"অমানুষ"
আস্তাকুঁড়ের মত অপরিচ্ছন্ন কোন এক আঁতুর ঘরে,
ফ্যাকাশে এক আলো আঁধারির মাঝে-
কেটেছিল তার জন্মলগ্নের কিছু অব্যক্ত প্রহর।
শৈশবের অনাহারি দিনের মাঝেও কী যে এক অদ্ভূত কায়দায় সে
রপ্ত করল ভাঙ্গা-গড়ার এক অত্যাশ্চার্য্য খেলা, যে খেলার কোন নিয়মনীতি নেই, নেই কোন সময়সীমা। যৌবনে সে পুরোদস্তুর সচেতন এক চেতনা।।
মিথ্যে, ঘৃনা, অহংকার আর অনাচার দেখলেই
গায়ে যেন আগুন জ্বলত তার, সে চাইতো তার চারিপাশের সব বিশৃঙ্খলাকে ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে দিতে... তার বয়স তো থেমে ছিলনা কখনোই,
তাই কোন এক পরিনত লগ্নের স্নিগ্ধতার মাঝে
তার অন্তরের গভীরে অনুভূত হল এক অজানা আমন্ত্রন। যে আমন্ত্রনকে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা কারুর নেই, থাকেনা কোন মানুষের। তাই কোন এক অবেলায় পৃথিবীর যাবতীয় হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দিয়ে আঁধারী রাতের অমনিশার পথে পা বাড়াল সে, যে পথের নেই কোন শেষসীমা, যে পথের অলিতে গলিতে ওৎ পেতে আছে কত সহস্র অজানা সংশয়, আর অজানা কিছু রহস্য। কিন্তু সব জেনে বুঝেই সে সেই অস্পষ্ট আলো আঁধারির পথেই
ফিরে গেল অনির্দিষ্ট গন্তবে, চারিপাশে তখনও অস্পষ্ট আলো আঁধারের খেলা। যেমনটি হয়েছিল কোন এক কালে আস্তাকুঁড়ের জীর্ণ আঁতুর ঘরে- ঠিক তার জন্মলগ্নের ক্ষণে... -কৃষ্ণেন্দু দাস।
Comments (0)
নিয়মিত লিখতে থাকুন
ধন্যবাদ
ভাল লাগল
ধন্যবাদ