সূর্যটা আজ বত্রিশপাটি দাঁত বের করে হাসছে। সে বছরের প্রতিদিনই হাসে; মেঘলা দিনেও হাসে। তবে কখনো সে হাসি কিছুটা ম্লান থাকে, কখনো স্মিত, কখনোবা মেঘের চাদর ভেদ করে তার হাসি ধরণিতে আসতেই পারে না; যা আসে তা হাসির আভা মাত্র। গ্রীষ্মকালে আজকের মতো হাসি দেয় সূর্য। শরতের মধ্যাহ্নের রোদ মাথার ঘিলু সিদ্ধ করে দিতে চাইছে। বাদল প্রায় ঘন্টাখানেক হলো নিউমার্কেটে ঘুরঘুর করছে। তার হাঁটাচলা, দৃষ্টি খেয়াল করলে যে কেউ ভেবে নিতে পারে- আজই প্রথম এখানে এসেছে সে। এক যুগের অধিক সময় ঢাকায় বসবাস করে আজ প্রথম কেউ নিউমার্কেটে এসেছে- জানলে যে কারোর চোখ কপালে উঠে যাবে। এ কথায় বাদলের নিজেরও চোখ কপালে উঠবে। এই নিউমার্কেটে সে কতশতবার এসেছে, হিসাব নেই। এখানের এক ফাস্টফুড শপের ম্যানেজার ওর গ্রামেরই এক ছোটভাই। ছেলেটার নাম খোকন। খোকন জানে, সম্ভব-অসম্ভব যেকোনো কিছু প্রত্যাখ্যান করা বাদলের কাছে অতি মামুলি ব্যাপার; কিন্তু লাচ্ছি প্রত্যাখ্যান একেবারেই অসম্ভব। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা যেকোনো ঋতুতে, সুস্থ-অসুস্থ যেকোনো অবস্থাতেই বাদলের সামনে লাচ্ছি হাজির করা হোক না কেন, সে তা গ্রহণ করবেই। নিউমার্কেটে এর আগেও একদিন আজকের মতো অবস্থা হয়েছিল। সেদিন পায়েল কিনতে এসেছিল সে। প্রথম কিছু করতে গেলেই কেমন যেন একটা বিপদ খাড়া হয়ে যায়! মনে হয়, প্রশান্ত মহাসাগরের ঠিক মাঝ বরাবর ফেলে দেওয়া হয়েছে। এবার সাঁতরে পার হও। অনেক খোঁজাখুজি শেষে পায়েল পাওয়া গিয়েছিল। এতটাই ভালো লেগেছিল, একসাথে একইরকম দুটো কিনে ফেলেছিল বাদল। কিন্তু কেনা পর্যন্তই শেষ। যার জন্য কেনা, সে কখনোই বাদলের মতো ছাপোষা মানুষের পক্ষ থেকে কোনো উপহার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হওয়ার অপেক্ষায় ছিল না। থাকবেও না কোনোদিন। মানুষ মাত্রই আকাশের দিকেই দৃষ্টি পাতে। মর্তের পৃথিবীতে মধ্যাকর্ষণজনিত কারণে পদযুগল আটকে...
continue reading
Comments (6)
সক্রিয় হোক রাষ্ট্র। সক্রিয় হোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সক্রিয় হোক গণমাধ্যমগুলো। আর বরাবরের মত সক্রিয় থাকুক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত প্রতিটি সচেতন নাগরিক।
নক্ষত্র ব্লগে প্রিয় আইরিনকে দেখে ভালো লাগছে অনেক।
শুভেচ্ছা স্বাগতম।
আশা করছি কুশলেই আছ। শুভকামনা জেনো -
dhonnobad.
amader sobar socchar hote hobe.
এটা খুবই দুঃখজনক যে আজ এতদিনেও কোন মানবতা বিরোধীর উল্লেখ করার মত কোন সাজা দেওয়া গেলনা। এ লজ্জা পুরো জাতির।