Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সুমন সাহা

৯ বছর আগে লিখেছেন

এক অচিন হন্তারক এবং সোঁদা জ্বলে আমার বুঁদবুঁদ…




নিঃশ্বাসগুলো মুক্তি পেয়েছে অবশেষে;
অনেকদিন ধরে জমানো জল পাত্রের গায়ে
যেমনি শ্যাদলা তৈরী করে জড়ো করে-
তিক্ত ময়লাদের, মসলাদার হয়
খেয়ে খেয়ে রক্ত-বন্দিশ মশাদের দল,
জমাট অন্ধকারে যেমনি নিজস্ব হাতেরাও-
বেঁচে থাকে শুধুই অনুভূতিতে,
শিৎকার হতে মুক্ত হয় বিপাক গর্জনে;
আমার চিন্তালোক জুড়ে, এ মুক্তির স্বাদ-
প্রতিধ্বনিত হয় নরম নিঃশ্বাসে।

অবশেষে পেয়েছি দেখা প্রাচীন ভালোবাসার;
নদীতে সাঁতার কাটতে কাটতে পৌছে গেছি-
হয়তো বেশ দূরে, হঠাৎ এসে কন্ঠরোধ করলো কেউ-
মুষ্টি বন্ধনে, পৌছে যাচ্ছি দ্যাখো গভীর তলদেশে
পা ঠেকলো গিয়ে নরম-শীতল-পিচ্ছিল সোঁদা-কাঁদায়;
বুঁদবুঁদ উঠলো তা থেকে, হয়তো পা পড়েনি-
সেখানে অনেককাল ধরে,
হয়তো আমার জন্যই অপেক্ষা করছিলো-
কর্দমাক্ত-চিটচিটে ভাব জমিয়ে, আমার নিমজ্জন তবু যে থামে না;
আমি যতবার উঠতে গেছি, কেউ ততবারই চাপ দিয়ে-
চুবিয়ে দিয়েছে আমায়, মুন্ডিদেশ ধরে চেপে,
আস্তে আস্তে থেমে আসে বুঁদবুঁদসংখ্যা
আমার স্নায়ু শক্ত হয়ে আসে, দূর হতে
কোন এক নতুন অশনিসংকেত ভেসে আসে।

হন্তারকের হাত শিথিল হয়ে যায়…
একসময় বুঁদবুঁদ থেমে যায়,
ঘুম আয়….., ঘুম আয়……
আর পানির তলদেশে আমি মৃদু-ছন্দে হেসে যাই
ওহে নবীন হন্তারক
তোমায় ফাঁকি দিয়েছে সোঁদা-কাঁদারা
আমার নিঃশ্বাসে পর্দা টানা এত সহজ নয়
তুমি জেনে রাখো ওহে অচিন-হন্তারক
আমাদেরকে অন্তিম যাত্রায় পাঠানো এত সহজীয়া নয়…

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

Likes Comments
০ Share