ভিনদেশী পরী এতদিন কোথায় ছিলি
চোখাচোখি দেখা অন্তরের অন্তঃস্থলের কথা।
বাকি আছে কিছু আমার জন্য?
নাকি সব ফুরিয়ে এসেছ একলা একা
বলতে বলতে,
ফুল হাতে দাঁড়িয়ে ডান হাত বাড়িয়ে
বাম হাঁটু মাটিতে দুই চোখ আঁখিতে
বুক খালি রয়েছে প্রেম বুঝি হয়েছে
ভেবেছে গ্রহণ হবে খুশিতে, হাসি হাসি মুখেতে।
তারপর
মেয়ে দুই কদম পিছু পিছ মুঠোফোনে ফিসফিস
পুলিশ এলো পিছনে,ছেলের নাহি খেয়ালে
ইভটিজিং এর কারণে,অপরাধ হবে নাই তার স্মরণে
হাতকড়া ছেলের, সব দোষ কপালের
ছয়মাস জেলে বন্ধী থাকবে ছেলে।
তিন মাস পর,
দু’দিন পরে মেয়ের বর্ষপূর্তি হবে
উপহার কিনতে একা গেল মার্কেটে
তিনতলা পেরিয়ে চোখ গেল হারিয়ে
প্রেমিক এখানে কি করছে গোপনে
মোলায়েম ত্বকে হাতে হাত রেখে
কি কথা তার সাথে, হাত ছাড়ে হাত রাখে
একই কথা বলে কোন এক টেবিলে অন্য কোন দিনে
ফিরে এলো বাসায় এতদিন ছিল কার আশায়
অশ্রু ঝরে অগোচরে ভুলে গেল কিছুদিন পরে
এক মাস পর,
হঠাৎ এলো মনে কে যেন ফুল দিয়েছিল কবে তার সনে
মেয়ে ভাবে যাবে যাবে গারদে,ছেলেটাকে ছাড়াতে
গেল চলে গেল অন্যমনস্ক ভাবনায় গাড়ির নিচে চাপা পরে গেল।
মেয়েটার অধ্যায় শেষ হল।
দুই মাস পর,
আজ ছেলে মুক্তি পেল বহুদিন পরে বড়সড় নিঃশ্বাস নিল
আজো রয়েছে পকেটে শুকনো গোলাপের পাপী পাপড়ি গুলো
তিনদিন পর জানতে পেল সেই মেয়েটি মারা গেল
রাতভর ভাবে কি হবে,কি হবে
কে জানতো এতো বড় ক্ষতি হবে পাপের অভিশাপে।
[রাসেল হোসেন, ০১-০১-১৪]
continue reading
চোখাচোখি দেখা অন্তরের অন্তঃস্থলের কথা।
বাকি আছে কিছু আমার জন্য?
নাকি সব ফুরিয়ে এসেছ একলা একা
বলতে বলতে,
ফুল হাতে দাঁড়িয়ে ডান হাত বাড়িয়ে
বাম হাঁটু মাটিতে দুই চোখ আঁখিতে
বুক খালি রয়েছে প্রেম বুঝি হয়েছে
ভেবেছে গ্রহণ হবে খুশিতে, হাসি হাসি মুখেতে।
তারপর
মেয়ে দুই কদম পিছু পিছ মুঠোফোনে ফিসফিস
পুলিশ এলো পিছনে,ছেলের নাহি খেয়ালে
ইভটিজিং এর কারণে,অপরাধ হবে নাই তার স্মরণে
হাতকড়া ছেলের, সব দোষ কপালের
ছয়মাস জেলে বন্ধী থাকবে ছেলে।
তিন মাস পর,
দু’দিন পরে মেয়ের বর্ষপূর্তি হবে
উপহার কিনতে একা গেল মার্কেটে
তিনতলা পেরিয়ে চোখ গেল হারিয়ে
প্রেমিক এখানে কি করছে গোপনে
মোলায়েম ত্বকে হাতে হাত রেখে
কি কথা তার সাথে, হাত ছাড়ে হাত রাখে
একই কথা বলে কোন এক টেবিলে অন্য কোন দিনে
ফিরে এলো বাসায় এতদিন ছিল কার আশায়
অশ্রু ঝরে অগোচরে ভুলে গেল কিছুদিন পরে
এক মাস পর,
হঠাৎ এলো মনে কে যেন ফুল দিয়েছিল কবে তার সনে
মেয়ে ভাবে যাবে যাবে গারদে,ছেলেটাকে ছাড়াতে
গেল চলে গেল অন্যমনস্ক ভাবনায় গাড়ির নিচে চাপা পরে গেল।
মেয়েটার অধ্যায় শেষ হল।
দুই মাস পর,
আজ ছেলে মুক্তি পেল বহুদিন পরে বড়সড় নিঃশ্বাস নিল
আজো রয়েছে পকেটে শুকনো গোলাপের পাপী পাপড়ি গুলো
তিনদিন পর জানতে পেল সেই মেয়েটি মারা গেল
রাতভর ভাবে কি হবে,কি হবে
কে জানতো এতো বড় ক্ষতি হবে পাপের অভিশাপে।
[রাসেল হোসেন, ০১-০১-১৪]
continue reading
Comments (2)
বাহ!
ব্যাপক দিনপঞ্জী দেখি!
লেখার ধরনে এবং প্রকাশে ভালো লাগা রইলো! নাইস !!
অনেক ধন্যবাদ নীলদা...
আপনার লেখা সাধারণ করে সাধারণ গুছানো কথামালাই আমার খুব ভালো লাগে। আজকের দিনলিপিটাও খুব ভালো লাগলো।
বাবা-মা'কে সবচেয়ে বেশি মিস করি, প্রকাশ করা হয় কম...
আমি প্রকাশ করার সময়ই পাই না। এত ব্যস্ত !!!
আর আমি আপনার ছোট। আপনি করে বলবেন না। ক্যামন য্যানো লাগে!
অনেক ধন্যবাদ যূথী আপু।
দিনপঞ্জি অনেক ভালো লাগলো ইশতিয়াক। আপনার লেখা যখন পড়ি তখনই হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কথা মনে হয়। আপনার লেখাতেও স্যারের লেখার মতো একটা জাদু আছে। সহজ কথায় অপার আনন্দ যেমন দেয়, আবার কষ্টও দেয়। স্যারের লেখার মধ্যেও এটা ছিল। বাবার প্রতি অনুভূতিটা মন ছুঁয়ে গেলো।
হুমায়ূন আহমেদ নামটা শুনলেই আমার অনেক ভালো লাগে। যদিও স্যারের লেখার সাথে আমার লেখার বিস্তর দূরত্ব আছে।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঘাস ফুল।