Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

এস কে দোয়েল

১০ বছর আগে লিখেছেন

চিঠিপত্র-১ : স্বপ্ন ভাঙনের নদীর চর

 


 
নীল....
 
স্বপ্ন বিভ্রমের পর চরম হতাশায় ভুগছি আজ। দীর্ঘ চার মাসের সংসার জীবনের ইতিবৃত্ত ঘটালে গত ৮জানুয়ারী। আমার আশার বাগানে ফুটন্ত ফুলগুলো অকালে ঝরে পড়লো তোর কান্ডজ্ঞানে। তুইও চলে গেলি,ফুলগুলো ঝরে পড়লো সে রাতেই। যে বাগানে ফুটেছিল নানান রঙের সুবাস ঝরা ফুল। ঘ্রাণে ঘ্রাণে ভরে উঠতো পুরো বাড়ির আঙিনা। তুই যে ছিলি আমার বাগানের সবচে প্রিয় মানবী ফুল। তোর বিচরণে ফুলেরা সরব হয়ে উঠতো। রঙিন প্রজাপতিরা ডানা মেলে আনন্দে এদিক-সেদিক উড়াউড়ি করতো। মুহুমুহু করতো মধু-পোকারা। সন্ধ্যার আঁধারে জোনাকিদের মেলা বসতো। ঝলমলের সে রঙিন আলোয় স্বপ্নের নীড় রুপে সজ্জিত হত আমাদের বসতঘর। এখন আর এই বাড়ির কোন প্রাণবন্ততা নেই। মৃত্যুপুরীর মতো দাঁড়িয়ে আছে আজ আমাদের প্রাণবন্তহীন নির্জন বাড়িটা।
 
 
 
পুরো বাড়ি জুড়ে এখন নিরানন্দের বিলাপ। গৃহ আঙিনা জুড়ে ধরা পরে শুধু শুকনো পাতার হলুদ-রাঙা রঙ। তুইহীন শুন্যতা, শুকনো পাতার হাহাকার কান্নায় আমিও মর্মাহত হই। ভুলতে পারি না তোকে এক মুহুর্ত। চোখ বন্ধ করলেই তোকে দেখি। খেতে বসলে তোর ছবি ভেসে উঠে। মনে হয় তুই আমাকে খাওয়াচ্ছিস। থালায় ভরে দিচ্ছিস তোর নিজ হাতের পছন্দকৃত রান্নার সব সুস্বাদু খাবার। তোকেও কাছে টেনে খেতে বলি,নীল তুইও বোস না; কত দিন ধরে যেন তুই-আমি পাশাপাশিএকত্রে বসে খাই না। খাবার নিয়ে রসিকতা করিনা;তোর থালার মাছটা আমি ছিনিয়ে নিতে পারিনা। বোস বোস...আবার স্বপ্ন বিভ্রম। রাতের খাবার একাই খাচ্ছি। খাবার মুখে নিচ্ছি কিন্তু ঢোক গিলতে পারছি না। বুকটা প্রচন্ড ব্যথা হয় তোকে ছাড়া। মনটাও নিস্প্রাণ হয়ে যাচ্ছে ইদানিং। জানিনা এই নিস্প্রাণতার ভবিষ্যত পরিণতি কি?
 
 
 
মনের মঞ্জিলের প্রতিটি জায়গায় তোর বিচরন।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    besh laglo

    • - এবং হিমু

      অসংখ্য ধন্যবাদ :)

এস কে দোয়েল

১০ বছর আগে লিখেছেন

বাকহীন সমবেদনা

 
[উৎসর্গ : প্রিয় বন্ধু জেড,এইচ সৈকত কে]
এই ঘটনার সমবেদনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই
 একই সাথে মায়ের মৃত্যু অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটোছুটি
 এ যে আর্তনাতে কষ্টের দরিয়াসম পাহাড়
যা বহন করার ক্ষমতা হয়তো আমারও নেই
তবু নিয়তি বলে কথা
 যা ডিঙাতে পারে না মানুষ শত চেষ্টা করেও।
সৃষ্টিকর্তার হাতে জন্ম-মৃত্যুর খেলায় ঘটে যাচ্ছে
এসব পৃথক-বিচ্ছেদের মত যন্ত্রণাতুর বিষয়
তবু মানুষ হিসেবে সহবার শক্তি
ওই পরম সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে দিয়েছে।
২৭.০৩.২০১৪, বৃহস্পতিবার।
<strong>[গত ২৬মার্চ/১৪ আমাদের প্রিয় মুখ, প্রিয় বন্ধু জেড এইচ সৈকতের পরিবারে যে মহা দূর্ঘটনা ঘটে গেছে, সে ঘটনায়  গভীর মর্মাহত আমিও একজন, আমি মায়ের আত্মার-মাগফেরাত কামনা করছি, বাবার পূর্ণ সুস্থ্যতা কামনা করছি। আর বন্ধু সৈকতের মনে মহান আল্লাহ অসীম ধৈর্য্য ধারণ করার তওফিক দিন] </strong>
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    কবিরা সবি পারে

    অসাধারণ লাগল কবিতা অভিনন্দন

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    - চারু মান্নান

    মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা,,,,,,,

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    - জোকার ৫৩

    কবি তো পুরুষ তাই সবি পারেন !

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

এস কে দোয়েল

১০ বছর আগে লিখেছেন

এই ঘটনার সমবেদনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই একই সাথে মায়ের মৃত্যু অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটোছুটি এ যে আর্তনাতে কষ্টের দরিয়াসম পাহাড় যা বহন করার ক্ষমতা হয়তো আমারও নেই তবু নিয়তি বলে কথা যা ডিঙাতে পারে না মানুষ শত চেষ্টা করেও। সৃষ্টিকর্তার হাতে জন্ম-মৃত্যুর খেলায় ঘটে যাচ্ছে এসব পৃথক-বিচ্ছেদের মত যন্ত্রণাতুর বিষয় তবু মানুষ হিসেবে সহবার শক্তি ওই পরম সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে দিয়েছে। [গত ২৬মার্চ/১৪ আমাদের প্রিয় মুখ, প্রিয় বন্ধু জেড এইচ সৈকতের পরিবারে যে মহা দূর্ঘটনা ঘটে গেছে, যেভানে গভীর মর্মাহত আমিও একজন]

Likes Comments

এস কে দোয়েল

১০ বছর আগে লিখেছেন

কাব্যগল্প: এই যে একটু শুনুন

 
তখনো ভাঙেনি শিশিরগুলো ভোরের সবুজ ঘাসের পাতা থেকে,
শুভ্রতায় ঝলঝলে ভোরের রক্তিম উদিত সূর্যের কিরনে পরশ ছোঁয়ে নিচ্ছে,
গমের শিষে এই শিশিরের খেলায় দেখেছিলাম এক ত্রিশোর্ধ বয়সী সুবর্ণা নারীকে।
শুভ্র মুখায়বে লাবণ্য সোনালী বর্ণের মুগ্ধকর চেহেরার ভিতর খেলছিল-
সৌন্দর্যের বিলাস;
হাতে ক্যামেরা,হালকা লাল-সাদা ফুটি ফুটি বৃত্তের হাতাওয়ালা গেঞ্জিটা পরায়,
উদ্দাম বুক,মাথায় সুন্দর মানানসই এক টুপি,
মনে হচ্ছিল বারবার রাত্রির আকাশে থেকে এই দিনের শুরুতেই,
খসে পড়েছে একটি অদ্ভুত নক্ষত্ররুপী এক মায়াবি নারী,
এই দিবালোকে হেলমেট টুপিতে তাকে মানিয়েছে এতটা মাধুর্য্যবতী,
যে রুপের বর্ণনা করতে ভাষাহীনতায় কিছুটা সময়ের জন্য হয়ে যাচ্ছি বাকরুদ্ধ!
ফাল্গুনের উতলা বসন্তের প্রারম্ভ দিনের মিষ্টি সকাল,
বাড়ীর উঠোনের গাছগুলোতে দেখেছিলাম কিছু ফুটন্ত রক্তিম শিশির ঝরা গোলাপ,
ইচ্ছে ছিল দু’তিনটি গোলাপ ছিঁড়ে বের হই ভোরে ভোরেই,
এখন প্রতিটি ভোর হলেই হিমালিয়াকে জানাতে হয় মুঠোফোনে শুভ সকাল,
এরপর একগুচ্ছ লাল গোলাপের শুভেচ্ছার সাথে আমার সজীব ভালবাসা নাও,
তারপর…..?
থাক বলব না;আমি এখন স্যুটিং স্পটে,দাড়িয়ে আছি এশিয়া হাইওয়ে রোডে,
রোডের পাশে বিস্তৃত ক্ষেতে দেখতে পাচ্ছি গমের শিষে ঝলক ঝলক শিশির বিন্দু,
আস্তে আস্তে জড়ো হতে শুরু করেছে নানা বয়েসী মানুষের ঢল,
চলচ্চিত্র স্যূটিং,
চলচ্চিত্র স্যূটিং! হিমালিয়া রাতেই অবাক প্রশ্নে উচ্ছাস ঝেরে বলে ছিল,
হ্যা তেঁতুলিয়ায় চলচ্চিত্র স্যূীটং!
সে স্যূটিংয়ে আমিও একজন বাস যাত্রী হিসেবে শট দিতে যাচ্ছি,
এমনি একটা দৃশ্য দেখার জন্য শ্রাবণের বিরামহীন বৃষ্টির মত,
জড়ো হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই তেতুলিয়ার আপামর মানুষ।
কিসের স্যুটিং ভাই,নাটকের? কেউ একজন প্রশ্ন করে উঠে,
কোন নায়ক-নায়িকা এসেছে বলতে পারেন ভাই,বলে উঠে আরেকজন!
ওহ্ ফাটাফাটি... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - মাসুম বাদল

    আমি পুরাদস্তর একজন স্বাধীন মানুষ।

    একবার মরতে মরতে বেচে গেছি বলে নয়,

    প্রয়োজনে বারবার মৃত্যুর মুখে ঝাপ দিতে পারি বলেই। 

     

     

    খুব খুব ভাললাগা জানালাম ... 

    • - হরি দাস পাল

      ধন্যবাদ বাদল ভাই। কবিতাটি পড়ে আপনার ভাল লেগেছে ভেবেই ভাল লাগছে........

    - সেলিনা ইসলাম

    এমন বোধ ছড়িয়ে যাক মাটির প্রতিটি কণায়...! চমৎকার কবিতা   

    • - হরি দাস পাল

      অনেক ধন্যবাদ.... আপনি ভাল থাকবেন, শুভকামনা.....

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    ভালো লাগলো।

    • - হরি দাস পাল

      কবিতাটি পড়েছেন সেটাই আসল পাওয়া। অনেক ধন্যবাদ, শুভকামনা........

এস কে দোয়েল

১০ বছর আগে লিখেছেন

পিছন ফেরা দৃষ্টি

 


 
যে পৃথিবীতে তুমি জন্মেছ সে পৃথিবীতে তো আমিও
ভালবাসার কথা তোমার খাতায় লিখেছিলাম বলে,
একদিন তুমি যাচ্ছে তাই বকাবকিতে পৃথিবীতে কাঁপিয়ে তুলেছিলে,
সেদিন আমি কিছুই বলিনি,শুধু দেখেছিলাম তোমার ভাবমূর্তি।

আজ অনেক দিন পর দেখা হলো তোমার রুপ ঝরা মুখটি
তখন সময়টি ছিল একটি অনুষ্ঠানের পড়ন্ত বিকেল,
আমি ছিলাম সেই তোমার চোখে পড়া অনাকাংখিতি প্রধান অতিথি,
জানলে হয়তো তুমি কোন দিনই আসতে না।

আসনে বসেই চোখ জুড়িয়ে দেখতে ছিলাম তোমার সেই মুখটি
যেদিন ভোরে তোমার হাতে তুলে দিয়েছিলাম একটি লাল গোলাপ
ভালবাসার কথাটিই তোমাকে জানাতে চেয়েছিলাম,কিন্তু বুঝলে উল্টো
ইভটিজিংয়ের দায়ে আমাকে পাড়ার মুরুব্বীদের অপমান করতে ছাড়ো নি।

কিন্তু আজ যখন তোমার চোখে ছলছল জল দেখলাম,মনটা কেদে উঠলো
কেউ দেখলো না,বুকের ভিতর আরেক দুটো চোখ কেঁদে যাচ্ছিল
ভালবাসা মরে না,অবিনাশ ভালবাসাই তোমাকে উজার করে দিয়েছিলাম
আজে ফেরার সময় কেন বারবার চোখে ফিরিয়ে দেখছিলে বলতে পার?
 
continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...