শরীরে ঢেউ তুলে, বেনি ঝাঁকিয়ে, গ্রাম মাতিয়ে বেড়ানো মেয়েটির নাম মমতা। বিয়ের পিড়িতে বসার সময় তার বয়স জন্মের হিসেবে ঠিক না থাকলেও শরীরের হিসেবে ১৩-এর বেশী নয়। এত অল্প বয়সে বিয়ের জন্য তার বাবা-মা যেমন দায়ী, দায়ী তার শরীটাও যাকে অনেকে ফুটন্ত গোলাপ বলে আখ্যায়িত করত। নগন্য জমির মালিক- চাষী হোসেন আলী, ঘটকের বাহারী কথায়, রাস্তার ধারে ছেলের মনিহারী দোকানের দিকে তাকিয়ে নগদানের বিনিময়ে মেয়েকে নাসিরের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছিল। ভেবেছিল মেয়ে তার সুখী হবে।
বিয়ের পর ভালই যাচ্ছিল। নগদ পরিশোধে বিলম্ব। হঠাৎ ব্যবসায় মন্দা। নাসিরের পরিবারের অধিক নগদের দাবী, সবমিলিয়ে এখন নাসির যেন কেমন হয়েগেছে। এর মধ্যেই একটা নতুন খরব। খবরটা দিয়ে মমতা যতটুকু আশা করেছিল ততটুকুত পেলই না, বরং ঘটল উল্টো ঘটনা। মমতার শাশুরির ভাষায় এ রকম- সংসারে এসেছিলি রূপ- যৌবন নিয়ে, সে দিয়েতো আর ক্ষুধা মিটে না। ক্ষুধা মিটাতে হলে চাই টেহ্যা । বুঝলে পুরামূখী। রূপের আগুনে ছেলেডারে খাইছস, সাথে দোকানডাও, এহন ভাত আইবো কইতনে। এর মধ্যেই আবার আরেকটারে বারাইতাছস, তয় তর বাপেরে ক আর কিছু টেহ্যা দিওনের লাইগা, যাতে দোহানডা চলে। মমতা জানে এবার টাকার জন্য গেলে তার বাপ কি বলবে। হয় চলে আয়, না হয় আমারে মাইরা ফালা, আমি আর টেহ্যা দিতে পারমো না। মমতা নাসিরের মুখের দিকে তাকিয়ে কইল-হ্যায় কি কয়? আমি আর কি কমু- তোমার শইলডার য্যা অবস্থা, সামনে কিছু অসুধ পত্রের ব্যাপার আছে। এর পর আইবো নতুন মুখ, সব মিলাইয়্যা কিছু টেহ্যা অইলে তো ভালাই অয়।
কি বুঝল মমতা হয়তো নিজেও জানেনা। পরের দিন সংসারের সকল মায়া ত্যাগ করে চলে এলো বাপের বাড়ী। টাকার ব্যবস্থা যে হবে না সেটা... continue reading
বিয়ের পর ভালই যাচ্ছিল। নগদ পরিশোধে বিলম্ব। হঠাৎ ব্যবসায় মন্দা। নাসিরের পরিবারের অধিক নগদের দাবী, সবমিলিয়ে এখন নাসির যেন কেমন হয়েগেছে। এর মধ্যেই একটা নতুন খরব। খবরটা দিয়ে মমতা যতটুকু আশা করেছিল ততটুকুত পেলই না, বরং ঘটল উল্টো ঘটনা। মমতার শাশুরির ভাষায় এ রকম- সংসারে এসেছিলি রূপ- যৌবন নিয়ে, সে দিয়েতো আর ক্ষুধা মিটে না। ক্ষুধা মিটাতে হলে চাই টেহ্যা । বুঝলে পুরামূখী। রূপের আগুনে ছেলেডারে খাইছস, সাথে দোকানডাও, এহন ভাত আইবো কইতনে। এর মধ্যেই আবার আরেকটারে বারাইতাছস, তয় তর বাপেরে ক আর কিছু টেহ্যা দিওনের লাইগা, যাতে দোহানডা চলে। মমতা জানে এবার টাকার জন্য গেলে তার বাপ কি বলবে। হয় চলে আয়, না হয় আমারে মাইরা ফালা, আমি আর টেহ্যা দিতে পারমো না। মমতা নাসিরের মুখের দিকে তাকিয়ে কইল-হ্যায় কি কয়? আমি আর কি কমু- তোমার শইলডার য্যা অবস্থা, সামনে কিছু অসুধ পত্রের ব্যাপার আছে। এর পর আইবো নতুন মুখ, সব মিলাইয়্যা কিছু টেহ্যা অইলে তো ভালাই অয়।
কি বুঝল মমতা হয়তো নিজেও জানেনা। পরের দিন সংসারের সকল মায়া ত্যাগ করে চলে এলো বাপের বাড়ী। টাকার ব্যবস্থা যে হবে না সেটা... continue reading
Comments (8)
আপনি কেমন আছেন?
আপনার কি কোন বই বের হয়েছে?
আর কিছু প্রশ্ন করবো না আমি এখন বই মেলায় যাবো মেজদা বসে আছে। ধন্যবাদ
জ্বী ভাইয়া, আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
মৌলিক বই বের হয়নি এখনো। তবে, এবার একুশে বইমেলায় বেশ কয়টি সংকলনে আমার গল্প আর কবিতা এসেছে-আমার ব্লগ প্রোফাইলে বিস্তারিত দিয়ে রেখেছি, বন্ধুদের জানার সুবিধার্থে।
আচ্ছা ঠিক আছে, ভাইয়া। ফিরে আসুন, তখন কথা হবে। ভালো থাকবেন।
ওরিব্বাস!
যুথী তো বেশ গুণী মানুষ। আমি তো প্রথমে বুঝতেই পারিনাই
গুনের সমাদর করার মতো মানুষ আশেপাশে না থাকলে গুণ বোঝা যায় না। আপনারাই হয়তো আমাকে 'গুণি' ভাবেন।
জাকিয়া আমি তোমাকে যতটুকু চিনি জানি তাতে হয়ত বলতে পারব না তুমি কী আর কোন মাপের। তবে একটা কথা হলফ করে বলতে পারি তুমি খুব সরল মনের মানুষ। সে হিসেবে তোমার নামখানি হওয়া উচিৎ ছিল- সরলা! তাই বলি এই সরলতা দিয়েই তুমি যেন সকলের মন জয় করতে পার।
নাম তো সরলা রাখে নাই। নাম রেখেছে ফুলের নামে। হয়তো ফুলের মতই কোমল আমার মন , তাই আল্লাহ আমার অভিভাবকের মধ্যে এই বুদ্ধিই দিয়েছেন।
শ্রদ্ধেয় বড় ভাইজান, আপনাকে আমার সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে পেয়ে খুব আনন্দিত লাগছে।
শরীর ভালো তো? বশীর ভাই তো সিক!!