Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

এবিএম সোহেল রশিদ

৭ বছর আগে লিখেছেন

বাঁধ ভাঙ্গা আগুনের স্রোতে

 
বাঁধ ভাঙ্গা আগুনের স্রোতে
-এ বি এম সোহেল রশিদ
.
বৃষ্টির অপেক্ষায় উন্মুখ
তবুও উত্তাল সমুদ্রে দেই ঝাঁপ
উত্তাপ সুনামির শীৎকারে
আকণ্ঠপান। মেটাই খরতাপ!
.
উষ্ণ স্রোতে ডুব-সাঁতার
আগুন নিঃশ্বাসে ঘূর্ণিঝড়
তাই সমুদ্র আজ মথিত!
যৌবনের প্রথম ঝড়ে
খুলে দাও সদর দুয়ার
এখানেই শিকড় প্রথিত!
.
উষ্ণ বৃষ্টির লুকোচুরিতে আর
মৃদু ঢেউয়ে যা পেতে চাও
তার সবটুকু নির্যাশ নাও!
.
চোখে লুটানো তৃষ্ণায়
পুড়ে খাক রাত শয্যা
মিলনোম্মুখ দুই অধর
মহুয়া রসে পেলো লজ্জা ।
.
বাঁধভাঙ্গা আগুনে মাতাল
কামনার নীল কাজল
দেহভূমিতে নিজেকে সঁপে
মেতেছে জোছনার ঢল।
.
ঢেউয়ের পর ঢেউ শুনল না কেউ
একান্ত সংলাপ
বাড়ন্ত রাতে বিনিময়ের উষ্ণ স্রোতে
ফোটাল গোলাপ।
.
অবশেষে থামে ঝড়; এখানেই
চোখাচোখির নতুন উপাখ্যান
সান্নিধ্যের ছাতায় হাঁটি দু’জন
ওষ্ঠে আঁকি আমার বিদায়ী চুম্বন
মেনে নেই নিয়তির সমাধান।
 
continue reading
Likes Comments
০ Shares

এবিএম সোহেল রশিদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

বৃদ্ধাশ্রম নামের সামাজিক কারাগার

  বৃদ্ধাশ্রম নামের সামাজিক কারাগার ।। এবিএম সোহেল রশিদ।।   ক্ষ্যাপা শ্রাবণের করুণা ধারায় জলমগ্ন চৌকাঠ কবিতার প্রতিটি স্তবকে জলনকশার চিৎকার  ঘাসফুল শিশুর দীর্ঘশ্বাসে দগ্ধ উৎসবের পোশাক  উচ্ছিষ্ট মোঘলাই খাবারে হয়না সুখপত্র পাঠ।   ক্ষুধার্ত জননীর জলজ চাহনিতে ক্ষোভের প্লাবন  আধিপত্যের কোন্দলে বউ শাশুড়ির স্নায়ুযুদ্ধ  নাড়ি ছেড়া রক্তবীজ সুখসংসারে জন্য উৎসর্গ  সন্তান বাঁচুক দুধেভাতে আশীর্বাদে মুখরিত বর্ষণ।      শেষ আশ্রয় বৃদ্ধাশ্রম নামের সামাজিক কারাগার এখানেও চাঁদ উঠে সেমাই রোচে বৃত্তবন্দি ঈদ চশমার পুরো কাঁচে থরে থরে সাজানো মেঘ  আঁচলে যত্নে বাঁধা ঘূর্ণিঝড় আর বৃষ্টির চিৎকার।   এখানে সমস্ত এবাদত সেই সন্তানের সুখ ছাতা  কষ্টঘাম বংশধরের মঙ্গল কামনার মুক্তোদানা  উপহাস উপেক্ষা মেনে বুনে আশীর্বাদের পাহাড়   শ্রদ্ধার দরজা বন্ধ! স্নেহের দরজায় দাঁড়ায় সভ্যতা।     আসুন আরেকবার জন্মাই, খুঁজি রক্ত বাঁধন  প্রতিটি পরিবারে হউক রক্তবৃক্ষের স্বর্গকক্ষ  পুড়ুক বিভেদ! প্রতিদিন হউক ঈদ উৎসব  উৎসুক স্বজন লিখুক রোজনামচায় সুখ কথন!  continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    অনেক শুভ কামনা দাদা

এবিএম সোহেল রশিদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান ।। এবিএম সোহেল রশিদ।।

বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান ।। এবিএম সোহেল রশিদ।।  ( রাজন হত্যার প্রতিবাদে )   বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান  গগনবিদারী চিৎকারে গর্জে উঠে আকাশ  শিশুর আকুতিতে উড়ন্ত মেঘ থমকে দাড়ায়  সদ্য ছুটিতে যাওয়া বৃষ্টিও ফিরে আসে  ছোট ছোট টিলায় প্রতিধ্বনিত বারবার  ভূমির গর্ভে ভূমি বুকচেরা আর্তনাদ  বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান।   কোন খেদ নেই কোন অভিযোগ নেই  সংযমের মাস। ত্যাগের মাস।  সইবার শক্তি নাই। তবু বাঁচার আর্তি! বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান।   সবজি বিক্রির পয়সায় যতটুকু আয়  তাতেই গদ্যময় পৃথিবীতে হবে ঈদের আয়োজন   ছোট ভাইটির জন্য না হয় সামান্য ত্যাগ  বাবার কপালের ভাঁজে একটু সুখের ঘাম  না না আর কোন চাওয়া নেই তার  বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান।   মানুষ নামের কীটগুলার কানে ঠাডা পড়ছে  খ্যাপা বর্বর পশুডা সীমাররেও ছাড়াইছে  আইচ্ছা! হে গো দিলে কি রহম নাই  হে গো ঘরে কি সন্তান নাই এই পশুডারে যারা থামায় না হেরা কোন পয়মাল বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান।   চোখে হইলদা হইলদা ফুলের বাত্তি  ব্যথা বুঝনের ক্ষমতাও কাইরা লইছে কেউ থামায় না । কেউ বাঁচায় না  আমারে পুলিশে দিয়া দেন  কে হুনে বিপদের সাইরেন !  সিয়ামের মাসে  কিয়ের হুতাশে  হে গো রহম কাইরা লইছে আল্লাহ আমি কি তয় নাউজুবিল্লাহ  এ তোমার কোন বিচার!  গরীবের সইলে সবলের অত্যাচার বাজানরে বাজান আমারে বাঁচান।    রডের বাড়িতে মধ্যযুগীয় নির্যাতন   ইন্টার্নাল ইনজুরিতে মারা গেছে রাজন  এমনই একটি প্রতিবেদনে চারিদিকে স্বস্তি  সাবাস সাবাস ধ্বনিতে ঢেকুর তুলেন বুদ্ধিজীবী  মুখ থুবরে পড়া মানবতার নীচে বিবেক পিষ্ট  তদন্ত কমিটির রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট!     এ ভাবে আর কত কাল ? সাভারের রানা প্লাজায় শত শত সেলাই শ্রমিক   দিনাজপুরের ইয়াসমিন, পুরনো ঢাকার বিশ্বজিৎ সিলেটের রাজন কড়া নেড়ে যায় বারবার!  শুধিতে হবে ঋণ সামনে আসছে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

এবিএম সোহেল রশিদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

সময় নদে বিচ্ছেদ নূপুর!

সময় নদে বিচ্ছেদ নূপুর!
।। এবিএম সোহেল রশিদ।।
 
এক পেয়ালা কষ্ট চুমুকে শিকল পড়ার গান
কেঁদেছে প্রাণ হেসেছে ভাগ্য ভেঙেছে দেয়াল
ভ্রান্তির উত্তরীয় গলার ফাঁস জেনেছি অবশেষ
উপেক্ষা রোদ গলে গলে পরিপূর্ণ চোখসমুদ্র!
 
সুখস্বপ্ন মিথ্যে নয়, মিথ্যে নয় আকাশ বাড়ি
জলের গানে গুপ্ত অভিমানে হয়ে উঠি রুদ্র।
 
 
ক্লান্তির অবসানে কষ্টগুলোর নাম রংহীন বর্ষা
বিষণ্ণতার ফর্দ কোকিল বিহীন চৈতালি দুপুর
সময় নদে বিচ্ছেদ নূপুর! একাকী দুঃখদ্বীপ
ইচ্ছে ডানায় নীলপদ্ম! অনুপস্থিত মুক্ত ছন্দ!
 
মন তুলিতে আঁকি বৈকালিক আত্মসমর্পণ
বুনো পাতার ঝুলন্ত নীড়ে মনোদৈহিক দ্বন্দ্ব
 
 
 
নেই বাঁধার মত বিশাল বুক, দেয়ার মতো সুখ
নেই মুক্তোয় গাঁথা মালা, আছে শুধু অবহেলা
আরোপিত শপথে হয় কি মন লেনদেন
দহন খামে বৃষ্টির দামে প্রাপ্তি আগুন জলাশয়।
 
 
বন্দি জোনাকি বিবাগী জ্যোৎস্না, হাসে হাসনাহেনা
একফালি চাঁদ বিকায় রাত! কাঁদেন শুধু মহাশয়!



continue reading
Likes Comments
০ Shares

এবিএম সোহেল রশিদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ

আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ
।। এবিএম সোহেল রশিদ।।
 
প্রেম কুমার,
 
 
অবশেষে পর পর দু’টি চিঠি পেলাম। প্রথম চিঠির উত্তর দিইনি। ভেবে ছিলাম তোমর খামখেয়ালীপনাটা আবার বেড়েছে। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা  দিতে  বোধয় তোমার এই চিঠি নামের দু:খ ঢিল মনপুকুরে ছুড়ে দিয়েছ। দ্বিতীয় চিঠি পেয়ে অবাক হয়নি। তুমি জানো এখানে প্রত্যাবর্তন শব্দটি নিষিদ্ধ। চিঠির উত্তর দেয়ার নিয়ম নেই। সম্ভবত না ফেরা দেশ থেকে প্রেরিত এটাই প্রথম চিঠি। ভাবলাম কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দেয়া খুব জরুরী।
 
আশ্বস্ত হলাম এইভাবে আমিহীন দিব্যি ঘুমাও। পারও বটে। পুরো লেখা জুড়ে একাকীত্বের কাব্যকথা। আর আচার আচরণে মহাশয়। যার কলমে এতো বিরহের সুর তার চোখে ঘুমপরী কী করে খেলা করে।
তোমার ভেজা লেখায় উত্তর নিহিত আছে। দেখ পোষা কবুতরটি সঙ্গীর যন্ত্রণায় কেমন করে ছটফটয়। আর তুমি ব্যথার বালিশ পৈথানে দিয়ে কেমন নিশ্চিন্তে ঘুমাও।  এরই নাম ভালবাসা! আচ্ছা এ কেমন তর ভালবাসা।
প্রথম প্রথম নীল আকাশে মাঝে মাঝে তারার মাঝে আমাকে খুঁজতে। দূর থেকে অন্য তারাদের দেখিয়ে বলতাম। দেখ মর্ত্যে আমার জন্য এখনও কেউ রাত জেগে অপেক্ষা করে। ওরা হিংসা করতো কিনা জানি। কিন্তু এখন আমাকে দেখে তারার দল মুচকি মুচকি হাসে। বল এখানেও অবহেলার যন্ত্রণা আমাকে কেমন করে সইতে হয়।
সম্রাট শাহজাহানের মত অবহেলার উপাখ্যান মাটিচাপা দিয়ে তাজমহল বানিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে প্রেমিক পুরুষ সাজার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছ কিনা জানি না।
স্মৃতির চাদরে কি দুষ্টচক্র বাসা বেঁধেছে? যে প্রেমকুমার আমি ছেড়ে এসেছি সে কি খোলস পাল্টায়ে ফেলতে চাইছে? না না এমন কথামালা বিশ্বাস করার সাহস আমার নেই।
 
পর সমাচার, যে আকুতি তোমার চিঠিতে পেয়েছি তাকেই... continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...