অমানিতা চল ঘুরে আসি
তিন দিনের সফরে মুগ্ধ প্রকৃতির অফারে
সমতল ছেড়ে পাহাড়ি তটে
সবুজ শ্যামল বনের কিনারে
কত দিন যাও নি নদীর তীরে
তোমায় দেখলে যেখানে ভাটা পড়ে
ক্লান্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে, বহুদিন পরে।
অমানিতা চল যাই সৈকতে
বালুচরে উল্লাস দেখি সফেন জলে
দেখ দেখ কোন দেশ থেকে এসেছে
এই অপরিচিত আগাছা ভেসে
শুকিয়ে গেছে লবণের দেশে
যতদূর চোখ যায় আকাশ মিশে গেছে
সেঁজুতির রঙে দরিয়া সেজেছে
সমুদ্রের গর্জন যেন সুরে সুরে আসে
আরও কাছে তোমায় ছুঁতে যেওনা পিছিয়ে।
অমানিতা চল হাঁটি গাঁয়ের পথে
আঁকা বাঁকা রাস্তায় হাত ধরেহাতে
ঘাস ফুল ফুটেছে বরণ করতে
জুতো খুলে দাও আমার হাতে
তোমার পায়ে ওরা চুমু খাবে দিনে বা রাতে
ছোট ছোট ঘর গুলো সাজিয়েছে তোমায় দেখে
নতুন চাদরে বিছানা পেতেছে ক্লান্ত তুমি শোবে
অমানিশায় আলো জ্বলবে তোমার হাসিতে
চাঁদ যেন নেমে আসে তোমায় দেখতে।
অমানিতা চল যাই মরুভুমিতে
হাজার বছরের তপ্ত বালি কণা
শীতল হবে তোমার পদদুলিতে
নীলিমার এতো নীল দেখনি আগে
ভ্রমণে কথা হবে পথ যেতে যেতে,
চল আজ ঘুরে আসি পৃথিবীর পথে।
[রাসেল হোসেন, ১০-০১-১৪]
Comments (9)
ধন্যবাদ!