বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান ।। এবিএম সোহেল রশিদ।।
বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান ।। এবিএম সোহেল রশিদ।। ( রাজন হত্যার প্রতিবাদে ) বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান গগনবিদারী চিৎকারে গর্জে উঠে আকাশ শিশুর আকুতিতে উড়ন্ত মেঘ থমকে দাড়ায় সদ্য ছুটিতে যাওয়া বৃষ্টিও ফিরে আসে ছোট ছোট টিলায় প্রতিধ্বনিত বারবার ভূমির গর্ভে ভূমি বুকচেরা আর্তনাদ বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান। কোন খেদ নেই কোন অভিযোগ নেই সংযমের মাস। ত্যাগের মাস। সইবার শক্তি নাই। তবু বাঁচার আর্তি! বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান। সবজি বিক্রির পয়সায় যতটুকু আয় তাতেই গদ্যময় পৃথিবীতে হবে ঈদের আয়োজন ছোট ভাইটির জন্য না হয় সামান্য ত্যাগ বাবার কপালের ভাঁজে একটু সুখের ঘাম না না আর কোন চাওয়া নেই তার বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান। মানুষ নামের কীটগুলার কানে ঠাডা পড়ছে খ্যাপা বর্বর পশুডা সীমাররেও ছাড়াইছে আইচ্ছা! হে গো দিলে কি রহম নাই হে গো ঘরে কি সন্তান নাই এই পশুডারে যারা থামায় না হেরা কোন পয়মাল বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান। চোখে হইলদা হইলদা ফুলের বাত্তি ব্যথা বুঝনের ক্ষমতাও কাইরা লইছে কেউ থামায় না । কেউ বাঁচায় না আমারে পুলিশে দিয়া দেন কে হুনে বিপদের সাইরেন ! সিয়ামের মাসে কিয়ের হুতাশে হে গো রহম কাইরা লইছে আল্লাহ আমি কি তয় নাউজুবিল্লাহ এ তোমার কোন বিচার! গরীবের সইলে সবলের অত্যাচার বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান। রডের বাড়িতে মধ্যযুগীয় নির্যাতন ইন্টার্নাল ইনজুরিতে মারা গেছে রাজন এমনই একটি প্রতিবেদনে চারিদিকে স্বস্তি সাবাস সাবাস ধ্বনিতে ঢেকুর তুলেন বুদ্ধিজীবী মুখ থুবরে পড়া মানবতার নীচে বিবেক পিষ্ট তদন্ত কমিটির রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট! এ ভাবে আর কত কাল ? সাভারের রানা প্লাজায় শত শত সেলাই শ্রমিক দিনাজপুরের ইয়াসমিন, পুরনো ঢাকার বিশ্বজিৎ সিলেটের রাজন কড়া নেড়ে যায় বারবার! শুধিতে হবে ঋণ সামনে আসছে সেই দিন খোল্ তৃতীয় নয়ন, কান পেতে শো্ন্ সে দিন দূরে নয়! লোকে শুনবে অত্যাচারী অসুরের চিৎকার বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান।