Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সীমান্ত প্রধান

১০ বছর আগে লিখেছেন

অনুগল্পঃ এবং আরো একটি ধর্ষণ

চিৎকার চেচামীতে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল । খাটের পাশে রাখা টেবিল ঘড়িটার দিকে চোখ বুলাতেই নিলয়ের চোখ চরক গাছ । 'চোর পড়েছে না কি' । হন্তদন্ত হয়ে বিছানা ছেড়ে জানালার কাঁচ খুলে বাইরে তাকাতেই চোখে পড়ে অনেকগুলো লোকের জটলা । 'কাউকে মনে হয় পেটাচ্ছে, চোর মনে হয়' ভাবতে ভাবতে তিন তলা থেকে নেমে আসে নিলয় ।
নিলয় নিচে নামার আগেই সাইরেন বাজিয়ে পুলিশের গাড়ি এসে হাজির । আরেকটা সিএনজি অটো রিকশাতে কাউকে ধরাধরি করে তুলে দেয়া হচ্ছে । দূর থেকে ঠিক স্পষ্ট বুঝা গেল না । এতক্ষণ যাকে পেটানো হয়েছিল সেই আটাশ বছরের এক যুবকটিকে পুলিশ ভ্যানে তুলে দেয়া হয় ।
পুলিশের ঝামেলা থেকে বরাবরই নিলয় নিজেকে নিরাপদ সরিয়ে রাখে । পুলিশ থাকাতে সে গেটের কাছ থেকেই ঘটনাটি বুঝার চেষ্টা করছিল । পুলিশ চলে যাওয়ায় জট বাঁধা লোকগুলোর কাছে এগিয়ে আসে নিলয় ।
কিছুক্ষণ আগে এখানে একটা মেয়ে গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে । ওই মেয়েটির চিৎকার আর সিৎকার শুনে পাড়ার লোক জড়ো হয় ।
মেয়টাকে কেউ চেনে না । দেখতে ভদ্র ঘরের মেয়ে বলেই লোকে বলাবলি করছিল । আর হায়েনা রূপি যে ছ'জন ধর্ষক ছিল, এদের তিনজনই এ পাড়ার । লোকজন এগিয়ে আসাতে হুড়মুড় করে সব পালিয়ে গেলেও তফিক নামের কুলাঙ্গারটাকে আটকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে তুলে দেয়া হয় । মেয়েটার যৌন দিয়ে তীর তীর করে রক্ত ঝরছিল । মেয়েটাকে সদরের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে পুলিশ প্রহরায় ।
মেয়টার নাম শিলা । প্রেমিকের অনুরোধে কুমিল্লা থেকে এখানে আসে । মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আসাদের সাথে তাঁর প্রেম । আসাদ একবার নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লা গিয়ে শিলার সাথে দেখা করে । এবার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - আসাদুস জামান বাবু

    কত যুগ পার হলো
    কত পাতা ঝরে গেল
    স্মৃতির পাতায় আজো রেখেছি তোমায়
    তুমি আমার হারিয়ে যাওয়া অনন্যা।

     

    খুব ভালো লেগেছে। শুভ কামনা

     

    - ঘাস ফুল

    ভালোবাসা নাকি মিলনে হয় মলিন আর বিরহে হয় গভীর। আপনার লেখায়ও তাই প্রকাশ পেয়েছে। হায়রে ভালোবাসা! 

    - সকাল রয়

    তুমি না থাকলে এলেখাটি লেখা হতোনা। 

    ধন্যবাদ

সীমান্ত প্রধান

১০ বছর আগে লিখেছেন

অনুগল্পঃ অন্ধকারের বন্দিনী

পুতুল খেলার বয়স থেকেই মেয়েরা স্বপ্ন দেখে, স্বামী, সন্তান আর সংসারের । তবে সংসারটা সব মেয়ের ভাগ্যে হয় তো জুটে না । কখন কখন বর পেলে ঘর পাওয়া হয় না । আবার ঘর পেলে বর নেই । কোন কোন মেয়ে ঘর-বর কোনটাই পায় না । মীরাও তাদের দলের ।

মীরার বড্ড ইচ্ছে ছিল একটা ঘর আর বরের । অভাগীর কপালে সে-ও জুটে নি। সৎ মায়ের জ্বালা যন্ত্রণায় ভালোবাসার মানুষের সাথে পালিয়ে ঘর বাঁধতেও চেয়েছিল।

সেদিন ঝরের রাতে অতনুর হাত ধরে ঘর বাঁধার স্বপ্নে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসে মীরা । শহরটা তাঁর অচেনা । কখনো সে শহর দেখে নি । অতনু বলেছিল শহরে তাঁরা দুজনই চাকুরী করবে । মীরা গ্রামের কলেজে ইন্টারমিডেয়ট পাস করেছে । অতনু শহরে কি যেন একটা চাকরী করে। তবে অনেক বড় চাকুরী, তা অতনুর পোশাক আসাক দেখেই বুঝা যায় । তাঁর মধ্যে একটা সাহেবি সাহেবি ভাব আছে ।

অতনুর সাথে একটা পুরাতন শ্যাওলা জমা বাড়িতে মীরা উঠেছিল । বাড়িটা অতনু নাকি ভাড়া নিয়েছে । অনেক ছেলে মেয়েদের আনাগোনা । এখানে আসতেই মীরার গা ছমছম করে উঠে । কি বিশ্রি ছেলে মেয়েগুলোর ভাব সাব । পরিবেশটা ভালো লাগে নি তাঁর । অতনুকে বলেছিল অন্য একটা বাসা দেখার জন্য । অতনু বলেছিল, ক'দিন পর ভালো বাসা দেখে তাঁরা সেখানে উঠবে । মীরার আর ভালো বাসায় উঠা হয় নি । এখানেই তাকে থাকতে হচ্ছে স্থায়ী ভাবে । তবে অতনুর সাথে নয়!

অতনু বাড়িটায় মীরাকে বসিয়ে খাবার আনার জন্য বের হয় । রাত অনেক হলেও ফিরে আসে নি অতনু । তাঁর... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    কেমন এলোমোলো মনে হইলো। ঠিক বুইঝা উঠতে পারিনাই

    • - মোঃ ফাহাদ খন্দকার

      কি বুঝলেন না ভাই???

      সোজা কথায় বলি- একটা মেয়ে ডাইমন্ড রিং পাবার আশায় তার পূর্ববর্তী আশিক কে ত্যাগ করেছে। :) 

       

    - তৌফিক মাসুদ

    সোজা সাপটা কথা। প্রেম প্রেম যুদ্ধ। 

    • - মোঃ ফাহাদ খন্দকার

সীমান্ত প্রধান

১০ বছর আগে লিখেছেন

মামা টেলিকম (পর্ব ১)

'ওই মামা...তুমি কি পাইছো... কি এই সব' !
'কি পাইছি কি ! মানে কি' ?
'ওহ, এখন মানে কি বুঝ না... তুমি কি কচি খোকা... ফিদার খাও... ওই জুলহাস তুই-ই ক তো'
জুলহাস একটু তোতলা । সে কথা বলার সময় মুখ থেকে থু থু বের হয় । জুলহাস মামার মুখের কাছাকাছি তাঁর মুখ এগিয়ে নিয়ে বলে, 'দ্যা-খ-ও মা-মা, তো-অ-মা-আ-র লাইগা ক-ই-লাম...'
মামা একেবারে বিরক্ত । চোখমুখে একটা বিরক্তের ছাপ নিয়ে অনেকটা ধমক দিয়েই বলে, 'ওই ব্যাটা তোতলার বাচ্চা তুই থাম কইলাম... ওই রাজন, যা কওনের তুই ক...'

মামা প্রায় চল্লিশ বছরের যুবক । কাচা পাকা চুল দাঁড়ি । এখনো বিয়ে থা কিছু করে নি । আসলে করে নি তা না । মামা কে কোন মেয়ে বিয়ে করতে চায় না । অনেক মেয়েকেই এই পর্যন্ত মামা প্রেম নিবেদন করেছিলেন । কিন্তু কোন মেয়ে-ই শেষ পর্যন্ত মামাকে পাত্তা দেয় নি । এখন-ও এই বয়সে মামার প্রেম নিবেদন থেমে নেই । মামার একটা ভালো অভ্যাস হল, সে যেই মেয়েকেই দেখবে, সেই মেয়েরই প্রেমে পড়ে যায় । ঘনঘন প্রেমে পড়াটা মামার অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে । তবে মামার মনটা বড্ড সরল । এখনো সে হাঁটুর বয়সী ছেলেদের সাথে চলেন । পাড়ার মধ্যে বিশ থেকে পঁচিশ বছরের ছেলেরাই মামার সার্কেল ।

রাজন, জুলহাস, তপন, ওলা মাসুদ, জুয়েল আর মতিন মামার নিয়মিত সার্কেল । ওদের সাথে মামার কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি সহ নানা ঘটনা নিত্যদিনের । তিন রাস্তার মোড়ে মামার একটি ফ্লেক্সি লোডের দোকান আছে । এটা মামা সখ করেই দিয়েছে । কথোপকথন টেলিকম নাম দিয়েছিল মামা । কিন্তু রাজনরা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    আলোকিত দিন যেহেতু করেছি অর্জন

    নিশ্চিত জেনো-

    কাল থেকে আগামীর প্রতিটি দিন ও রাত্রি-ই হবে

    সমান উজ্জ্বল ও সমান উপভোগ্য ...

    -------------------দারুন মিষ্টি একটা কবিতা এভাবেইতো সামনের দিনে চলতে হবে আমাদেরকে উজ্জ্বল দিনে !

    • - মাসুম বাদল

      এসো বন্ধু,

      এই আশা বাঁধি বুক

      আর

      চলি পথ একসাথে...

    - ওয়াহিদ মামুন

    আলোকিত দিন যেহেতু করেছি অর্জন

    নিশ্চিত জেনো-

    কাল থেকে আগামীর প্রতিটি দিন ও রাত্রি-ই হবে

    সমান উজ্জ্বল ও সমান উপভোগ্য ... 

     

    চমৎকার।

    • - মাসুম বাদল

      সালাম ও শুভেচ্ছা...

    - রোদের ছায়া

    কাল থেকে আগামীর প্রতিটি দিন ও রাত্রি-ই হবে

    সমান উজ্জ্বল ও সমান উপভোগ্য ...

    এরকমটা ভাবতে পারলে কিন্তু খুব ভালো হয় । আপনি ভেবেছেন , এই ভাবনা আমাদের মাঝে ছড়িয়ে পরুক ।

    • - মাসুম বাদল

      এই ভাবনা ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি প্রাণে ...

    Load more comments...

সীমান্ত প্রধান

১০ বছর আগে লিখেছেন

ছোট গল্পঃ সময়

‘এই, এখানে তো বিশ টাকা ভাড়া, তুমি পচিশ টাকা চাও কি করে!’
রিক্সাওয়ালা কিছুতেই মানবে না। তাকে পচিশ টাকা দিতেই হবে। তাঁর একটাই কথা ‘উঠার আগে কেন ভার বলে উঠলাম না।’ কি আর করা বাধ্য হয়ে পচিশ টাকাই রিক্সাওয়ালাকে দিতে হল। এমনটা আগে কখনো ঘটেনি। এবারই হাসান ভুল করে ভাড়া না চুকিয়ে দৌড়ে এসে রিক্সা চেপে বসে। অবশ্য ওর একটু তাড়া ছিলো। আজ একটা চাকরীর জন্য সিভি ড্রপ করতে হবে। আজই সিভি ড্রপ করার শেষ দিন। তাই বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করেই বের হয়েছে। দুই বছর ধরে কেবল এই অফিস, ওই অফিসে সিভি ড্রপ করেই চলেছে সে। চাকরি হবে তো দূরের কথা। এই পর্যন্ত একটা অফিস থেকেও তাকে ডেকে পাঠায়নি। আসলে অফিসগুলোতে লোক নিয়োগ আগেভাগেই হয়ে যায়। কেবল ফর্মালিটি রক্ষা করতে পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেয় এরা। সব হলো ভাওতাবাজি।
‘ইস, এবার এই চাকরিটা না পাওয়া গেলে অনিতাকেও আর পাওয়া যাবে না।’ মনে মনে একবার এমন কথা ভেবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাসান। হাসান ডিগ্রি পাশ করেছে আজ চার বছর। লবিং না থাকাতে এই পর্যন্ত কোন চাকরি জোগার করতে পারেনি। সিভি ড্রপ করার পর শুধু বলে ‘ঠিক আছে আমরা ডেকে পাঠাব’। এর পর আর ডাক আসে না। অনিতা-ও হাসানের চাকরি না পাওয়া নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। কিন্ত কি আর করার। ওদের শেষ পরিণতি কি হবে তা ওরা নিজেরাই জানে না।
ঢাকার শহরে হাসানের চেনা জানা কেউ নেই। এখানে থেকেই ডিগ্রি পাশ করেছে। গ্রামের বাড়ি মনিকগঞ্জ। দরিদ্র পরিবারেই তার জন্ম। বাবা একজন কৃষক। দু’ভাই বোনের মধ্যে হাসানই বড়। নিজের অদম্য ইচ্ছে ছিলো উচ্চ শিক্ষিত হয়ে বড় চাকরি করবে। বাবাও তাঁর ইচ্ছেতে বাধ সাধে নি। এসএসসির পর নিজেই... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান


    পারোনা কি আমায় ভালবাসতে ।
    তোমার সুখে একটুখানি হাসতে ।
    চোখে ভাসে...ভাবনায় মনে জাগে
    দেখিনি এ পথে কখনো আগে ।
    দেখেছি পারিনি তোমায় ভুলিতে
    এ মনে আঁকা ছবি যেন রং তুলিতে ।

    .................খুব ভালো হয়েছে।

    • - কে,এইচ, মাহা বুব

      মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ।

    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    fvj jvMj| ï‡fPQv iBj|

সীমান্ত প্রধান

১০ বছর আগে লিখেছেন

কবিতাঃ অচেনা তুই

নখ উপড়ে গিয়েছিল
অঝরে কেঁদেছিলি
আজ কলিজা উপড়ে দিয়ে
উচ্ছ্বাসের হাসি !
তুই বদলে গিয়েছিস
বাড়ি ফেরার রাস্তাটার মত
অচেনা তুই
বদলে যাওয়া শহরটার মত !
শহরটা, বাড়ির রাস্তাটা
বদলেছে কুড়ি বছরে;
তুই কুড়িদিনে ।
ভালোবাসলে জ্বলতে হয়
পুড়তে হয় এমন করে ?
আচ্ছা;
তুই কি পুড়িস
আমার শূন্যতায় ?
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    ধন্যবাদ চারুমান্নান ভাই।

Load more writings...