Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

প্রীতি রাহা

১০ বছর আগে লিখেছেন

কিংবদন্তি সুচিত্রা সেন : বাংলার মেয়ে

সুচিত্রা সেন। এক কিংবদন্তি নাম। তিনি এই বাংলার মেয়ে। তাঁর জন্য বাংলাদেশের মানুষের আছে এক অকৃত্তিম ভালোবাসা। অনুরূপভাবে, সুচিত্রা সেনও বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষকে ভীষণ ভালোবাসতেন। বাংলাদেশেও তাঁর অগণিত ভক্ত রয়েছে। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি সকালে অনেকের চোখই টেলিভিশনের পর্দায় আটকে গিয়েছিল। সুচিত্রা সেন আর নেই। ভক্তরা তাঁকে অশ্রুসজল নয়নে চিরবিদায় জানিয়েছেন সেদিন।

 

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সুচিত্রা সেন ফুসফুসে সংক্রামণে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল ‘বেলভিউ’-এ ভর্তি হন। মৃত্যুর আগমূহুর্ত পর্যন্ত তিনি এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে ডা. সুব্রত মৈত্রের ডায়েরি থেকে সুচিত্রা সেনের অসুস্থতার তৎকালীন অবস্থার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। ডা. সুব্রত মৈত্রের সেই দিনলিপিগুলো ভারতীয় দৈনিক ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’-তে প্রকাশিত হয়। এই সূত্র থেকে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ‘সংবাদ’-এ ডা. মৈত্রের সেই দিনলিপিটি প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে সুচিত্রা সেনের পরলোকগমনের দিন অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি, ২০১৪-তে লেখা ডা. মৈত্রের সেই স্মৃতিচারণা উল্লেখ করছি, ‘কালবাড়িফিরতেরাতএকটাহয়েছে।খুবটেনশনহচ্ছিল।মিসেসসেনএকেবারেভালোছিলেননা।নস্করকেবলেএসেছিলাম।সকাল৭টায়হাসপাতালথেকেফোন।অবস্থাখুবখারাপ।কীঘটতেচলেছেবুঝতেইপারছিলাম।কোনমতেদৌড়ালাম।পালসরেটকমছিল।৮টারকাছাকাছিসময়েম্যাসিভঅ্যাটাক।বুঝেগেলাম, আরকিছুকরারনেই।গতদু'দিনক্রমাগতবলেযাচ্ছিলেন, 'আমাকেছেড়েদাও, ছেড়েদাওতোমরা।' ডাক্তারহিসেবেতোছাড়তেপারাযায়না।শেষপর্যন্তউনিইনিজেছেড়েচলেগেলেনআরআমাদেরসেইসারসত্যবুঝিয়েগেলেনযে, চাইলেইকাউকেধরেরাখাযায়না।’

এমনি করেই ১৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়) পরলোকগমন করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কলকাতার ঐতিহাসিক কেওড়াতলার মহাশ্মশানে সম্পন্ন হয়। সেদিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে ভারতের কলকাতা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে গান স্যালুট প্রদান করা হয়। ১টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠান।

 

বৃহত্তর পাবনার (বর্তমান সিরাজগঞ্জ) সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সেন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে সুচিত্রা সেনের দাদুবাড়ি (মায়ের বাবার বাড়ি) ছিল। দাদু রজনীকান্ত সেনের এই বাড়িতে ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল সুচিত্রা সেনের জন্ম। সুচিত্রা সেনের বাবার পূর্ব পুরুষদের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায়। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হিমসাগর লেনের (পুরাতন পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউটের বিপরীতে) একতলা পাকা পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের শিশুবেলা, শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে। এ বাড়ির প্রতিটি কোণে মিশে আছে সুচিত্রা সেনের হাতের ছোঁয়া আর তাঁর চঞ্চল পদচারণার স্মৃতি।

 

 

 

পাবনা শহরের মহাকালী পাঠশালায় পড়ালেখা শেষে সুচিত্রা সেন স্থানীয় পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে (বর্তমান পাবনা টাউন গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়) নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। ছোট থেকে ভীষণ সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন তিনি। এর মধ্যে গান, নাটক ও অভিনয়ের প্রতি ছিল সুচিত্রা সেনের বিশেষ দুর্বলতা।

 

 

সুচিত্রা সেনের ছোটবেলার বান্ধবী এবং সহপাঠী অঞ্জলি রাণী গোস্বামীর স্মৃতিচারণ থেকে জানা গেছে কিছু কথা। অঞ্জলি রাণী গোস্বামী মহাকালী পাঠশালায় সুচিত্রা সেনের প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর তাঁরা দুজনেই পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে নবম শ্রেণী পর্যন্ত তারা সহপাঠী ছিলেন। অঞ্জলি রাণী গোস্বামী বলেছেন, সুচিত্রা সেন ভীষণ বন্ধু বৎসল ছিলেন। সবসময় হাসি-খুশি থাকতেন তাদের রমা অর্থাৎ সুচিত্রা সেন। এই রমাকে ছাড়া তাদের বন্ধুমহলের কোন আসরই নাকি জমতো না। অঞ্জলি রাণী গোস্বামীর ভাষ্যমতে, সুচিত্রা সেন সে যুগেও ছিলেন ভীষণ স্মার্ট এবং আধুনিকাও বটে।

 

পারিবারিকভাবে তাঁর নাম রাখা হয় রমা দাশগুপ্ত এবং ডাকনাম ছিল কৃষ্ণা। তাঁর বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত পাবনা মিউনিসিপ্যালিটির স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন। মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত ছিলেন গৃহিণী। ১৯৪৭ সালে রমা দাশগুপ্ত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হল বালিগঞ্জ প্রেসের স্বত্ত্বাধিকারী আদিনাথ সেনের পুত্র দীবানাথ সেনের সঙ্গে। বিবাহ পরবর্তীতে এই রমা দাশগুপ্তা হয়ে যান রমা সেন।

 

এই রমা সেন থেকে আবার তিনি হয়ে গেলেন সুচিত্রা সেন। তাঁর অভিনীত সর্বপ্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সাত নম্বর কয়েদি’ ১৯৫৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিতেই প্রথম তিনি সুচিত্রা সেন নামে আবির্ভূত হন। রুপালি পর্দায় দুই অক্ষরের নাম উপযুক্ত নয়, এমনটি ভেবে ছবির পরিচালকের নির্দেশে তাঁর নাম বদল হয়। পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের সহকারী নীতিশ রায় ‘রমা’-এর পরিবর্তে ‘সুচিত্রা’ নামকরণ করেন। সেই থেকেই তিনি হয়ে যান সুচিত্রা সেন। এখান থেকেই সুচিত্রা সেনের পরহচলা শুরু হয়েছিল। একের পর এক দর্শক নন্দিত ছবি করেছেন তিনি। বিশেষ করে উত্তম-সুচিত্রা জুটিকে দর্শকদের মাঝে বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।

 

সুচিত্রা সেন অভিনয়জীবনে বাংলা এবং হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত চলচিত্রগুলো হচ্ছে-

সাত নম্বর কয়েদি-১৯৫৩ [সমর রায়]। সাড়ে চুয়াত্তর-১৯৫৩ [উত্তম কুমার]। - কাজরী-১৯৫৩ [রবীন মজুমদার]। - ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য-১৯৫৩ [বসন্ত চৌধুরী] । - অ্যাটম বোম-১৯৫৪ [তারু মুখোপাধ্যায়]। - ওরা থাকে ওধারে-১৯৫৪ [উত্তম কুমার]। - ঢুলি-১৯৫৪ [প্রশান্ত কুমার]। - মরণের পরে-১৯৫৪ [উত্তম কুমার]। - সদানন্দের মেলা-১৯৫৪ [উত্তম কুমার]। - অন্নপূর্ণার মন্দির-১৯৫৪ [উত্তম কুমার]। - অগ্নিপরীক্ষা-১৯৫৪ [উত্তম কুমার]। - গৃহপ্রবেশ-১৯৫৪ [উত্তম কুমার]। - বলয় গ্রাস- ১৯৫৪ [দীপক মুখোপাধ্যায়]।

 

 

দেবদাস (হিন্দি) -১৯৫৫ [দিলীপ কুমার]। - সাঁঝের প্রদীপ-১৯৫৫ [উত্তম কুমার]। - সাজঘর-১৯৫৫ [বিকাশ রায়]। - শাপমোচন-১৯৫৫ [উত্তম কুমার] । - মেজবউ-১৯৫৫ [বিকাশ রায়]। - ভালোবাসা-১৯৫৫ [বিকাশ রায়]। - সবার উপরে-১৯৫৫ [উত্তম কুমার] । - সাগরিকা-১৯৫৬ [উত্তম কুমার]। - শুভরাত্রি- ১৯৫৬ [বসন্ত চৌধুরী]। - একটি রাত- ১৯৫৬ [উত্তম কুমার]। - ত্রিযামা- ১৯৫৬ [উত্তম কুমার]। - শিল্পী- ১৯৫৬ [উত্তম কুমার]। - আমার বউ-১৯৫৬ [বিকাশ রায়]। - হারানো সুর-১৯৫৭ [উত্তম কুমার]। - চন্দ্ররাত-১৯৫৭ [উত্তম কুমার]।

 

 

পথে হল দেরী-১৯৫৭ [উত্তম কুমার]। - জীবন তৃষ্ণা-১৯৫৭ [উত্তম কুমার]। - মুসাফির (হিন্দি)-১৯৫৭ [শেখর]। - চম্পাকলি (হিন্দি)-১৯৫৭ [ভারত ভূষণ]। - রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত-১৯৫৮ [উত্তম কুমার]। - ইন্দ্রাণী-১৯৫৮ [উত্তম কুমার]। - সূর্যতোরণ-১৯৫৮ [উত্তম কুমার]। - চাওয়া পাওয়া-১৯৫৯ [উত্তম কুমার]। - দীপ জ্বেলে যাই-১৯৫৯ [বসন্ত চৌধুরী]। - হসপিটাল-১৯৬০ [অশোক কুমার]। - স্মৃতিটুকু থাক-১৯৬০ [বিকাশ রায়]। - বম্বাই কি বাবু (হিন্দি)-১৯৬০ [দেব আনন্দ]। - শারহাদ্ (হিন্দি)-১৯৬০ [দেব আনন্দ]। - সপ্তপদী-১৯৬১ [উত্তম কুমার]। - বিপাশা-১৯৬২ [উত্তম কুমার]। - সাত পাকে বাঁধা-১৯৬৩ [সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়]। - উত্তর ফাল্গুনী-১৯৬৩ [বিকাশ রায়, দিলীপ মুখার্জি]। - সন্ধ্যাদীপের শিখা-১৯৬৪ [বিকাশ রায়]। - মমতা (হিন্দি)-১৯৬৬ [অশোক কুমার, ধর্মেন্দ্র]। - গৃহদাহ-১৯৬৭ [উত্তম কুমার, প্রদীপ কুমার]। - কমললতা-১৯৬৯ [উত্তম কুমার, নির্মল কুমার]। - মেঘ কালো-১৯৭০ [বসন্ত চৌধুরী]। - নবরাগ-১৯৭১ [উত্তম কুমার]। - ফরিয়াদ- ১৯৭১ [উৎপল দত্ত]। - আলো আমার আলো-১৯৭২ [উত্তম কুমার]। - হার মানা হার- ১৯৭২ [উত্তম কুমার]। - শ্রাবণ সন্ধ্যা- ১৯৭৪ [সমর রায়, সমিত ভঞ্জ]। - দেবী চৌধুরাণী- ১৯৭৪ [রঞ্জিত মল্লিক]। - আঁধি(হিন্দি)-১৯৭৪ [সঞ্জীব কুমার]। - প্রিয় বান্ধবী- ১৯৭৫ [উত্তম কুমার]। - দত্তা- ১৯৭৬ [সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়]। - প্রণয়পাশা- ১৯৭৮ [সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়]।

 

তাঁর অভিনীত চলচিত্রের জন্য তিনি জীবদ্দশায় বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। পুরস্কার ও সম্মাননাসমূহ হল –

 

প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হন সুচিত্রা সেন। 'সাত পাকে বাঁধা' [১৯৬৩] ছবির জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে এ স্বীকৃতি পান তিনি।

বিএফজেএ পুরস্কার : সপ্তপদী (১৯৬১), উত্তর ফাল্গুনী (১৯৬৩), আলো আমার আলো (১৯৭২), আঁধি (১৯৭৫)।

১৯৬৭ সালে 'মমতা' ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী শাখায় ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন তিনি।

১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন।

১৯৫৮ সালে লন্ডনে বিবিসি বাংলা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে অংশ নেন ও সেখানে বক্তব্য রাখেন।

 

১৯৮৩ সালে দিল্লি নবম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক হিসেবে আমন্ত্রণ পান। তবে ব্যস্ততার কারণে তিনি এই দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।

২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হলেও জনসমক্ষে আসবেন না বিধায় তা প্রত্যাখ্যান করেন।

২০১২ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার লাভ করেন সুচিত্রা সেন।

 

সুচিত্রা সেনের অভিনয়ে ছিল প্রাণ। তাঁর হাসি এবং বাঁকা চোখের চাহনি তখন বেশ জনপ্রিয় ছিল। তাঁর স্টাইল ও ফ্যাশান অনুকরণ করতো অনেক তরুণীই। এযুগ-সেযুগের গন্ডিতে বাধা নন সুচিত্রা সেন। তাঁর ছায়াছবির ভক্ত আগেও যেমন ছিল, এখনো অনেকেই আছেন। বিশেষ করে এ সময়ের মানুষেরা, যারা আগে তাঁর অভিনয় দেখেনি তারাও এখনরসুচিত্রা সেঙ্কে জানতে চায়। মহানায়িকার মৃত্যুর পর এই আগ্রহ আরোও বেড়েছে নতুন প্রজন্মের।

 

এ পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হোতো তুমি বলোতো......।(অথবা)

এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়......। (অথবা)

কিছুক্ষণ আরও না হয় রহিতে পাশে......।

 

এমন বহু রোমান্টিক গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়েছেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। রুপালি পর্দায় তার জন্য সবচেয়ে বেশি গান গেয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এরপরই রয়েছেন গীতা দত্ত।

 

ছায়াছবিতে অভিনয়কালীন ঠোঁট মেলানো ছাড়াও তিনি গানও গেয়েছেন। ষাটের দশকে পূজার সময় এইচএমভি থেকে সুচিত্রা সেনের গাওয়া দুটি গানের রেকর্ড প্রকাশ পায়। এরপর আর কখনো তিনি নিজ কন্ঠে গান প্রকাশ করেননি। তাঁর কন্ঠা দেয়া গান দুটি ছিল ‘আমার নতুন গানের নিমন্ত্রণে আসবে কি বলো না’ এবং ‘বনে নয় মনে আজ যেন ফাগুন দোলা দিয়েছে’। এই গান দুটির সুরকার ছিলেন একজনই, নচিকেতা ঘোষ। এই গান দুটি শোনার জন্য আকাশবাণীতে শ্রোতাদের নিয়মিত অনুরোধ আসতো।

 

 

সর্বশেষ তিনি ১৯৭৮ সালে ‘প্রণয় পাশা’ ছবিতে অভিনয় করেন। এরপর আকস্মিকভাবেই তিনি পর্দার অন্তরালে চলে যান। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অবস্থায় তাঁর অন্তরালে অবস্থান নেয়াটা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি।

 

তবে এখানে একটি বিষয় না বললেই নয়। সুচিত্রা সেনের এই স্বেচ্ছায় অন্তরাল জীবনটিকে অনেকেই ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অনেকে ভেবেছেন উনি বোধ ঘর থেকেই বের হন না অথবা এটা ওনার মানসিক সমস্যা ইত্যাদি। বাস্তবতা এই যে, তিনি তার স্বাভাবিক সকল দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করতে সে সময়েও ভোলেননি। তিনি বাইরে বের হতেন এবং তার কাছেও অতিথিরা আসতেন। মূলত তিনি ক্যামেরাকেন্দ্রিক সকল কিছু থেকে দূরে ছিলেন। আমি বিভিন্ন স্থানে এই নিয়ে তর্ক হতে দেখেছি। বিশেষ করে এই শেষবার, যখন তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছিলেন। ভুলব্যাখ্যা থেকে সকলকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

Likes Comments
০ Share

Comments (8)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    বেশ লাগল কবিতা

    - Suman das

    apnake asonkhyo dhonyobaad.