Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মাটির ময়না

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমি তোমাকে ছুতে পারি অহর্নিশ…..

আজ যে কবিতাটি লিখবো সেটা একান্তই তোমার জন্য,
এই কবিতার বর্ণমালার আদ্যোপান্তে তুমিই জুড়ে থাকবে।
প্রতি দিনকার মতো আজো সকাল বেলায় শুধু মাত্র সাতটা মিনিট
কিন্তু আশ্চর্য, সারাটা রাত্রি জুড়ে তুমিই তো ছিলে পাশে।
আধো মুখে তোমার নরম ঠোঁটে আমারি ঠোঁট জড়িয়ে ছিলো
তোমার মুখের উপর পরে থাকা এলোমেলো চুলগুলো আর
গরম স্ফুলিংগের মতো তোমার নিঃশ্বাস
যেন  ছাইভস্ম করে দেবে আমাকে একেকটা কবিতা হয়ে।
আমার ওষ্ঠ জোড়া তোমার আপাদমস্তক ভেজাবে ঝরনা হয়ে।
তোমার শাড়ি, অন্তর্বাস ভেদ করে বুকের বলয় আর মসৃণতায়
আমার ওষ্ঠ ছুতেই যেন কেপেঁ উঠবে হিমালয়
সুর তুলে বেজে উঠবে শংখের মতো।
তুমি ভয় পাবেনা, তীব্র আকাঙ্ক্ষায় ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরবে আমাকে।
তারপর তোমার নাভিমুলে যেন নায়াগ্রার জলপ্রপাত
তবুও আমার মৃত্যু ভয় নেই, আজ আমি মৃত্যুঞ্জয়।
জাদুদন্ড পেরিয়ে তোমার শিশিরসিক্ত ঘাসের মতো উরুতে আমার
ওষ্ঠের ছোয়া লাগতেই যেন কেপেঁ উঠে চীনের প্রাচীর। পলকেই জয় হয় কবিতার,
তোমার দেহের পুরাকীর্তি, গোপন রহস্য, কারুকার্য সব জয় করে নেয় ভালোবাসা।
 
তুমি ভয় পেয়ো না,  আমার এই ওষ্ঠ তোমাকে ভোগে  ভয়ংকর হবেনা।
তারা তোমাকে ভালোবাসবে , শরীরের প্রতিটি খাঁজে, ভাজে, গুহায় এঁকে দেবে কালজয়ী কবিতা।
চুম্বনে চুম্বনে ভরে দেবে তোমার অতৃপ্ত আকাংখা,কিন্তু তুমি টেরই পাবেনা।
তুমি ঘুমিয়ে থাকবে পরম মমতায়,  এই কবিতার প্রতিটি শব্দ  জড়িয়ে যাবে তোমার শরীরের রন্ধ্রে।
 
স্বপ্নের রাত পোহায়, তারপর আবার সেই সাতটা মিনিট
তুমি ভয় পেয়োনা, তোমার থেকে অযুত মাইল দূরে থেকেও আমি তোমাকে ছুতে পারি
অহর্নিশ।
চন্দ্ররাতের জোসনার মতো আমি অবিকল ছুঁয়ে দিতে পারি তোমার সর্বস।
তুমি ভয় পেয়োনা, আমি শুধু তোমাকে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

মাটির ময়না

১০ বছর আগে লিখেছেন

এই রোগটা আমার নতুন বললে ভুল হবেনা...

কখনো যদি মনে হয় বেচেঁ আছি তখন জানালা খুলে কথা বলি  সন্ধাতারার সাথে, অযথা তাকিয়ে দেখি এন্টেনার ফাদেঁ আটকে যাওয়া ঘুড়িটাকে। জানালার ফাকঁ গলিয়ে জোসনার আলো গায়ে পড়লেই যেন বুঝতে পারি আমি বেচেঁ আছি... কারো অপেক্ষায় আছি।
 
এই রোগটা আমার নতুন বললে ভুল হবেনা,
জোসনা বিলাস ভেবেছিলাম সঙ্গী হবেনা
রাত বিরাতে সিগারেটের ধোঁয়া খেলাটা ছেড়ে যাবেনা।
পথের মোড়ে মাতাল বুড়োর খিস্তি,
তোকে আদরে চুমু খাবার স্বস্তি,
সব কিছু তাই ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে যাযাবর হবার
ইচ্ছেটা আর আলো দেখবে না, আলো দেখবে না।
এই রোগটা আমার নতুন বললে ভুল হবেনা। 
 
আগের যে রোগটা ছিলো, বড্ড বেশী প্রিয় ছিল
তোকে নিয়ে সকাল সন্ধ্যা ভাবনা খেলা
নয়টা-পাচটার চাকরী ফেলে কাটিয়ে দিতাম সারাবেলা।
ফোনে ফোনে কথার মেলা... সে কতোদুর
প্রেম জীবনে জল জমে জমে এক সমুদ্দুর।
তোকে নিয়ে বৃষ্টি দিনে হোড ফেলে দিয়ে রিকশা ভ্রমন
হাত ছুঁয়ে দিলেও কষ্টটাকে  সুখ বলে
চালিয়ে দিতাম মন বাজারে যেমন তেমন।
এই যে আমার রোগটা ছিলো, বড্ড বেশী প্রিয় ছিলো।
 
এখন যে রোগ হয়েছে তা নতুন বললে ভুল হবেনা
রাতের বেলায় খুব পিপাসায় পানি চাইলে
কেউ দিবেনা, কেউ দিবেনা।।
অনেক জ্বরে ককিয়ে উঠলে কপাল জুড়ে
ভালোবাসার হাতটা এখন কেউ বুলায় না।
এই রোগটা আমার নতুন বললে ভুল হবেনা
তুই ভালো থাকলে আমার বুকে এক চিলতে
সুখ আসতে ভুল হয়না, ভুল হয়না।
এই রোগটা আমার নতুন বললে ভুল হবেনা।
continue reading
Likes ১৩ Comments
০ Shares

মাটির ময়না

১০ বছর আগে লিখেছেন

গন্তব্য.......

ট্রেন স্টেশন।  রাত ২টা বেজে ৪৩ মিনিট। লাস্ট ট্রেন চলে গেছে সেই কবে। পুরা স্টেশন সুনশান ফাকাঁ। এক মাথা থেকে আরেক মাথায় যতদুর রাতের আধারে চোখ যায় শুধুই জোসনার আলো। মেইন গেইট অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। লাস্ট ট্রেন যাবার দশ মিনিটের মধ্যে সব বন্ধ। শুধু ডান পাশের একটা ফায়ার এক্সিট দরজা খোলা থাকে।  না ছেলেটা সেখান দিয়ে ঢোকেনি। সে এসেছিলো লাস্ট ট্রেনে চড়ে। তারপর এখানেই বসে আছে চুপচাপ ঘন্টা দুয়েক ধরে। কে জানে কোন কারণ আছে কিনা এতো রাতে ট্রেন স্টেশনে একা বসে থাকার। অবশ্য জোসনার প্রতি ছেলেটার নাকি আজন্ম দুর্বলতা। মাঝে মাঝে সে বসে থাকে বাস স্টপেও। বাস আসে বাস যায় তবু উঠে না। কোন কারণ নেই। তবু বাসের আসা আর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। মানে খুজেঁ তার। মানে খোজেঁ জীবনের। ইচ্ছে করলেই উঠে যেতে পারে কোন একটায়। পালটে যেতে পারে গন্তব্য। তবু সে উঠেনা।  মুখোশ পরা মানুষগুলোর গন্তব্য দেখে। মনে মনে হাসে আবার...... তার গন্তব্য কোথায়?? সে জানেনা......??  কে জানে...... ??  মাঝে মাঝে রাগে ক্ষোভে কিংবা অভিলাষে বৃষ্টিতে ভিজে।  মাইলের পর মাইল হাটে রোদ জলা পথে। কাউকে কিছু বলার থাকেনা।  থাকলেও হয়তো শব্দ থাকেনা। শব্দ থাকলেও হয়তো একসাথে জড়ো করার সামর্থ্য থাকেনা।
অবশ্য আজ রাতের কথা একটো ভিন্ন। আজ তার পকেটে দু টোকরা টিস্যু আছে। বাম দিকের পকেটে আছে একটা কুড়িয়ে পাওয়া কলম। আকাশ থেকে নেমে আসা জোসনা কারিগরেরাযেভাবে চুনকাম করেছেধরাতে সফেদ মায়ায় তাতে যে কারো মন গলে যাবারই কথা।  ছেলেটা টিস্যুটা বের করে পকেট থেকে , বা হাতে কলম......
 
ট্রেন চলেছে গন্তব্যের খোজেঁ
আমি জিজ্ঞেস করেছি তাকে, হে বাতাস
সে কি তোমার স্পর্শ বোঝে? 
 
... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (8)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    যে শিশুটি শুরুতে অবহেলিতো হলো সে কিভাবে অন্যকে সন্মান দিতে শিখবে। আমরা অন্যের জীবন নষ্ট করে দিয়ে ভাল কিছু চাইতে পারিনা।

    তার পক্ষে মাতৃ বন্দনা তো নয়ই নিজেকে নিয়ে বন্দনা করছে এটাও আশা করতে পারিনা।

    - মিশু মিলন

    এটুকু তো আশা করতে পারি আমাদের শিক্ষিত মানুষেরা ওদের মানসিকতা ধারণ করবে না, পারলে ওদের পরিচর্যা করবে! জ্ঞানচর্চায় এই মানসিকতার প্রসার ঘটলে তো বিপদ! দুঃখজনক হলো এই সংখ্যাটা বাড়ছে ভয়াবহভাবে। 

    ধন্যবাদ। পাশা।

    - নীল সাধু

    বাহ!

    এত অল্প কথায় কি তীক্ষ্ণতা!! আমি মুগ্ধ!

     

    শুভেচ্ছা নিরন্তর। 

    • - মিশু মিলন

      ধন্যবাদ নীলদা। 

      আপনার অনুপ্রেরণা সব সময়ই আমার কাছে বিশেষ কিছু।

      ভাল থাকুন। 

    Load more comments...