পা দু'টো হারানোর পর থেকে
যেন এক এক করে সব হারিয়েছি
হারিয়েছি ঝাউ বন
হারিয়েছি মস্ত আঙ্গীনা
আরও হারিয়েছি দু'টো অস্থির চোখ
জীবন এখন ক্র্যাচেই বাঁধা ।
বাড়িওয়ালা মানা করে দিয়ে গেছে
আমার ক্র্যাচের শব্দ নাকি
ওদের ঘুমের ব্যঘাত ঘটায় ।
জানো, তাই আজকাল সকালবেলা
সূর্য দেখা হয় না।
ভোরের বাতাস বকুলতলা
সবি মিছে, শুধুই মিছে ।
এই গরমে চৌধুরীর অফিসে গিয়ে
চেয়েছিলাম পারিশ্রমিক,
ফিরিয়ে দিয়ে বললেন উনি আরেক দিন এসো ।
ক'টা কাগজ মূল্য কত
ক্র্যাচের শব্দ অবিরত ।
জানো যুথী, আজকাল বড্ড কষ্ট হয়
চতুরদিকে অবহেলা, অভাব আর আসহায়ত্ব
সবই যেন ক্র্যাচেরই পাওয়না ছিল।
পালাবো কি ?
আমি এ জীবনে আর পালাতে পারব না
ক্র্যাচই আমাকে পালাতে দিবে না।
তাই মাঝে মাঝেই বলতে ইচ্ছে হয়
ক্র্যাচের জীবন কষ্ট যত
ক্র্যাচের জীবন নষ্ট তত।
যদিও কখনও ক্র্যাচ ব্যাবহার করতে হয়নি, তবুও বুঝি ক্র্যাচের জীবনের কষ্ট কতটা, কতটা অসহায়ত্ব নিয়ে আসতে পারে । মানুষ একে অন্যের সহয়তা বা সমাজের সহয়তা পায় বলেই কিন্তু সামনে এগিয়ে যায়। কিন্তু যখন নিজের অঙ্গই নিজেকে সাহায্য করতে পারে না তখন কি অবস্থা দাড়াঁয়।আমার খুব দু:খ হয় যখন কোন ক্র্যাচে ভর করে সাহায্য চায় ।কত অসহায় ওরা ।
Comments (5)
রবীন্দ্রনাথ এর লেখা নিয়ে এতগুলো পর্ব লিখে ফেলেছেন, লিখবেন আরও সেটাও বুঝলাম আপনার ‘চলবে’ লেখা দেখে। রবীন্দ্র-সাহিত্য’র উপর ভালো দখল আপনার আছে সেটা টের পেয়েছি। শুভকামনা জানিয়ে গেলাম ভাই রাজীব। ‘দেবীপ্রতিমা’ বিষয়ক এই জটিলতার খবর জানা ছিল না। ব্যাপারটা কিন্তু বেশ মজার এবং রহস্যে মোড়া।
বরাবরের মতো ভালো লাগা রেখে গেলাম।