মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি
একবার দাঁড়াওনা ভাই,
ঐ ফুল ফোটে বনে যাই মধু আহরণে
দাঁড়াবার সময় তো নাই।
এত যে ব্যাস্ততা তা শুধু অসময়ে জীবন ধারণের চিন্তায়। শীত নামার আগেই পর্যাপ্ত খাদ্য যোগাড় করতেই হবে। ফুলে ফুলে ঘুরে মধুর কাঁচামাল ‘নেকটার’ সংগ্রহ করা বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। আর শুধু সংগ্রহ করলেই তো হয় না, জমা করে রাখার আগে তা আবার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রীতিমত শোধন করে নিতে হয়। আমাদের রান্না করে খাবার প্রস্তুত করার চেয়ে সে কাজ কোন অংশেই কম ঝক্কির নয়। সংগৃহীত নেক্টারে পানির পরিমান থাকে কম-বেশী ৬০% ভাগ। কিন্তু সঞ্চিত মধুতে কোনক্রমেই ২০% ভাগের বেশি পানি থাকা চলবে না, তা যদি থাকে তবে মধু যাবে নষ্ট হয়ে। কিন্তু মৌমাছিদের তো চুলায় ফুটিয়ে পানি কমানোর মত কোন কায়দা জানা নেই। কাজেই তাদের নিজস্ব পন্থাতেই এই ‘ফুটানো’র কাজ সেরে নিতে হয়।
এক মৌসুমে কোন একটা মৌচাকে ১৫০-২৫০ কিলোগ্রাম মধু সঞ্চয় করা হয়। অর্থাৎ সংগৃহীত নেকটার থেকে ১৮০-৩৫০ লিটার পানি নিষ্কাশন করার কাজটি করতে হয় মৌচাকের মৌমাছিদেরকেই। গরম আবহাওয়ায় মৌমাছিদের জন্য এ কাজ খুব বেশী কষ্টের নয়, প্রায় দৈনন্দিন কাজের মতই। কিন্তু শীতল আবহাওয়ায় বেশ কষ্ট করতে হয়, তখন মৌচাকের সকল মৌমাছি গা ঘেষাঘেষি করে অবস্থান করে মোচাকের ও নিজেদের শরীরের তাপ সংরক্ষণ করে থাকে।
সঞ্চিত করে রাখার উপযুক্ত যথেষ্ট পরিমান মধু প্রক্রিয়াজাত করার পরে তা বিশেষভাবে তৈরী প্রকোষ্ঠে জমা করা হয় এবং মোম দিয়ে সে কুঠুরির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মৌমাছিদের প্রয়োজন না হওয়া পর্যন্ত এই প্রকোষ্ঠেই মধু সঞ্চিত থাকে। এই মধু কখনও নষ্ট হয় না, গেঁজিয়ে যায় না, তলানী পড়ে না বা দানাও বাঁধে না।
আমাদের... continue reading
একবার দাঁড়াওনা ভাই,
ঐ ফুল ফোটে বনে যাই মধু আহরণে
দাঁড়াবার সময় তো নাই।
এত যে ব্যাস্ততা তা শুধু অসময়ে জীবন ধারণের চিন্তায়। শীত নামার আগেই পর্যাপ্ত খাদ্য যোগাড় করতেই হবে। ফুলে ফুলে ঘুরে মধুর কাঁচামাল ‘নেকটার’ সংগ্রহ করা বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। আর শুধু সংগ্রহ করলেই তো হয় না, জমা করে রাখার আগে তা আবার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রীতিমত শোধন করে নিতে হয়। আমাদের রান্না করে খাবার প্রস্তুত করার চেয়ে সে কাজ কোন অংশেই কম ঝক্কির নয়। সংগৃহীত নেক্টারে পানির পরিমান থাকে কম-বেশী ৬০% ভাগ। কিন্তু সঞ্চিত মধুতে কোনক্রমেই ২০% ভাগের বেশি পানি থাকা চলবে না, তা যদি থাকে তবে মধু যাবে নষ্ট হয়ে। কিন্তু মৌমাছিদের তো চুলায় ফুটিয়ে পানি কমানোর মত কোন কায়দা জানা নেই। কাজেই তাদের নিজস্ব পন্থাতেই এই ‘ফুটানো’র কাজ সেরে নিতে হয়।
এক মৌসুমে কোন একটা মৌচাকে ১৫০-২৫০ কিলোগ্রাম মধু সঞ্চয় করা হয়। অর্থাৎ সংগৃহীত নেকটার থেকে ১৮০-৩৫০ লিটার পানি নিষ্কাশন করার কাজটি করতে হয় মৌচাকের মৌমাছিদেরকেই। গরম আবহাওয়ায় মৌমাছিদের জন্য এ কাজ খুব বেশী কষ্টের নয়, প্রায় দৈনন্দিন কাজের মতই। কিন্তু শীতল আবহাওয়ায় বেশ কষ্ট করতে হয়, তখন মৌচাকের সকল মৌমাছি গা ঘেষাঘেষি করে অবস্থান করে মোচাকের ও নিজেদের শরীরের তাপ সংরক্ষণ করে থাকে।
সঞ্চিত করে রাখার উপযুক্ত যথেষ্ট পরিমান মধু প্রক্রিয়াজাত করার পরে তা বিশেষভাবে তৈরী প্রকোষ্ঠে জমা করা হয় এবং মোম দিয়ে সে কুঠুরির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মৌমাছিদের প্রয়োজন না হওয়া পর্যন্ত এই প্রকোষ্ঠেই মধু সঞ্চিত থাকে। এই মধু কখনও নষ্ট হয় না, গেঁজিয়ে যায় না, তলানী পড়ে না বা দানাও বাঁধে না।
আমাদের... continue reading
Comments (1)
আপনি সিরিজটি নিয়মিত লিখুন ভাইজান।
এতে করে সেই সমযকার একটি চিত্র পাওয়া যাবে। আমরা বুজখতে পারব আপনার মানসিক অবস্থা স্বপ্ন সাধ ভাবনার নানা গতি প্রকৃতি সকল। এই উপলক্ষে ঘুরে আসা যাবে অতীত থেকে।
সকল শুভকামনা।
ভালো থাকবেন।
আমি কথা দিয়েছি পোস্টের মধ্যেই। সুস্থ্য আর বেঁচে থাকলে লেখাটি ধারাবাহিক চলবে অনেক দিন। তোমার এখানে লোগো দিতে পারিনি। জলছবিতে লক্ষ্য করে দেখো। এটার লোগো দিয়েছি ‘পুরনো সেই দিনের কথা’। এই নামে ধারাবাহিক এই সিরিজটি নিয়ে একটি প্রকাশনা করতে চাই। শংকর দা (শংকর সাওজাল) অনেকদিন আমাকে এইধরনের একটি লেখা লিখতে তাগিদ দিয়ে আসছেন। আমি তোমার কাছ থেকে গঠনমূলক মন্তব্য চাই।
শুভ সন্ধ্যা।