অব্যর্থ দরিদ্র যারা,
স্বার্থহীন কষ্ট যাদের,
ভিক্ষা নিয়ে অর্থ যাদের-
হাতে আসে,
কষ্ট পাশে-
কেটে যায় আজীবন, আমৃত্যু ।
ঘৃণা, করুণা আর ব্যঙ্গ,
রঙ্গ হয়ে যাদের মিলে ।
পরিশ্রমী, সুখকামী সে সকল মানুষ,
মানুষ শব্দের অর্থ-ই পায়নি নিজের করে,
যাদের কাঁধে ভর করে,
যাদের সার্থক শ্রম-কে ব্যর্থ করে,
সিঁড়ি চড়ে চলে কিছু সুশীলেরা ।
তারা, সমাজের যকৃত, হৃৎপিণ্ড বিশ্বের,
আর অর্থ তাদের ফুসফুস,
কিন্তু তারা জানেনা এ ফুসফুস এ বাতাস ভরছে-
ঐ দরিদ্র কীটগুলো ,
তারা দরিদ্র, হতদরিদ্র, তাদের সমষ্টি জনদরিদ্র।
শোষিত, শাসিত, ব্যথিত, লুণ্ঠিত ।
মানবাধিকার নামক ধর্ষণ,
তাদের ওপর হরহামেশাই নেমে আসে,
কিন্তু সুখের বর্ষণ নেমে আসেনি তাদের পাশে।
দিন থেকে রাত, নুন আর ভাত-
জোটায়, অর্থ অন্বেষণে-এ স্বার্থ-
খোঁজে না তারা,
খোঁজে জীবনের একটু ডাক,
ঘরের অসুস্থ কেউ যাতে না হয় আকাশের সন্ধ্যাতারা,
শিক্ষা দেবার নোংরা ইচ্ছাটুকু তবুও তারা ধারণ করে চলে,
নিজ মনের সাথে কথা বলে,
মনের আদালতে ঐ জালিম কাপুরুষটাকে হাজারবার ফাসি দেয় ।
কিন্তু নিজের ঘেমে যাওয়া মাথাটা নুয়ে পড়ে ওই সেই জালিমের সামনে ।
সবার মাথায় রক্ত চড়ে,
কিন্তু,
তাদের মাথায় চিন্তা থাকে,
তার ঘরে ভাতের হাড়ি চড়বে কিনা ।
তারা নিজেরাও জানে না-তারা আসলে কিছু বড়-মাথা অমানুষের স্বার্থের সিকি ।
যারা খাটে প্রচুর, কিন্তু বাঁচে ধিকিধিকি ।
তারা পশুর ন্যায় অসহায়, মানুষের-ই কাছে ।
অর্থ নামক লজ্জা ঢাকবার পরত তাদের গায়ে নেই,
তাই এরা আমৃত্যু অর্থনগ্ন ।
এরা ছোটলোক হয়েই জন্মে আর মরে আরও ছোটলোক হয়েই ।
কিন্তু কেউ বোঝেনা এরা কত “বড়” একটা “জীবন” কাটিয়ে গেল ।