Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মাহাদী হাসান

১০ বছর আগে লিখেছেন

'এক কথায় অভিভূত'

 
‘শুধু ভাষার জন্য একটা দেশের মানুষ প্রাণ দিতে পারে। এটা ভাবা যায় না। আর সেই দিনটিকে ঘিরেই পুরো মাসব্যাপী এত বড় আয়োজন। এটা বাংলাদেশে না এলে বুঝতেই পারতাম না।’ প্রথমবার বাংলাদেশে এসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন দেখে কথাগুলো বলছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্মাসিস্ট সিনইয়ুন পার্ক।
সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাখো মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণে ফুলও দিয়েছেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ সেন্টার নামে একটি বেসরকারি সংগঠনের হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। সঙ্গী হিসেবে আছেন বিভিন্ন পেশার আরো ১৬ জন।
সিনইয়ুন পার্ক বলেন, “লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে ফুল দেয়া আর বাংলাদেশের বই মেলা দেখে আমি অভিভূত। সিউলেও বইমেলা দেখেছি। কিন্তু সেটার পরিসীমা এত ব্যাপক না। এত দীর্ঘ সময় ধরে বইমেলার আয়োজন এর আগে আর কোনো দেশে চোখে পড়েনি।”
“ঐতিহাসিক একটি ঘটনাকে স্মরণ করে বাংলাদেশে যে আয়োজন হয় সেটা শুনেছিলাম। না দেখলে এর গভীরতা অনুভব করতে পারতাম না।”
গত কয়েকদিন হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গলে কাটিয়ে শুক্রবার সকালে ঢাকায় এসেছেন পার্ক ও তার সঙ্গীরা। ঢাকায় পা রেখেই তারা প্রথমে যান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
দলটির সঙ্গে আছেন কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি কয়েকজন। তাদের মধ্যে জাভেদ ইকবাল জানালেন, শহীদ মিনারে ফুল দিতেই তারা আজ সকালে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকায় এসেছেন। এখান থেকে জাতীয় জাদুঘর, চিড়িয়াখানা ঘুরে আজ রাতেই ফিরে যাবেন। 
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জাভেদ বলেন, “১৭ জনের এই টিমটিতে চিকিৎসক, সাংবাদিক, উন্নয়ন কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আছেন। একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখেই তাদের বাংলাদেশ সফর।”
সফরসঙ্গীদের একজন লি দং হুয়াঙ। পেশায় সাংবাদিক। কোরিয়ার ‘এটুটিভি’র প্রধান প্রতিবেদক তিনি।
বললেন, “‍সাংবাদিক হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে আগেই... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

     

    খুব ভালো হয়েছে...................!

     

     

     

মাহাদী হাসান

১০ বছর আগে লিখেছেন

রূপালি ভুবনের প্রেম-যৌনতা

শুরুটা হয়েছিল ‘দ্য গ্রেট ট্রেন রবারি’র মতো কয়েকটি সিনেমা দিয়ে যেখানে ভালোবাসার তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। আর বলিউডের শুরু হয়েছিল ‘রাজা হরিশচন্দ্র’র মাধ্যমে। বাংলাদেশেও ‘লাইট অফ এশিয়া’র কথাই বলা হোক কিংবা ‘মুখ ও মুখোস’ বা ‘জাগো হুয়া সাবেরা’র কথা। কোনোটাই প্রেমবিষয়ক নয়। কিন্তু তারপরও হলিউড, বলিউড বা বাংলা চলচ্চিত্রের মূল সুর হয়ে দাঁড়ায় প্রেম।  
হলিউডের কথাই বলা যাক প্রথমে। এক সময় হলিউডে নির্মিত হয়েছে ভালোবাসার অসাধারণ সব ছবি। হলিউডের প্রেমের সিনেমা বললে প্রথমেই মনে পড়ে ‘রোমান হলিডে’র কথা। গ্রেগরি পেক ও অড্রে হেপবার্ন অভিনীত কালজয়ী প্রেমের ছবি রোমান হলিডে। প্রাসাদ থেকে পালিয়ে যাওয়া রাজকন্যা আর মার্কিন সাংবাদিক, দুই ভুবনের দুই বাসিন্দার ভালোবাসা। রোম শহরে তাদের স্বল্প সময়ের রোমান্স। ফলাফল অবশ্যই বিচ্ছেদ। কিন্তু দর্শক হৃদয়ে চির অমলিন তাদের প্রেম।
কিংবা ‘ক্যাসাব্লাংকা’ সিনেমায় নায়ক রিকের ভূমিকায় হামফ্রে বোগার্টের মুখে সেই অসাধারণ সংলাপ, ‘ইউ প্লেইড ইট ফর হার, ইউ ক্যান প্লে ইট ফর মি’। ভালোবাসার মানুষকে সুখী করার জন্য মানুষ নিজের জীবন দিতে পারে হাসি মুখে, তারই কাহিনি হামফ্রে বোগার্ট আর ইনগ্রিড বার্গম্যান অভিনীত ‘ক্যাসাব্লাংকা’।
সেই সঙ্গে আরও মনে পড়ে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অনন্য প্রেমকাহিনি ‘গন উইথ দ্য উইন্ডস’-এর কথা। স্কারলেট ও’হারার ভূমিকায় ভিভিয়ান লেই আর ক্লার্ক গেবলের চুম্বন দৃশ্য যেন প্রেমিক প্রেমিকার শ্বাশত মিলন।
 
এলিজাবেথ টেইলর আর রিচার্ড বার্টন। যেমন রুপোলি পর্দায় মিসরের রানি ক্লিওপেট্রা আর রোমান সেনাপতি মার্ক এন্টোনির চিরায়ত প্রেমকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তেমনি বাস্তব জীবনেও তারা ছিলেন প্রেমের প্রতিভূ। তাদের প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ ঝড় তুলত মিডিয়ার। এলিজাবেথ টেইলর ছিলেন প্রেমিকার প্রতীক। অন্যদিকে মেরিলিন মনরো ছিলেন হলিউডের যৌনতার প্রতীক, প্রেমের নন। ব্যক্তিজীবনেও প্রেম তাকে চিরদিন বঞ্চনাই করেছে। বরং প্রেমের প্রতীক ছিলেন সোফিয়া... continue reading
Likes Comments
০ Shares