Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ইসমাইল হোসেন

৯ বছর আগে লিখেছেন

হোজ্জার কৌতুক

১.
রাজার মেজাজ খারাপ।রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জা সামনে পড়ে গেলেন।
শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জার সামনে পড়ে যাওয়াটা আমার ভাগ্যের জন্য খারাপ, প্রহরীদের রাগত গলায় বললেন রাজা।আমার দিকে ওকে তাকাতে দিয়ো না-চাবুকপেটা করে ওকে পথ থেকে সরিয়ে দাও।
প্রহরীরা তা-ই করল।
শিকার কিন্তু ভালোই হলো।
রাজা হোজ্জাকে ডেকে পাঠালেন।
আমি সত্যি দুঃখিত, হোজ্জা।ভেবেছিলাম তুমি অশুভ।কিন্তু তুমি তা নও।
আপনি ভেবেছিলেন আমি অশুভ!হোজ্জা বললেন।আপনি আমাকে দেখার পর ভালো শিকার করেছেন।আর আমি আপনাকে দেখে চাবুকপেটা খেয়েছি।কে যে কার অশুভ, বুঝলাম না।

২.
একবার নাসিরুদ্দিন হোজ্জা অসুস্থ।নিজের গাধাটাকে খাওয়ানোর জন্য বিবিকে বললেন।হোজ্জার বিবি একটু ত্যাদড় টাইপের।সে গাধা কে খাবার দিতে অস্বীকার করল।দুজনের মধ্যে এই নিয়ে তুমুল ঝগড়া।তারপর একটা সমঝোতা হল, যে আগে কথা বলবে সে গাধাকে খাওয়াবে।হোজ্জা বাজিতে জেতার ব্যপারে ডিটারমাইন্ড ছিল।
সেইদিনই, হোজ্জার বিবি বাইরে গেছে, খালি বাসা দেখে একটা চোর ঘরে ঢুকল।হোজ্জা বাসায় ছিল, কিন্তু বাজিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে চোরকে কিছু বলল না।চোর নির্বিঘ্নে ঘরের সব কিছু নিয়ে চলে গেল।হোজ্জার স্ত্রী বাসায় ফিরে এসে যখন দেখল সব কিছু খালি, চিৎকার দিয়ে বলল, হায় আল্লা! কি হইছে?
হোজ্জা খুশিতে লাফিয়ে উঠল, আমি জিতছি বাজিতে, এখন তোমারেই গাধাকে খাওয়ান লাগবে।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - মাসুম বাদল

    ভালোলাগা জানালাম...

    • - প্রলয় সাহা

      ধন্যবাদ দাদাভাই ।emoticonsemoticonsemoticons

ইসমাইল হোসেন

৯ বছর আগে লিখেছেন

সর্দারজির গল্প

চার সর্দারজি মিলে একটা পেট্রল পাম্প খুলল ।
কিন্ত একটাও গাড়ি তেল নিতে এল না ।
কেন ?
পেট্রল-পাম্প দোতলার ওপর ছিল ।
এরপর তারা সেখানেই রেস্তোরাঁ খুলল ।
কিন্ত এবারো কোন খদ্দের এল না ।
কেন ?
কেননা তারা পেট্রল-পাম্পের সাইনবোর্ড খুলে রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ড লাগায়নি ।
এরপর চারজন মিলে একটা ট্যাক্সি কিনল । কিন্ত একটাও প্যাসেঞ্জার আসলো না ।
কেন ?
গাড়ির সামনের সিটে দুজন আগে আর দুজন পেছনের সিটে বসে প্যাসেঞ্জার খুঁজছিল ।
এবার ট্যাক্সি গেল খারাপ হয়ে । চারজন মিলে খুব ধাক্কা দিল । কিন্ত ট্যাক্সি একটুও সরল না ।
কেন ?
দুজন আগে থেকে দুজন পেছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছিল । এবার
চারজন একটা বাচচাকে কিডন্যাপ করল । বাচচাকে বলল,"বাড়ি যা আর তোর বাবার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে আয় নইলে তোকে মেরে ফেলব ।"
বাচচা বাড়ি গেল আর তার বাবা টাকা দিয়েও দিল ।
কেন?
কারণ বাচ্চার বাবাও একজন সর্দরজি ছিল
continue reading
Likes Comments
০ Shares

ইসমাইল হোসেন

৯ বছর আগে লিখেছেন

নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্প

১)
কে বেশি পেটুক
নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বাড়িতে তাঁর কিছু বন্ধু এসেছেন। অতিথিদের তরমুজ দিয়ে আপ্যায়ন করলেন হোজ্জা। বন্ধুদের সঙ্গে খেতে বসলেন হোজ্জা নিজেও।
হোজ্জার পাশেই বসেছিলেন তাঁর এক দুষ্টু বন্ধু। তরমুজ খেয়ে খেয়ে বন্ধুটি হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসা রাখছিলেন। খাওয়া শেষে দেখা গেল, হোজ্জার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ।
দুষ্টু বন্ধুটি অন্যদের বললেন, ‘দেখেছেন কাণ্ড? হোজ্জা কেমন পেটুক? তার সামনে তরমুজের খোসার স্তূপ হয়ে গেছে’!
হোজ্জা হেসে বললেন, ‘আর আমার বন্ধুটির সামনে দেখছি একটা খোসাও নেই! উনি খোসাশুদ্ধ খেয়েছেন! এখন আপনারাই বলুন, কে বেশি পেটুক!’
২)
স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ওষুধ
হোজ্জা একবার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এক হেকিমের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর হোজ্জা তাঁর হেকিমের কাছে গেলেন ওই ওষুধ আনার জন্য।
‘আচ্ছা, গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, একেবারেই মনে করতে পারছি না।’
‘তাহলে ওই ওষুধ এখন থেকে আপনি নিজেই খাবেন’, হোজ্জা বিনীত গলায় বললেন।
৩)
তুমি কি আমাকে চেনো
হোজ্জা একবার উটের গাড়িতে চড়েছেন মাত্র। গাড়িচালক হোজ্জার কাছে ভাড়া চাইল। শুনে হোজ্জা হুড়মুড় করে গাড়ি থেকে নেমে যেতে উদ্যত হলেন। চালক বাধা দিয়ে বলল, ‘ভাড়া না দিয়ে আপনি যাচ্ছেন কোথায়?’
‘আমি হলাম বাদশার খাস বন্ধু। আমার কাছে তুমি ভাড়া চাইছ!’
‘ঠিক আছে, আপনিই যে হোজ্জা, তার প্রমাণ কী?’
হোজ্জা বললেন, ‘তুমি কি আমাকে গাড়িতে উঠতে দেখেছ?’
‘নিশ্চয়ই দেখেছি।’
‘তুমি কি আমাকে চেনো?’
‘না, চিনি না।’
‘তাহলে কী করে জানলে যে আমি গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছি?’ continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

    হুম । ভাল লাগা রইল

    - মাসুম বাদল

    ভাললাগা জানালাম...

ইসমাইল হোসেন

৯ বছর আগে লিখেছেন

সর্দারজির কৌতুক

সর্দারজি হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশে উড়েছেন। চালক তিনি নিজেই। কিছুক্ষণ ওড়ার পর হেলিকপ্টারটি ধপাস করে নিচে পড়ে গেল। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেন সর্দারজি। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা ছুটে এলেন। সর্দারজিকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা, কী ঘটেছিল বলুন তো? ঘটনা তেমন কিছু নয়। ওপরে খুব ঠান্ডা লাগছিল, তাই হেলিকপ্টারের ফ্যানের সুইচটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সর্দারজির জবাব।


সর্দারজি ও বান্তার মধ্যে ইভ টিজিং নিয়ে কথা হচ্ছে—
বান্তা: জানিস, ইভ টিজিং যে হারে বেড়ে গেছে, তাতে মেয়েদের বাইরে বের হওয়া দায় হয়ে গেছে।
সর্দারজি: হুম্ম, ঠিকই বলেছিস।
বান্তা: এটা রোধ করার উপায় কী বল তো?
সর্দারজি: আমি একটা উপায় বের করেছি। এখন আমার মেয়েকে নিয়ে আমি নিশ্চিন্ত।
বান্তা: কী সে উপায়?
সর্দারজি: আমি আমার মেয়ের নাম রেখেছি দিদি। তাকে সবাই দিদি বলেই ডাকে। দিদিকে তো কেউ আর ইভ টিজিং করবে না!


সর্দারজি আর তাঁর ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে—
ছেলে: বাবা ৪+৩ কত হয়?
সর্দারজি: হারামজাদা, পড়াশোনা না করলে এমনই হয়। গাধা কোথাকার!
ছেলে: বলো না কত হয়?
সর্দারজি: বেয়াদব ছেলে, এটাই পারিস না। ক্যালকুলেটরটা নিয়ে আয়, যা! continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - রোদের ছায়া

    রাঙ্গামাতি,কাপ্তাই, বান্দারবান এর কিছুটা ঘুরার সুযোগ হয়েছে। সত্যি অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ।

ইসমাইল হোসেন

৯ বছর আগে লিখেছেন

গোপাল ভাড়-৪

ঘাড়ে-চড়া জাঁত   একদিন গোপাল রাজবাড়িতে ঢুকতে যাচ্ছে এমন সময় দেখল একজন ভিখারি ভিক্ষার আশায় ঢুকছে । গোপাল দেখল যে সে কোন নিচু জাঁত । আর একে মহারাজ দেখলে ভিক্ষা দিবেন না। গোপাল বলল -, তোর জাঁত কিরে ?          বলল- ' বাবু, চণ্ডাল ।'   গোপাল তাকে বলল- 'মহারাজের কাছে এই পরিচয় দিলে তোকে ভিক্ষা দেবেনই না বরং লোক দিয়ে তোকে বের করে দেবে । শোন -তোর জাঁত জানতে চাইলে তুই বলবি আমি ঘাড়ে চড়া জাঁত।          ভিখারি দরবারে উপস্থিত হতেই মহারাজ তাকে তার জাঁত জিজ্ঞাসা করল ।            গোপালের শিখানো কথাই লোকটি নির্ভয়ে বলল। 
মহারাজ এই উত্তর শুনে ভীষণ চটে গেলেন। তিনি বললেন তোর সাহস তো কম নয় । তুই আমার সাথে ইয়ার্কি করিস । সত্যি করে বল - তোর জাঁত কী ? 
আবারও লোকটি একই উত্তর দিল। মহারাজ এবার ভীষণ চটে গিয়ে আবার জিজ্ঞাসা করল- কিন্তু আবারও ভিখারিটি একই উত্তর দিল।   এবার কিন্তু মহারাজ রেগে - মেগে আগুন । এখন মহারাজ তাকে শাস্তি দিবেনই । ঠিক সেই মুহূর্তে আসল গোপাল। বলল হুজুর কি হয়েছে ? আপনি এত উত্তেজিত কেন ?   মহারাজ বললেন দেখ বেটার আস্পর্ধা , আমি তার জাঁত জানতে চাইলে , সে কিনা বলে - ' ঘাড়ে চড়া জাঁত।  এত বেয়াদব যে , কিছুতেই সত্য কথা বলছে না।  গোপাল সব কথা শুনে বলল- ' মহারাজ আপনি শুধু শুধু এই বেচারার উপর রাগ করছেন , ওত ঠিক কথাই বলেছে । ও তো আপনার ঘারেই চড়েছে । মানুষের ঘাড়ে রাগ চড়ে , আর রাগকে লোকে চণ্ডাল বলে না ?  ও তো বুদ্ধি করে নামটা ঘুরিয়ে বলেছে । আপনার তো বরং ওর বুদ্ধির তারিফ করা উচিত ।    গোপালের যুক্তির কাছে হার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মাসুম বাদল

    চিরন্তন চাওয়া

    দারুণ...!

    • - আলভী

    - রোদেলা

    অনেক ধন্যবাদ বাদল ভাই।

    - আলভী

    • - রোদেলা

      ছুটি দিয়াই দিলেন ভাই।

    Load more comments...
Load more writings...