Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মোস্তফা কামাল সোহাগ

১০ বছর আগে লিখেছেন

E_commerce ট্রিন এর টিকিট কাটার গল্প (E-ticket)

অনেক দিন ধরে কিছু লিখবো মনে মনে ভাবছি। কিন্তু কি দিয়ে শুরু করব জানি না। কারণ লেখাপড়া আমার কাছে সবসময়ই একটা বোরিং কাজ ছিল। আমি কিছু বই পড়েছি, তাও আবার হুমায়ূন আহমদের। তার লেখা ভাল লাগে কারণ তিনি খুব সহজ ও মধু মিশানো বাংলা লিখেন। মধু আমার খুব প্রিয়। আমার এক ফ্রেন্ড এর নাম মধু সূদন ঘোষ। আমরা তাকে মধু চোদন ঘোষ বলতাম। I am really sorry Modhu, if you are reading this. স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিরও (I mean academic study) লেখাপড়া ভাল লাগতো না। স্কুল, কলেজ কি করে পাস করেছি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ graduation and post graduation কি ভাবে পাস করলাম সেটা আমার ও আমার বন্ধুদের কাছে এখনো কোটি টাকার প্রশ্ন। আমার কাছে মনে হয়, আল্লাহ আমার মেধা শক্তি, সৃতি শক্তি ও বোঝের ক্ষমতা দিয়েছে যার জন্য নিয়মিত ক্লাস করে পরীক্ষাই ভাল নাম্বার পেয়েছি। কিন্তু আমি জানি, আমি কতটুকু বই নিয়ে পড়তে বসতাম। 

যায় হোক, আমি সব সময় কিছুটা ডানপিটা ছিলাম। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে খুব ভালবাসতাম। স্টুডেন্ট লাইফ এ, হাত খরচ এর টাকা গুছিয়ে কত জাগায় না গেছি। এখন এর ঘুরতে যাওয়া হয়না। কর্ম বাস্ত জীবন, সংসারের দায়িত্ব আমাকে আর বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার সময় দেয় না। অন্য দিকে সব বন্ধুদের এক সাথে সময় হয়না। মাঝে মাঝে বন্ধুদের বিয়েতে সবার সাথে দেখা হয়। তাই নিজের ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছাকে ধরে রাখতে, প্রতি বছর একদিন ফ্যামিলির সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার হয়। একদিন এর জন্য আমার কাছে সব চেয়ে পছন্দের জাগা হল সিলেট। তাই লাস্ট ৩ বছর ধরে সিলেট যাচ্ছি ঘুরতে। ও বলে রাখা ভাল আমার ঘুরতে যাওয়ার ফ্যামিলি মেম্বার হচ্ছে আমার বউ, ভাইপো, ভাগ্নে। 

অনেক ফাউ প্যাঁচাল মারলাম, এখন কাজের কথাই আসি। প্রতিবার এর মত এবারও আমার প্রবলেম হল ট্রেন এর টিকিট। ঢাকা-সিলেট এর টিকেট আমি হাতে পেয়েছি কিন্তু ফিরার টিকিট নিয়ে যত প্রবলেম। অনেক চেষ্টা করে যখন ফিরার টিকিট পেলাম না রেল-েসটশন থেকে, তখন সবসময়ের মত সুজয় ও রাজিব এর কাছে ফোন দিলাম। তারা আমাকে বলল e-ticket এর কথা, আমার এখন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ট্রেন এর টিকিট কিনতে পারবো। যে কথা সেই কাজ, বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইট এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশান করে টিকিট বুকিং দিতে লাগলাম। আমার journey Date, Class, ট্রেন এর নাম এবং number to ticket দিয়ে ব্যাংক কার্ড নাম্বার দিয়ে transaction শেষ করলাম। কিছুক্ষণ পর আমার মোবাইল এ এসএমএস আসল আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা debited করা হয়েছে কিন্তু কোন টিকিট conformation পেলাম না। তারপরের টেলিফোন conversation ও ঘটনা না গুলা ...... নিয়ে আমার এই লেখা।

সুজয় ও আমিঃ

আমিঃ হ্যালো সুজয়
সুজয়ঃ বল শুনছি।
আমিঃ দোস্ত e-ticket তে টিকিট conform করলাম ব্যাংক চার্জ করল কিন্তু dashboard কোন টিকিট conformed পেলাম না।
সুজয়ঃ কেন এমন হল কিছু বুজলাম না, তুই একটু তোর ব্যাংক ফোন দে এবং রেলওয়েতে ফোন দে। 

আমি যথারীতি ভদ্র ছেলের মত সুজয়ের কথা মত ব্যাংক এ ফোন দিলাম। মোবাইল সার্ভিস Provider, ইন্টারনেট সার্ভিস Provider (ISP) ও ব্যাংক কাস্টমার কেয়ার ফোন দিয়ে, তাদের প্রতিনিধির সাথে connect হওয়ার জন্য একটা short course বাজারে যদি চালু করতে পারতাম তাহলে মনে হয় এটা ভাল চলতো। যাই হোক, অনেক কষ্ট করার পর কাস্টমার কেয়ার এক জনের সাথে কথা হচ্ছে ... আমার রক্ত তখন ৪২০০ কিঃমিঃ বেগে উঠানামা করছে। কারণ একে-তো টাকা কেটেছে তার উপর টিকেট conformed হয় নাই আবার কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে connect হতে পেরেশানি হয়েছে।

ব্যাংকঃ হ্যালো স্যার আমি .........। আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি।

(মেয়েটার voice খুব চেনা মনে হল। মনের ভিতর এক জনের ছবি ভাসে উঠল। মুহুতে আমার রক্ত ৪২০০ কিঃমিঃ থাকে ০ কিঃমিঃ নেমে এসেছে। এবং আমি বরাবরির মত নিজেকে বললাম দেকসস মেয়েদের কেন কাস্টমার কেয়ার বেশি নেয়।)


আমিঃ (উত্তান্ত বিনয়ের সুরে) দেখুন আমি আমার কার্ড দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের e-ticket ম্যাধমে কিছু টিকেট বুকিং দিলাম। আমার অ্যাকাউন্ট থাকে টাকা ঠিক কাটল কিন্তু টিকিট conform হল না। আমি এখন কি করতে পারি। 

ব্যাংকঃ স্যার, আমরা উত্তান্ত দুঃখিত। আপনার টিকিট যদি conform না হয়, তাহলে ৪৮ঘণ্টার মধ্যে আপনার টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট চলে আসবে।
আমিঃ কিন্তু আমার টিকিট কি হবে? আমার তো টিকিট দরকার। 
ব্যাংকঃ স্যার, আমরা উত্তান্ত দুঃখিত। টিকিট conform করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তারা ছাড়া আমরা টিকিট conform করতে পারবো না।
আমিঃ টিকিট conform না হলে, আমি আমার টাকা ফিরত পাব। (কিছুটা ক্যাবলা কান্ত ভাবে শুনলাম)
ব্যাংকঃ জি স্যার। আপনি টাকা ফেরত পাবেন। আপনার কি আর কিছু জানার দরকার আছে স্যার?
আমিঃ (মেয়েটার সাথে এর কিছুক্ষণ কথা বলতে ইচ্ছা করছিল, কিন্তু বিবেক আমাকে বাধা দিল।) না। thank you very much for your consideration.
ব্যাংকঃ thank you sir. Have a nice day.

(মনে মনে বললাম, টিকিট পাই নাই আবার বলস have a nice day)
কিছুক্ষণ নিশ্ছুপ বসে ছিলাম। কেন জানি মেয়েটার সাথে আবার কথা বলতে ইচ্ছে করল। আমি মনে মনে ফিরে গেলাম আমার স্কুল, কলেজ লাইফ এ। বুকের ভিতর ক্যামন জানি করছে। আমার heart beat বারতে শুরু করল। কিছুক্ষণ হাসলাম পাগলের মত, কারণ অনেক বকামি কাজ আমার মনে পরল। সেই বর্ষার ভিতর সাইকেল চালিয়ে রিক্সা পিছনে যাওয়া। খুব ভোরে উঠে রাস্তাই দাড়িয়ে থাকা সুধু একবার দেখের জন্য। কথা বলতে গিয়ে ভয় পাওয়া। ইমপ্রেস করার জন্য কত কিছু করা।

খুব ইচ্ছে করল ব্যাংক এর কাস্টমার কেয়ার মেয়েটাকে আবার ফোন দিয়ে একটা ধন্যবাদ দিতে। তার জন্য আমার সেই পুরনো কাজ কথা গুলা মনে পড়লো।

কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমি আমার বউকে ফোন দিলাম;

বউঃ আসামুয়ালিকুম
আমিঃ ওয়ালিকুমারসালাম। জানু কি করে।
বউঃ আমি স্কুলে ক্লাস নিচ্ছি।
আমিঃ আমাকে কিছু সময় দিতে পারবে।
বউঃ হু বল।
আমিঃ তোমার কি মনে আছে, তোমাকে ইমপ্রেস করার জন্য আমি কত কিছু করছি। কত না পাগলের মত কাজ করেছি। সেই বর্ষার ভিতর সাইকেল চালিয়ে তোমার রিক্সা পিছনে যাওয়া। খুব ভরে উঠে রাস্তাই দাড়িয়ে থাকা সুধু তোমারকে একবার দেখের জন্য।
বউঃ হু। তোমাকেও তো আমি রাস্তাই খুঁজতাম। কত ভাল দিন ছিল না, সেই গুলা জানু।
আমিঃ ভদ্র ছেলের মত হু। জানু একটা কথা বলব, রাগ করবে না তো। বল তুমি রাগ করবা না।
বউঃ না করব না। তুমি বল।
আমিঃ (আমার ইচ্ছে ছিল ব্যাংকের মেয়েটার সাথে কথা বলার পর যে গুলা হয়েছে, সে গুলা শেয়ার করতে। কেন জানি, অজানা ভয়ে এর শেয়ার করতে পারলাম না)। আমি শুধু বললাম, I LOVE YOU. Thank you for give me all the happiness in my life. অনেক ক্ষণ বলি নাই, তাই মনে করলাম রাগ করবে। Take care .. bye..bye.
বউঃ I love you too. Bye bye.

কিছুক্ষণ পর আমি এবার ইন্টারনেট থাকে ফোন নাম্বার জুগার করে, বাংলাদেশ রেলওয়ে ফোন দিলাম।

রেলওয়েঃ একজন মহিলা বেশ ভারি গলাই হ্যালো।
আমিঃ কিছুটা টাস্কি খেয়ে বললাম এটা কি বাংলাদেশ রেলওয়ে? (মনের ভিতর খুব সন্ধেও ছিল আসলে টিক জাগাই ফোন করেছি কি না। কারণ কিছুক্ষণ আগের ঘটনা পর আশা করি নাই, এমন এক মহিলার সাথে কথা হতে পারে।)
রেলওয়েঃ মহিলা বেশ ভারি গলাই জী।
আমিঃ (উত্তান্ত বিনয়ের সুরে) দেখুন আমি আমার কার্ড দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের e-ticket ম্যাধমে কিছু টিকেট বুকিং দিলাম। আমার অ্যাকাউন্ট থাকে টাকা ঠিক কাটল কিন্তু টিকিট conform হল না। আমি এখন কি করতে পারি। 
রেলওয়েঃ মহিলা আরও ভারি গলাই একটু হল করুন।
ফোন রিঙ্গিং পুউ পুউ পুউ পুউ .........
রেলওয়েঃ হ্যালো।
আমিঃ (এবারও উত্তান্ত বিনয়ের সুরে)সুরে) দেখুন আমি আমার কার্ড দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের e-ticket ম্যাধমে কিছু টিকেট বুকিং দিলাম। আমার অ্যাকাউন্ট থাকে টাকা ঠিক কাটল কিন্তু টিকিট conform হল না। আমি এখন কি করতে পারি। 
রেলওয়েঃ আপনি কোণ ব্যাংক এর কার্ড use করেছেন।
আমিঃ ব্যাংক এর নাম বললাম।
রেলওয়েঃ আমাদের এন্ড এ কোন প্রবলেম নাই। আমি ব্যাংক এর সাথে কথা বলতেছি। আপনি কি আপনার কার্ড দিয়ে আগে টিকিট নিছেন।
আমিঃ জী না।
রেলওয়েঃ আপনার কার্ড এ কোন প্রবলেম থাকতে পারে। আপনি অন্য এর একটা কার্ড দিয়ে দাখেন।
আমিঃ আমার টিকিট কি conform হয় নাই?
রেলওয়েঃ যদি dashboard এ না থাকে, তাহলে হয়নি।
আমিঃ থ্যাংক ইয়উ।

লাইন ধপাস। 

আমি আমার অফিস এর colleague তুষার এর কার্ড দিয়ে এবার চেষ্টা করলাম। Result Same.

আমি তুষারকে আশ্বস্ত করলাম। যদি টিকিট না পাই, তাহলে তার অ্যাকাউন্ট এ টাকা চলে আসবে। যদি টিকিট পাই তাহলে আমি তার টাকা টা দিয়ে দিব। তারপর মনে হল এবার বাংকে ফোন দিয়ে দাকি। কারণ আমার আবার সেই মেয়েটার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছিল। যে ভাবনা, সেই কাজ। আমি তুষার এর ফোন থেকে ব্যাংক কে ফোন দিলাম। কিন্তু আবার অন্য জন ফোন ধরল। আমি ফোনটা তুষারকে দিলাম, সে যেন তার verify information দিয়ে complain টা দিয়ে দেই। ব্যাংক এর লোক same answer dilo. স্যার, আমরা উত্তান্ত দুঃখিত। আপনার টিকিট যদি conform না হয়, তাহলে ৪৮ঘণ্টার মধ্যে আপনার টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট চলে আসবে।

NOTE: আমি এর তুষার ২ জনই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টাকা ব্যাক পায়েছি।
THANK YOU VERY MUCH TUSHAR FOR SUPPORT ME ON HERE.

আমি আমার ফ্রেন্ড সুজয়কে সব বললাম এবং request করলাম, সে যেন আমার টিকিট গুলা কেটে দেই। সুজয় দেখল। কোন টিকিট নাই ONLINE। কিন্তু আমি ONLINE টিকিট পাচ্ছি। সুজয় বলল, মনে হয় এই অবস্থাই টিকিট কাটা টিক হবে না।
আমি আবার বাংলাদেশ রেলওয়ে ফোন দিলাম।

রেলওয়েঃ সেই ভারি গলার মহিলা বলল, হ্যালো 
আমিঃ (এবার আরও উত্তান্ত বিনয়ের সুরে) দেখুন আমি আমার কার্ড দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের e-ticket ম্যাধমে কিছু টিকেট বুকিং দিলাম। আমার অ্যাকাউন্ট থাকে টাকা ঠিক কাটল কিন্তু টিকিট conform হল না। আমি এখন কি করতে পারি।
রেলওয়েঃ মহিলা আরও ভারি গলাই একটু হল করুন।
ফোন রিঙ্গিং পুউ পুউ পুউ পুউ .........
রেলওয়েঃ হ্যালো।
আমিঃ তাকে বললাম। আমি আপনার কথা মত অন্য কার্ড দিয়ে টিকিট conform করলাম। কিন্তু ব্যাংক থাকে টাকা কাটল বাট dashboard টিকিট conform পেলাম না। আমি তাকে আরও বললাম, আমার ইউজার আইডি তে টিকিট available আছে কিন্তু আমার ফ্রেন্ড এর ইউজার আইডি তে টিকিট available নাই।
রেলওয়েঃ let me check. (একটু পরে) আমাদের সিলেট station এর সাথে Network চলে গেছে তাই এই প্রবলেম টা হচ্ছে। আপনি পরে আবার try করুন।
আমিঃ (মনের ভিতর চাপা খব নিয়ে।) বললাম thank you.

মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম। আমাদের GOVT. SERVICE এবং PRIVATE SERVICE নিয়ে। 
অবশেষে আমি আমার ফ্রেন্ড সুজয়কে request করলাম। সে যেন তাদের TV Challen এর সিলেট reporter কে request করে আমার টিকিট গুলা যেন বাবস্থা করে দেয়।

Likes Comments
০ Share

Comments (0)

  • - জাহাঙ্গীর আলম

    কঠিন বাস্তব নিদারুণ ধাঁধা ৷ আমরা কি নেরুদার প্রশ্নপুস্তক পড়তে পারিব না ?

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      নেরুদা নিয়ে গবেষণা চলছে। পাবেন পাবেন।

    - চারু মান্নান

    বাহ দারুন কবি,,,,,,চৈত্র শুভেচ্ছা,,,,,,

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      চারু ভাই ধন্যবাদ।