Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

জয়িতা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

চাকমা জাতির কথা- কুমার প্রীতীশ বল

ভাষা:
চাকমাদের নিজস্ব ভাষা আছে। তাদের বর্ণমালাও আছে। চাকমা ভাষার কয়েকটি নমুনা এখানে উল্লেখ করা হলো।
চাকমা ভাষা: ত নাং কি?
বাংলা ভাষা: তোমার নাম কী?
চাকমা ভাষা: ত বাবর নাম কি?
বাংলা ভাষা: তোমার বাবার নাম কী?
চাকমা ভাষা: ঝার
বাংলা ভাষা: জঙ্গল
চাকমা ভাষা: মুড়া
বাংলা ভাষা: পাহাড়
চাকমা ভাষা: থুম
বাংলা ভাষা: শেষ

                               চাকমা বর্ণমালা
 
সংখ্যা গণনা:
বাংলা: এক-দুই-তিন-চার-পাঁচ-ছয়-সাত-আট-নয়-দশ
চাকমা: এক- দুই-তিন-চেইর-পাচ-ছ-সাত-আট্ট্য-ন-দচ

চলবে.........
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - সুমন সাহা

    জেগে উঠেছে
    ধরা গেল না আমার ভিতর
    তোমার অতন্দ্র তন্দ্রা
    মিশে গেছে
    এ-দেহ ; ওই-দেহ দেখতে পাও না
    আমি তোমাকে পাই।

     

    খুব ভালো লাগলো দাদাই।

    • - প্রলয় সাহা

      অনেক ধন্যবাদ দাদা। emoticons

জয়িতা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

চাকমা জাতির কথা- কুমার প্রীতীশ বল

পেশা:
চাকমাদের প্রধান পেশা জুম চাষ। পাহাড়ে তারা জুম চাষ করে। জুম চাষের জন্য প্রথমে আগুন দিয়ে বন, জঙ্গল পরিষ্কার করে। তারপর গর্ত করে। একটি গর্তে নানা রকমের বীজ রোপন করে। এখানে দান থেকে শুরু করে নানান শাক-সবজির বীজ পর্যন্ত এক সঙ্গে রোপন করে। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এই বীজ থেকে ফসল হয়। এটা আদিবাসীদের প্রাচীন একটি পেশা। এটা তাদের কাছে জুম চাষ নামে পরিচিত। বর্তমানে অনেক আরও নানান পেশার সঙ্গে জড়িত।

উৎসব:
চাকমাদের প্রধান উৎসব হলো বিঝু। বাংলা বর্ষের শেষ দু’দিন এবং নববর্ষের দিনসহ মোট তিনদিন বিঝু উৎসব পালন করে। বিঝুর প্রথম দিনকে ফুল বিঝু বলে। দ্বিতীয় দিনকে মূল বিঝু বলে। নতুন বছরের প্রথম দিন চাকমা  জাতির লোকেরা গচ্ছে-পচ্ছে দিন হিসাবে পালন করে।
বিঝু উৎসবে চাকমা জাতির লোকসকল নতুন কাপড় পরে। নানান ধরনের গান বাজনার আয়োজন করে। একে অন্যের বাড়ি যাওয়া আসা করে। বিঝু উৎসবের সময় তারা প্রাণী হত্যা করে না। এসময় আকাশ প্রদীপ জ্বালায়, বাজি পোড়ায়। ঘরে ঘরে ভালো খাওয়া দাওয়া তৈরি করে। এছাড়া চাকমারা বিভিন্ন সময় আরও নানান ধরনের উৎসব পালন করে।
চাকমারা নানান দেবতার পূজা করে। এগুলোর ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। যেমন: শিজি পূজা, ঐয়া পূজা, গঙাত ভাত জরা দেনা, চুঙুলাং পূজা, মা লক্ষ্মী পূজা, সিন্দি। এসকল দেবতার পূজার আলাদা আলাদা নিয়মও আছে।
রাজার অভিষেক উপলক্ষে নানান উৎসবের আয়োজন করে। প্রতি বছর খাজনা আদায় উপলক্ষে অনুষ্ঠিত রাজপুণ্যাহর সময় উৎসবের আয়োজন হয়।
চলবে.....................  

continue reading
Likes Comments
০ Shares

জয়িতা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

চাকমা জাতির কথা- কুমার প্রীতীশ বল

জন্ম চাকমা পরিবারে শিশুর জন্ম হলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুর মুখে মধু দেয়। এক সপ্তাহ পর ওঝা ডেকে শিশুর মাথা ধুয়ে পরিত্র করে। এসময় পানিতে এক ধরনের ফলের বিচি এবং হলুদ দেয়। চাকমা ভাষায় এই ফলের বিচিকে ঘিলা এবং হলুদকে কজই বলে। একমাস পর নাপিত ডেকে শিশুর চুল কেটে মাথা নেড়া করে। মৃত্যু চাকমাদের মধ্যে কেউ মারা গেলে সাদা কাপড়ে মৃতদেহ ঢেকে রাখে। এ সময় ঢোল বাজায়। ঢোলে বিশেষ ধরনের তাল বাজানো হয়। এ তাল শুনে আসে-পাশের পাড়া-প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। সাধারণত পুরুষেরা মৃত বাড়িতে ছুটে যায়। বাড়িতে নারীরা তখন ঘরের সদর দরজায় মাটির একটি ভাঙ্গা পাত্রে তুষ দিয়ে আগুন জ্বালায়। চাকমারা মনে করে, এই আগুন জ্বালালে অপদেবতা ঘরের কোনোতে উপদ্রব করতে পারে না। মৃতদেহকে প্রথমে গোসল করায়। এসময় বৌদ্ধ ভিক্ষু এসে মঙ্গলসূত্র পাঠ করেন। মৃতের আত্মীয়-স্বজনেরা মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করে তার উদ্দেশ্যে টাকা-পয়সা দান করে। তারপর মৃতদেহকে একটি বাঁশের বাহনে করে শশ্মানে নিয়ে যায়। বাঁশের এই বাহনকে চাকমা ভাষায় আলং বলে। মৃতদেহ শশ্মানে আনার পর বাড়িতে রাখা সকল পানি এবং চুলার ছাই ফেলে দেয়। এর মাধ্যমে মৃতের সঙ্গে ঐ বাড়ির সম্পর্ক ছিন্ন করে। মৃতদেহের সঙ্গে শশ্মানে একটি পুটলীতে ভাত এবং অন্যান্য খাদ্য নেয়। দাহ করার আগে মৃতদেহের মুখে এসব ছোঁয়ায়। এরপর চিতা সাজিয়ে মৃতদেহ চিতায় তোলে। মৃতের বড় ছেলে প্রথম চিতায় আগুন দেয়। বিয়ে
চাকমা জাতির বিয়ের নিয়ম কানুন খুব সুন্দর। বিয়ের আগে ঘটক বর পক্ষ এবং কন্যা পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে।  চাকমা ভাষায় ঘটককে সাবালা বলে। চাকমা রীতি অনুসারে বরের পিতা কনের বাড়ীতে কম করে তিনবার যায়। এসময় প্রতিবার যেতে বরের পিতাকে কনের বাড়িতে নানান খাবার এবং... continue reading
Likes Comments
০ Shares

জয়িতা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

চাকমা জাতির কথা- কুমার প্রীতীশ বল

ঘর-বাড়িঃ
ছোট ছোট সবুজ পাহাড়ের কোলে চাকমা গ্রামগুলো দেখতে খুব সুন্দর। চাকমারা গ্রামকে বলে আদাম। এখানে চাকমাদের ঘরগুলো দেখতে ছবির মতন মনে হয়। চাকমারা শক্ত গাছের খুঁটির উপর ঘর বাঁধে। তারা ঘরগুলোকে মাচাং ঘর বলে। মাচাং ঘরের সামনে একটা খোলা মাচা থাকে। এটিকে চাকমা জাতি ইজর বলে। ঘরে ওঠার জন্য কাঠের সিঁড়ি থাকে। চাকমা ভাষায় সিঁড়িটিকে সাঙু বলে। চাকমারা ঘরের কক্ষকে গুধি বলে।
পোশাক-পরিচ্ছেদঃ
চাকমা জাতির নিজেদের পোশাক আছে। তাদের পোশাক খুব সুন্দর। বিশেষ করে নারীদের পোশাক খুব সুন্দর। তাদের পোশাককে নানা রকমের রঙিন কারুকাজ থাকে। চাকমা মেয়েরা কোমরে লুঙ্গির মত কাপড় পরে। ওটাকে তারা পিনন বলে। এছাড়া উপরে একটা ব্লাউজ পরে। চাকমা ভাষায় এর নাম খাদি। চাকমা পুরুষদের কাপড়ের নাম আছে। পুরুষেরা মোটা সুতার কাপড় পরে। ওটাকে চাকমা ভাষায় কবৈ বলে। এর সঙ্গে ধুতি বা গামছা পরে। মাথায় পাগড়ি পরে। ওটাকে খবং বলে। চাকমারা নিজেদের কাপড় নিজেরা তৈরি করে।
কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে রাজাদের বিশেষ পোশাক পরার নিয়ম আছে। চাকমা রাজা এসময় উত্তর ভারতের মহারাজাদের নিয়ম অনুসরণ করে পোশাক পরেন।
কুটির শিল্পঃ
চাকমা মেয়েদের হাতের কাজের খুব সুনাম আছে। তারা বাঁশ, বেত দিয়ে সুন্দর, সুন্দর নানান সব জিনিসপত্র তৈরি করে। এরমধ্যে ঝুড়ি, পাখা, কাপড়ের ফুলদানি, চিরুণী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চাকমাদের তৈরি ফুল বারেং ঝুড়ি দেখতে খুব সুন্দর। এছাড়া চাকমা মেয়েদের তৈরি বিশেষ নকশাযুক্ত শাল এবং অন্যান্য কাপড় দেশ-বিদেশে খুবই জনপ্রিয়। এসকল নকশার একটা নাম আছে। চাকমা ভাষায় এর নাম হলো আলাম। এসব কাপড় চাকমা মেয়েরা কোমরে তাঁতে তৈরি করে।
খাদ্যঃ
চাকমা জাতির প্রধান খাদ্য ভাত। তারা ভাতের সঙ্গে মাছ, মাংস, শুটকি, শাক-সবজি খায়। বাঁশ কোরল... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মামুন

    ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা জানবেন।

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      জ্বি মামুন দা

      অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন

    - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

    ভালো লেগেছে কবিতা ! অফুরন্ত শুভেচ্ছা রইলো দাদা ! emoticons

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      জ্বি দাদা আগাম স্বাধীনাতর শুভেচ্ছা রইল

      ভাল থাকুন

    - সুমন দে

    ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      জ্বি দাদা আগাম স্বাধীনাতর শুভেচ্ছা রইল

      ভাল থাকুন

জয়িতা ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

চাকমা জাতির কথা- কুমার প্রীতীশ বল

গোত্র বা গোষ্ঠী
চাকমা সমাজে পিতা হলো পরিবারের প্রধান। পিতা চাকমা পরিবারে সবচেয়ে বড়।
তারপরে হলো মা। এরপরে বড় ছেলের অবস্থান।
চাকমা জাতির লোকসকল বংশকে গুথি। গুথি বলতে গোত্র বা গোষ্ঠীকে বুঝায়। চাকমাদের প্রায় ৪৬টি গোত্র বা গোষ্ঠী আছে। এ সকল গোত্র বা গোষ্ঠীর আলাদা আলাদা নাম আছে। তবে নামগুলো রাখা হয়, সাধারনণত গোত্র বা গোষ্ঠী প্রধানের নামের সঙ্গে মিলিয়ে। আবার কোনো কোনো গোত্র বা গোষ্ঠীর নাম রাখা হয় এলাকার নামের সঙ্গে মিলিয়ে। যেমন লামা অঞ্চলে চাকমারা লারমা গোত্র বা গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত।
চাকমা সমাজে শিশু জন্মের সময় মাকে ঐ বংশের বা গোত্রের কারো না কারো ঘরে থাকতে হয়। নিজের গোত্র বা গোষ্ঠীর বাইরে থাকলে পরিবারের অমঙ্গল হওয়ার ভয় থাকে। শিশুর উপর অপদেবতার খারাপ নজর পরতে পারে। কখনও কোথাও অনিচ্ছা সত্ত্বে এমন হলে অর্থাৎ মা অন্যের বাড়ি থাকলে পরে ওঝা ডেকে বাড়ি পবিত্র করতে হয়। এজন্য পিতাকে জরিমানা দিতে হয়। জরিমানা হলো বাড়ি পবিত্র করার খরচ।
জন্মের মতো মৃত্যুর নিয়মও একই। মৃত্যুর সময় নিজের বংশের বা গোত্রের কারো না কারো ঘরে থাকতে হয়। নিজের গোত্র বা গোষ্ঠীর বাইরে থাকলে পরিবারের অমঙ্গল হয়। যদি মৃত্যুর সময় কেউ অন্য বংশের বা গোত্রের কারো ঘরে থাকে, তখন মৃত্যু পথযাত্রীকে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসা হয়।
রাজা
চাকমা ভাষায় চাকমা জাতির যে ইতিহাস লেখা আছে, তার নাম বিজগ। এখনে যে সব চাকমা রাজার কথা উল্লেখ আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হলেন অতীতবাহন। অতীতবাহন ১১৯৭ সালে চাকমা রাজা ছিলেন। এরপরে আরও একজন চাকমা রাজার নাম পাওয়া যায়, তাঁর নাম উপাখান।
এটা ১৫৪৬ সালের কথা। রাজা উদং ১৫৭১ সালের দিকে চাকমা রাজা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

    আমি অপেক্ষায় থাকি আবার কখন ভোর হবে-
    ভালবাসার শিশির বিন্দু হব আমি-
    আবারো রোদ্রপুরুষের ধর্ষণের শিকার হতে।
    এভাবেই চলছে জীবন... ভালোবাসায়-ঘৃণায় মাখামাখি।।

    সত্যিই তাই, জীবন যেন ভালবাসায় আর ঘৃণায় মাখামাখি !

    যদি ভুল না করি তবে এটাই আপনার এই ব্লগে প্রথম পোস্ট ! নক্ষত্র ব্লগে স্বাগতম আপনাকে । এই পথে পথ চলা শুভ হোক !

    • - লায়লা মামতাজ রুপা

      হ্যা, এটাই এই ব্লগে আমার প্রথম পোষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। ভালো থাকুন।

    - মামুন

    চমৎকার অনুভূতিগুলো পরতে পরতে প্রকাশ পেয়েছে!

    ভালো লাগল।

    • - লায়লা মামতাজ রুপা

      অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

    - সুমন সাহা

    //ভালোবাসা ঘৃণার কোলে বসে
    কেবলি ভালোবাসতে শিখায়।
    এভাবেই কেটে যায় অনন্ত প্রহরগুলো
    পাতা ঝরার এই বাসন্তী বেলায়।//

    এই জায়গাটি অনবদ্য লাগলো। চমৎকার লাগলো এই চরণসহ পুরো লেখাটিই।

    অনেক ভালো লাগলো লেখাটি।

    শুভেচ্ছা জানবেন।

    • - লায়লা মামতাজ রুপা

      অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায়। ভালো থাকুন প্রিয়!

    Load more comments...
Load more writings...