় মুদ্রার ক্রমশ আর্বিভাব হতে থাকে যার বিনিময়ে কেনা যাবে যে কোন কিছু। যাই হোক মানি(সড়হবু)শব্দটার উৎপত্তি রোমের সাত পাহাড়ের একটি ক্যাপিটোলাইনের মন্দির হেরা থেকে। ল্যাটিন মনিরো শব্দটাও জড়িয়ে আছে এর সাথে। বিনিময় প্রথার যুগ শেষ হবার বহু পরে ওজন পরিমাপক বাটখারা সেকেল ও বেয়ারলি প্রাথমিক ভাবে বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।হেরোডোটাসের মতে লিডিয়াস হ”েছন প্রথম মানুষ যিনি খৃষ্ট পূর্ব ৩০০০ সালের দিকে সোনা ও র“পার মুদ্রা প্রচলন করেন। খৃষ্ট পূর্ব ৬০০ শতাব্দীতে এসে তামা,সোনা ও র“পার মুদ্রা বা কয়েন পৃথিবীর বিভিন্ন ¯’ানে ব্যবহৃত হতে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বা রাজ্যে বিনিময় বা কেনা কাটার জন্য এই মুদ্রা বা কয়েন প্রায় দুই হাজার বছর ব্যবহৃত হয়েছে। কাগজের নোট বা টাকা প্রথম ব্যবহৃত হয় চীনে,সপ্তম শতাব্দীর শেষে সং রাজাদের আমলে। কিš‘ সে সব ছিল একেবারেই অপ্রতুল। বেশি টাকা ছাপানো যেত না,কাগজ পাওয়া যেত না,এমন কি বেশিদিন টিকতো না! কয়েনের ছিল তাই সর্বগ্রাসী জনপ্রিয়তা। ১৬৬১ সালে সুইডেনের স্টকহোম ব্যাংক প্রথম কাগজের নোটে লেনদেন শুর“ করে এবং সেটা ইউরোপে দ্র“ত জনপ্রিয় হয় এবং ছড়িয়ে পরে। এরপরে টাকার কাগজের মান ও মুদ্রন যন্ত্রের শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি ঘটেছে। থার্টথ্রুব নায়িকার শরীরের মত টাকার ডিজাইনেও এসেছে বহুবিধ পরিবর্তন। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে টাকা শুধু কেনা কাটা বা খরচের মাধ্যম না,দেখারও জিনিস। বিভিন্ন দেশের মুদ্রা বা টাকা জমানোর ঝোকও ভীষণ বেড়েছে।
আর এই টাকার সাথে বেড়েছে কিংবা কমেছে অনেক কিছু,বদলে গেছে মূল্যায়ন। সেক্সপীয়র যা বলে গিয়েছিলেন চার শতাব্দী আগে, সেই টাকা দেবতার তুষ্টির জন্য টাকার দাড়িপাল্লায় সব কিছু মাপার প্রবনতা বেড়েছে ভয়াবহ ভাবে। একইভাবে যে কোন মূল্যে টাকা কামানোটাই হয়ে উঠেছে মুখ্য। এক সময়ে হলে যেয়ে বাংলা ছবি দেখাটা ছিল এদেশের মানুষের একমাত্র বিনোদন। সিনেমার টিকেটের টাকা ম্যানেজ করতে কেউ বাজার থেকে টাকা মারতো। কেউ গৃহপালিত মুরগী বা ছাগল লুকিয়ে বিক্রি করে দিত। কেউ হয়তো বেচতো ধান। স্মৃতি চারণের সময় এভাবে টাকা সংগ্রহকে কেউ খারাপ চোখে দেখে না। কিš‘ এই টাকার জন্য হতে থাকে টেন্ডারবাজি,অস্ত্রবাজি কিংবা খুনোখুনি। টেন্ডারবাজি যখন নিয়মিত ঘটনা তখন বড় কোন নদীর উপর স্বপ্নের সেতুর পুরোটাই নাই হয়ে যায় এই টাকার কারণে! বিদ্যুত নাই কিš‘ খাম্বা পোতার ঘটনা ঘটে শুধুমাত্র কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই!
গান,কবিতা,উপন্যাস কিংবা ছায়াছবিকে ঘিরেও থাকে টাকা। সৃষ্টিশীলতার সবচেয়ে কঠিন এবং বিশুদ্ধ মাধ্যম যদি কবিতাই হয়ে থাকে তাহলে তসলিমা নাসরিনের জন্মদিন কবিতার শেষ লাইনটা কেমন?
এরপর যতগুলো বছর পেরিয়েছে
গুনে গুনে ঠিক ততোগুলো গোলাপ দিয়ে বলেছি
ভালোবাসি,ভালোবাসি!
তুমি ফিরেও তাকাও নি!
আজকাল অর্থকড়ির গন্ধ ছাড়া গরীবের গোলাপ থেকে
সুগন্ধি নেয়না কেউ!
হয়তো সে কারণেই নান্দনিক স্কুল মাস্টারের চেয়ে থানার দারোগাই হয়ে যায পাত্র হিসেবে বেশি পছন্দের। পুলিশ কিংবা কর বিভাগের চাকরি অথবা যেখানে আছে উপরির হাতছানি সেসব চাকরির জন্য শুর“ হয ভয়াবহ প্রতিযোগিতা। কবিতার মত গানে কিংবা ভালোবাসাতেও ভর করে টাকা। টাকা ছাড়া প্রেমিক বা স্বামী কিংবা স্ত্রীর অন্য কোন যোগ্যতা যেন থাকতেই পারে না! আর তাই ছড়া লেখা হয় এভাবেÑ
ব্যাপার কী ফানি দ্যাখÑ
মেয়েদের মন কেনে ছেলেদের মানিব্যাগ!
এই ছড়ায় মেয়েদের ছোট করা হযেছে তেমন ভাবার কোন কারণ নেই। কারণ ব্যঙ্গ করে প্রায়শই বলা হয় ছেলেরা মানিব্যাগ ফুলপ্যান্টের ব্যাক পকেটে রাখে কেন? উত্তর হ”েছ-টাকার ওম সবচেয়ে বেশি দ্র“ত ছড়ায় এবং গরম রাখে যৌবন!
কবিতা বা ছড়ার মত বাংলা ছবির নাম আছে পয়সা পয়সা কিংবা টাকার পাহাড়। কোটি টাকার কাবিন,কোটি টাকার ফকির কিংবা এক টাকার বউ! আছে টাকা আনা পাই কিংবা সোনা ডলার টাকা। ইংরেজি ছবির নাম ফর এ ফিউ ডলার মোর আর হিন্দি ছবির নাম ব্লাড মানি! যে যাই বলুক ছবি,গল্প,উপন্যাসের মত ভালোবাসা কিংবা বিয়ের ক্ষেত্রেও টাকাটাই যেন সবচেয়ে বড় নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমেই জানতে চাওয়া হয় ছেলে বা মেয়েটা কী করে? যদি জানা যায় মেযে চাকরি করে তাহলে তো পাত্রপক্ষ ভীষণ খুশি। প্রতি মাসে যৌতুক পাওয়া যাবে! আর ছেলের চাকরিতে বেতনের সাথে উপরি থাকলে সেতো সোনার ছেলে! স্ত্রী যতো টাকা খরচ করতে পারে তার চেয়ে অনেক বেশি যে পুর“ষ কামায় সেই নাকি সবচেয়ে সফল পুর“ষ। আর এমন পুর“ষকে খুঁজে বের করতে পারে যে নারী সেও নাকি সফলতমদের একজন! হয়তো একারণেই এমন কৌতুক জন্মায়-
ছেলে: বাবা বিয়ে করতে কতো টাকা লাগে?
বাবা: এখন পর্যন্ত শুধুই দিয়ে যা”িছ। কতো দিয়েছি আমার মরার পরে হিসেব করে দেখিস!
টাকা না থাকলে জীবন কীভাবে কাটে? একটা চীনা প্রবাদ এমনÑযে পুর“ষের টাকা নেই সে পতিতার চেয়েও খারাপ দিন কাটায়! রেনেসা ব্যান্ডের জনপ্রিয় একটা গানের কথা এমনÑদুঃখের দিনে কাছে আসে পথ ভুলে কী কেউ?একলা ঘরে পরে রবে জানবে নাতো কেউ। দিন বদলের খেলাতে মন বদলের মেলাতে মানুষগুলো দিনে দিনে বদলে কেন যায়? হ্যা,মানুষ ক্রমাগত বদলায়। প্রিযতমা আর টাকাহীনা দিন নরকের আগুনের মত। সিংহাসন হারিয়ে সম্রাট হুমায়ূনের মর“ভুমি কিংবা জঙ্গলের ভেতর দিনের পর দিন পালিয়ে থাকার মতোন!
তারপরও কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন টাকা হয়তো অনেক কিছু পারে কিš‘ সব কিছু পারে না। টাকা ঘুমের ওষুধ যোগাতে পারে,ঘুম কিনতে পারে না। সুখের সব উপকরণ যোগাড় করে দিতে পারে কিš‘ সুখ সরবরাহ করতে পারে না। আনুষঙ্গিক অনেক কিছুই যোগাড় করা সম্ভব টাকার বিনিময়ে ভালোবাসা নাকি কেনা সম্ভব না। দামাদামির জন্য কোন দালালির পদ বড়জোর টাকা তৈরি করে দিতে পারে,পারেনা ভালোবাসা কিংবা এর আবহ তৈরি করে দিতে। টাকা দিয়েও সম্ভব না অনেকের দেশপ্রেম কেনা! বছরের পর বছর টাকার জন্য,একটু উন্নত জীবন যাপনের জন্য মেধা পাচার হ”েছ তবু সবার মাথা কেনা সম্ভব না!
কিš‘ কথায় যেমন আছে টাকা দিলে বাঘের চক্ষুও মেলে তেমনি আছে টাকা নাকি হাতের ময়লা! গানের কথায় আছেÑ না কাঁদিলে দুধ দেয় নারে সন্তানেরই মায়! যে ছেলে মার জন্য সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করে,মা নাকি সেই ছেলেকেই বেশি ভালোবাসে! বড় জানতে ই”েছ করে বিধাতাও কী এমন? যে লোক সারা বছর ঘুষের টাকায় ফুলে ফেপে বড় হয় অথবা যার থাকে অবৈধ উপার্জন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারাই নির্মান করে মসজিদ মাদ্রাসা! বিধাতা কী তাদেরকেই বেশি ভালোবাসেন?
সেক্সপীয়রের লেখাতেই আছেÑকাউকে চিনতে হলে টাকা ধার দাও,তাকে কিছু ক্ষমতাও দাও! সহসাই বুঝতে পারবে সে মানুষ কেমন! কথাটা ধ্র“ব সত্য। ক্ষমতা পেলেই বদলে যায় অনেকে,হয়ে যায় রাবন।আর পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক নিয়েই টানাটানি পড়ে,খুনোখুনির ঘটনাও ঘটে যায় অনেক! হয়তো সে কারণেই ছোটকালে শেখানো হতো অর্থই যতো অনর্থের মূল।
কিš‘ শেষমেষ টাকাই যেন সব,পৃথিবীর সব কিছু,সব সম্পর্ক যেন টাকার অধীন। ব্যাংক আসলেও যেন বড় মন্দির! সেই ব্যাংক থেকে যদি কেউ টাকা ধার নেবার পর ভাবে সে একা,তার কোন খোঁজ কেউ নি”েছ না তাহলে যেন সে ব্যাংকের কিস্তি দেয়া বন্ধ করে দেয়। পরের মাসেই ব্যাংকের লোক ঋণগ্রহীতা ও তার চৌদ্দগুষ্ঠিকে খুজে বের করবে!
টাকা খোঁজার পেছনেই যেন ছুটছে সবাই। বাংলা ছবিতে দেখেছি ঢাকা শহরে টাকা নাকি উড়ে বেড়ায়।কেউ সেটা সুখ পাখির মত ধরতে পারে অধিকাংশই হয়তো পারে না। তবে সময় মত টাকার প্রয়োজন। যিনি আশি বছর বয়সে টাকার মালিক হন কিংবা একই বয়সে নোবেল পুরষ্কার পান টাকা তার জন্য কতোটা বর বয়ে আনে? সম্ভবত একারণেই একটা গানের কথা এমন-টাকা তুমি সময় মত আইলা না!
এই টাকার জন্যই হয়তো প্রেমিকার প্রেম মেলে না,মেলেনা মায়ের øেহ।টাকা ধার দিয়ে যাচাই করা যায় বন্ধুত্ব! টাকার জন্য বন্ধ হয়ে থাকে কারো শিক্ষা জীবন। থেমে থাকে সৃষ্টিশীলতা। একারণেই সত্যজিৎ রায় যখন পথের পাচালি নির্মান করেন তখন তার স্ত্রীর গয়না বিক্রি করতে হয়! তবে মেধা বা সৃষ্টিশীলতাকে দমিয়ে রাখা যায় না। যে সৃষ্টিশীলতা ক্লিক বা হিট করে যায় টাকার বলয় তার পেছনেই ছোটে। টাকা পেয়ে সৃষ্টিশীল মানুষ কী বদলে যায়? কিংবা আধুনিক ব্যবসার কর্পোরেটশীপ কী নিয়ন্ত্রণ করে সৃষ্টিশীলতা? ভালোবাসা দিবসে পত্রিকা বা টেলিভিশন কী করবে,কোন অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে, কোন না কোন ভাবে কর্পোরেটরা কী তা নির্ধারণ করে দি”েছ না? বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য বৈশাখ উদযাপনও কী কখনো কখনো নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কথিত কর্পোরেটরা? টাকার বলয় ভেঙ্গে সব সময়ে নিজের মত করে চলা কী অসম্ভব? খুব সাধারন ভাবেই জানতে ই”েছ করে কতো টাকা পেলে সুখী হয় কিংবা ভালো বোধ করে একজন মানুষ? নাকি এটা মাপার কোন নিক্তি নেই?
গাড়ি,বাড়ি,প্রভাব,ক্ষমতা যা কিছুই বলি সব কিছুর নিয়ামক  টাকা হলেও নিজেকে সুখী ভাবার একটা পরিমাপক বা নিক্তি সম্ভবত নিজের মাঝেই থাকা উচিত। একজন মানুষ ছোটকাল থেকে স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবেন। একটা পাজেরো ল্যান্সার গাড়ি কিনবেন আর সাগর পাড়ে বাড়ি বানাবেন।এই মানুষটা পরবর্তীকালে একটা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হয়েছিলেন,একটা পচা মজা খালের পাশে বাড়ি করতে পেরেছিলেন। বাসা থেকে স্কুলে যাবার জন্য তার বাহন ছিল বাই সাইকেল। এই মানুষটা দাবী করতেন তিনি সবচেয়ে সুখী!
বিশেষ দ্রষ্টব্য: টাকা নেই আপনার।সমাজে কিংবা আত্মীয়স্বজনের মাঝে আপনার দামও নেই। সেই আপনাকে খুঁজে বের করবে সবাই! কীভাবে সম্ভব? উত্তর আপনাকে লাখ লাখ টাকার লটারি জিততে হবে!আর মনে রাখবেন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট আর সেক্স একই রকম। একবার ড্র করার পর আগ্রহ থাকে না! তবে সবচেয়ে বাস্তব কথা বোধ করি এই যেÑ
আজকাল অর্থকড়ির গন্ধ ছাড়া গরীবের গোলাপ থেকে
সুগন্ধি নেয়না কেউ!

Likes Comments
০ Share

Comments (2)

  • - আসাদুস জামান বাবু

    হ্যাঁ, আমি আপনাকে বলছি । ভালো লেগেছে কবিতাটি

    • - আবরার আদিব

      ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য!

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    আমার সাহস হয়নি ওপথে যাবার-
    আমার এই গৃহপালিত জীবনে এসব
    স্বপ্নগুলো সব প্রহেলিকার মত মনে হয়।
    আমি তাই ক্লান্ত হাতে, মিথ্যা প্রলাপে
    লাশের সংখ্যা বৃদ্ধি করি অবিরত!

    ..........................অসাধারণ.........!

     

     

    • - আবরার আদিব

      ধন্যবাদ মতামতের জন্য!