ঘাড়ে-চড়া জাঁত একদিন গোপাল রাজবাড়িতে ঢুকতে যাচ্ছে এমন সময় দেখল একজন ভিখারি ভিক্ষার আশায় ঢুকছে । গোপাল দেখল যে সে কোন নিচু জাঁত । আর একে মহারাজ দেখলে ভিক্ষা দিবেন না। গোপাল বলল -, তোর জাঁত কিরে ? বলল- ' বাবু, চণ্ডাল ।' গোপাল তাকে বলল- 'মহারাজের কাছে এই পরিচয় দিলে তোকে ভিক্ষা দেবেনই না বরং লোক দিয়ে তোকে বের করে দেবে । শোন -তোর জাঁত জানতে চাইলে তুই বলবি আমি ঘাড়ে চড়া জাঁত। ভিখারি দরবারে উপস্থিত হতেই মহারাজ তাকে তার জাঁত জিজ্ঞাসা করল । গোপালের শিখানো কথাই লোকটি নির্ভয়ে বলল।
মহারাজ এই উত্তর শুনে ভীষণ চটে গেলেন। তিনি বললেন তোর সাহস তো কম নয় । তুই আমার সাথে ইয়ার্কি করিস । সত্যি করে বল - তোর জাঁত কী ?
আবারও লোকটি একই উত্তর দিল। মহারাজ এবার ভীষণ চটে গিয়ে আবার জিজ্ঞাসা করল- কিন্তু আবারও ভিখারিটি একই উত্তর দিল। এবার কিন্তু মহারাজ রেগে - মেগে আগুন । এখন মহারাজ তাকে শাস্তি দিবেনই । ঠিক সেই মুহূর্তে আসল গোপাল। বলল হুজুর কি হয়েছে ? আপনি এত উত্তেজিত কেন ? মহারাজ বললেন দেখ বেটার আস্পর্ধা , আমি তার জাঁত জানতে চাইলে , সে কিনা বলে - ' ঘাড়ে চড়া জাঁত। এত বেয়াদব যে , কিছুতেই সত্য কথা বলছে না। গোপাল সব কথা শুনে বলল- ' মহারাজ আপনি শুধু শুধু এই বেচারার উপর রাগ করছেন , ওত ঠিক কথাই বলেছে । ও তো আপনার ঘারেই চড়েছে । মানুষের ঘাড়ে রাগ চড়ে , আর রাগকে লোকে চণ্ডাল বলে না ? ও তো বুদ্ধি করে নামটা ঘুরিয়ে বলেছে । আপনার তো বরং ওর বুদ্ধির তারিফ করা উচিত । গোপালের যুক্তির কাছে হার মানলেন মহারাজ। তিনি ভিখারিকে আনেক উপহার দিলেন । গোপালের প্রতি হাজার কোটি প্রনাম জানিয়ে ভিখারিটি খুশি মনে বাড়ি ফিরে গেল।
Comments (1)
চিরন্তন চাওয়া
দারুণ...!
অনেক ধন্যবাদ বাদল ভাই।
ছুটি দিয়াই দিলেন ভাই।