গোত্র বা গোষ্ঠী
চাকমা সমাজে পিতা হলো পরিবারের প্রধান। পিতা চাকমা পরিবারে সবচেয়ে বড়।
তারপরে হলো মা। এরপরে বড় ছেলের অবস্থান।
চাকমা জাতির লোকসকল বংশকে গুথি। গুথি বলতে গোত্র বা গোষ্ঠীকে বুঝায়। চাকমাদের প্রায় ৪৬টি গোত্র বা গোষ্ঠী আছে। এ সকল গোত্র বা গোষ্ঠীর আলাদা আলাদা নাম আছে। তবে নামগুলো রাখা হয়, সাধারনণত গোত্র বা গোষ্ঠী প্রধানের নামের সঙ্গে মিলিয়ে। আবার কোনো কোনো গোত্র বা গোষ্ঠীর নাম রাখা হয় এলাকার নামের সঙ্গে মিলিয়ে। যেমন লামা অঞ্চলে চাকমারা লারমা গোত্র বা গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত।
চাকমা সমাজে শিশু জন্মের সময় মাকে ঐ বংশের বা গোত্রের কারো না কারো ঘরে থাকতে হয়। নিজের গোত্র বা গোষ্ঠীর বাইরে থাকলে পরিবারের অমঙ্গল হওয়ার ভয় থাকে। শিশুর উপর অপদেবতার খারাপ নজর পরতে পারে। কখনও কোথাও অনিচ্ছা সত্ত্বে এমন হলে অর্থাৎ মা অন্যের বাড়ি থাকলে পরে ওঝা ডেকে বাড়ি পবিত্র করতে হয়। এজন্য পিতাকে জরিমানা দিতে হয়। জরিমানা হলো বাড়ি পবিত্র করার খরচ।
জন্মের মতো মৃত্যুর নিয়মও একই। মৃত্যুর সময় নিজের বংশের বা গোত্রের কারো না কারো ঘরে থাকতে হয়। নিজের গোত্র বা গোষ্ঠীর বাইরে থাকলে পরিবারের অমঙ্গল হয়। যদি মৃত্যুর সময় কেউ অন্য বংশের বা গোত্রের কারো ঘরে থাকে, তখন মৃত্যু পথযাত্রীকে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসা হয়।
রাজা
চাকমা ভাষায় চাকমা জাতির যে ইতিহাস লেখা আছে, তার নাম বিজগ। এখনে যে সব চাকমা রাজার কথা উল্লেখ আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হলেন অতীতবাহন। অতীতবাহন ১১৯৭ সালে চাকমা রাজা ছিলেন। এরপরে আরও একজন চাকমা রাজার নাম পাওয়া যায়, তাঁর নাম উপাখান।
এটা ১৫৪৬ সালের কথা। রাজা উদং ১৫৭১ সালের দিকে চাকমা রাজা...
continue reading
Comments (0)
জেগে উঠেছে
ধরা গেল না আমার ভিতর
তোমার অতন্দ্র তন্দ্রা
মিশে গেছে
এ-দেহ ; ওই-দেহ দেখতে পাও না
আমি তোমাকে পাই।
খুব ভালো লাগলো দাদাই।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।