এরপর থেকে আমি অনেক চুপচাপ থাকব।একদম নৈঃশব্দের মতন।তুমি ঝরনার ঝরে পড়া জলের মতন কলকল করে কথা বলবে, আর আমি নুয়ে থাকব পড়ে থাকা পাতার মতন।সত্যি,আমি কিন্তু একদম চুপ থাকব!
এরপর থেকে তুমি ভালবাসার কথা বলবে, হৃদয়ের খুব গভীর থেকে। আর আমি শুন্যে তাকিয়ে থাকব। খুব চেষ্টা করব তোমার জন্য যেন আমার সমস্ত অনুভুতি ভোঁতা হয়ে যায়।আমার যেন আর তোমাকে ভালবাসতে ইচ্ছা না করে! আমাতে যেন তোমাকে ছুঁয়ে দেখতেও অনিচ্ছা ভর করে !
এরপর থেকে তুমি আহ্লাদ করবে, অগুনিত ভাবে। আর আমি তখন প্রচন্ড ব্যস্ত অথবা ব্যস্ত থাকার ভান করে থাকবো । তোমার আহ্লাদ আমার অসহ্য বোধ হবে । আমার তখন খুব ইচ্ছা করবে তুমি যেন আমার সামনে আর ঢং না কর, আমার ব্যস্ততায় বাধ না সাধো ।
...... আমি এরকম হতে চাই নি ।একদম ই না। আমার তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা হত ,সমস্ত দিন জুড়ে তোমাকেই ভালবাসতে ইচ্ছা করত,তোমার সাথে আহ্লাদী করতে সাধ হত। কিন্তু তুমি আমাকে শিখিয়েছ কিভাবে দিনের পর দিন অবহেলা করতে হয়। কিভাবে ছোট ছোট ইচ্ছাগুলো গলা টিপে খুন করতে হয়। কিভাবে ভালবাসা কে সমাজের সামনে একটা মুখোশ বানিয়ে ভেতরে ভেতরে ভালোবাসার সমস্তটুকু জলাঞ্জলি দিতে হয়।
অতীতের সব কিছু সরিয়ে, নিজের সত্তা কে ছুড়ে ফেলে আজ আমি তোমার মতন হতে চাই, মৃন্ময় ।আমি চাই ,আমি যে অনুভুতি পেয়ে আজ পাথর হয়ে গেছি,তুমিও যেন সেই পাথর জীবন এর যন্ত্রনা পাও। তুমিও যেন একদিন ভালোবাসাহীন জীবনের শূন্যতা টুকু অনুভব করো।
প্রতিশোধের জ্বলুনিতে আমি আজ হয়ত অন্ধ হয়েছি। অন্ধ!! তবুও প্রতি দিন মিলাবার সময় তোমাকেই কেন চাই, মৃন্ময় ? কেন ?
Comments (15)
গল্পটা খুলেছিলাম পড়ার জন্য। কিন্তু এসে দেখি পুরো লেখাটাই এক প্যারায়। তাই আপাতত বন্ধ রেখে আপনাকে অনুরোধ করছি লেখাটা এডিট করে প্যারা প্যারা করেন দেন প্লীজ। তাতে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি হওয়ার সম্ভবনা কমবে। না করেলও পড়ে নেবো ঠিকই। আবার আসবো পড়ার জন্য। ধন্যবাদ জাবেদ ভুঁইয়া।
ঠিক করে দিলাম। প্যারা করেই লিখেছিলাম। কিভাবে সব গোলমেলে হয়ে গিয়েছিল বুঝলাম না
ভালো লাগলো ... শুভেচ্ছা জানবেন
গল্পের ফন্ট বেশি ছোট। আমার মতো কঠিন মনযোগি ছাত্রীর জন্যও অসুবিধা হচ্ছে... আমার মন্তব্যের কথাগুলোও আপনার গল্পের শব্দের ফন্টের চেয়ে বড়।