Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আতা স্বপন

৭ বছর আগে লিখেছেন

অর্থমন্ত্রীর ব্রিফিং ‘যুবক’ গ্রাহকদের হতাশ করেছে

যুবক বিষয়ে গত ২১/০৯/২০১৬ ই তারিখে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সমাধান হয়নি। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুবক ইজ এ ডেড ইস্যু’। এটা নিয়ে সরকারের নতুন করে কিছু করার নেই। তিনি বলেন, গ্রাহকরা দাবি করেছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত কেউ আদালতে যাননি। যুবক হলো হায় হায় কোম্পানি। বাংলাদেশে হায় হায় কোম্পানিতে বিনিয়োগ নতুন কিছু নয়। এখানে বিনিয়োগ করে ধরা খায় লোকজন। মুহিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা না বুঝে বেশি লাভের আশায় বিনিয়োগ করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। আমরা যেটা করতে পারি, তা হলো ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর প্রতারিত না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া। মুহিত বলেন, হায় হায় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে ক্ষতিপূরণ কীভাবে দেওয়া হবে। গ্রাহকদের যারা প্রতারিত করল সেই যুবক কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে কী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে_ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কীভাবে হবে, অন্যায়কারীরা তো পগারপার। তাদের ধরব কীভাবে? (সূত্র: সমকাল: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬)এখানে
যুবক নিয়ে দীর্ঘ ভলিবল খেলার পর এ কেমন কথা বললেন অর্থমন্ত্রী? এ বিষয়ে যুবকের ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকদের মতামত নিয়ে জানা যায় উনার প্রতিটি কথাই মনগড়া।

১। যুবক ডেড ইস্যুঃ

না, এটা ডেড ইস্যু না। এটা চলমান ইস্যু। যা বহুআগে শুরু হয়ে চলছে তো চলছেই, থামছে না। জনগনের পাওনা না বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত এটা ডেড ইস্যু হয় কীভাবে? ভুক্তভোগী গ্রাহকের টাকা আদায়ের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত এটা ডেড ইস্যু বলা যাবে না।

২। সরকারের নতুন কিছু করার নাইঃ

কেন করার নাই? আর ’পুরান’ কী করেছেন? দু’টি লোক দেখানো কমিশন ছাড়া। অনেক কিছু করার আছে। দেখেও যদি না দেখার ভান করে এড়িয়ে গেলেই কি ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এ বক্ত্যব্য মেনে নেবে। আশা জাগিয়ে এখন তা ভাঙ্গার খেলায় মাতলে তো হবে না।

৩। গ্রাহকরা দাবি করেছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত কেউ আদালতে যাননিঃ

এ কথার মানে কি? উনি কি বলতে চাচ্ছেন আদালতে না গেলে যুবকের গ্রাহকদের দাবি মিথ্যা। আর এ কথাইবা বলেন কি করে যুবকের গ্রাহকরা আদালতে যায় নি। কে বলেছে উনাকে যে যাননি। যুবকের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামে বহু মামলা রয়েছে দেশের বিভিন্ন থানায়। একজন অর্থ মন্ত্রীর কাছে এই তথ্যটি নেই। হুটহাট করে কথা বলছেন। কথাটি কতটুকু সত্য বা সঠিক তার কোন পরোয়া নেই। সত্যই সেলুকাস বিচিত্র এই দেশ।

৪। যুবক হলো হায় হায় কোম্পানিঃ

উনি যেহেতু জানেনই এটি হায় হায় কোম্পানি তাহলে অর্থমন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে কেন যুবকের বিরুদ্ধে কোন মামলা করা হল না।

৫। তারা না বুঝে বেশি লাভের আশায় বিনিয়োগ করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের তেমন কিছু করার সুযোগ নেইঃ

বাহ! এত দিন পার দায় সারা একটা কথা বললেই হল। কিছু করার যদি নাই থাকে কেন ২টি কমিশণ করে ফাও টাাক খরচ করলেণ। ঐ টাকা দিয়েতো গ্রাহকদের কিছু পাওনা পরিশোধ করলেও কিছু কাজ হতো। কিছু করার নেই জানেন। তারপরও কেন এর জন্য কমিশন কমিশন খেলা। আর বলছে বেশী লাভের আশায় বিনিয়োগ করার কথা সেটাতো ব্যাংক গুলোও করছে। হ্যা ব্যংকের সুদ কম। তাদের টা বেশী। কথা হলো লোভ সবারই কৌশল। কারন মানুষ লোভ মানুষের একটা কমন ঋপু। মানুষের এই দূর্বলতাকে সবাই কাজে লাগায়। যুবক একা লাগায় নি। তাই বলে লোভ করেছে এখান তারা মরুক এটা ভেবে এড়িয়ে গেলেতো হবে না। অর্থমন্ত্রনালয় এভাবে দায় এড়াতে পারে না।

৬। আমরা যেটা করতে পারি, তা হলো ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর প্রতারিত না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়াঃ

হ্যা, এটাতো পারবেনই এটা করতে গেলেতো আর জনগনের দায় চাপবে না ঘাড়ে। খালি ফাকি মারার ধান্দা।

৭। ক্ষতিপূরণ কীভাবে দেওয়া হবেঃ

গ্রাহকদের যারা প্রতারিত করল সেই যুবক কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে কী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে_ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কীভাবে হবে, অন্যায়কারীরা তো পগারপার। তাদের ধরব কীভাবে? প্রথম কথা হল অন্যায়কারী কি আসেলেই পগারপার? দ্বিতীয় কথা হল তারা পগারপার যদি হয়ে থাকে প্রশাসন কি ঘুমিয়ে ছিল? পত্র পত্রিকায় প্রায় দেখা যাছ্চে যুবক এই করছে যুবই ওই করছে। যুবকের পরিচালক গ্রেফতার। পগারপার হল কেমন করে? খালি স্লিপ কাটার চেষ্টা। ধরব কিভাবে ? এই উত্তর সাংবাদিকদের না জিজ্ঞাসা করে প্রশাসন এর সহযোগীতা নিন। তাদের জিজ্ঞাসা করুন।

অর্থমন্ত্রীর ব্রিফিং যুবকের গ্রাহকদের দারুন হতাশ করেছে, তাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এতদিন পর যেখানে পাওনাদার গ্রাহকদের শুনানো কথা ছিল আশার বাণী, সেখানে আজ তাদের শুনতে হচ্ছে যুবক ডেড ইস্যু। সরকারের কিছু করার নেই। এই জাতীয় কথা। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আরো ভাবার জন্য অনুরোধ করছি। কারন লক্ষ মানুষের দায়ের প্রশ্ন এখানে। এদিকে যুবক কিন্তু জমি দিয়ে হলেও কিছু দায় শোধ করছে বলে জানা যায়। সরকার নিজস্ব তত্বাবধানে তাদের বর্তমান এ কার্যক্রমের মাধ্যমেও এই কাজটি করতে পারেন। কিছু একটা করুন। হাল ছেড়ে দেবেন না।

 

 

Likes Comments
০ Share

Comments (0)

  • - তানিম হক

    সৃষ্টি মাঝেই যে ধবংস সে কথা ভুলে যায় ক্ষণিকের আহলাদেস্বার্থে। সত্য এটাই চলে যেতে হবে সবার। জীবনটা নাট্যমঞ্চের চেয়েও কঠিন নাট্যঙ্গায়ন।

    শেষের কথাগুলো মন জয় করেছে।

    - রুদ্র আমিন

    ধন্যবাদ বন্ধু তোকে...