Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ইখতামিন

৯ বছর আগে লিখেছেন

বর্ষার আগমনে (প্রতিযোগিতা)


আজি বরষা-বাদল দিনে
নব সাজে তুমি আসিয়াছ ফিরে
পুব অভিসারে। তব জল সিঞ্চনে
শ্রাবণের নদী উঠিবে ভরিয়া
উচ্ছাস ভরা জলরাশি দু-পাড় ভাসাবে আবার
কলকল জলে নৌকা বাইবে মাঝি,
যাবে অনেক দূরে।
গলা ছেড়ে গাইবে ভাটিয়ালি গান।


তব জল-ধারা
আবার নামিবে। চিরচেনা সেই
দেবদারুটার দেহ জুড়িয়া
সুখের অশ্রু ঝরাইবে ফের গুবাক তরুর পাতা।
ডাহুক পাখিরা ভিজিয়া ভিজিয়া
দূর-বহুদুর যাইবে উড়িয়া।

জানি– ঋতু শেষে, ভাদরী লগনে
সারি সারি কাশফুলের নরম ছোঁয়ায়
তব মায়াবী কোমল-পেলব হাতে
পরশ বুলিয়ে। বিদায় বেলায়-
কেয়া পাতার নৌকোয় বসে
চলে যাবে নববধূ সেজে
পূণঃ দূর-দেশে, সুদূর পশ্চিমায়।

আজি বাদলের দিনে
বর্ষণ-জলে ভিজাতে তুমি।
তবু তুমি পারিবেনা কাঁদিতে চাহিলেও
একটু অশ্রুর ফোটা ফেলিতে। তুষারের দেশে।
বহুদিন পর গ্রীষ্মের আকুলতায়
কুতুহলি হয়ে
হয়তো আবার দিবে দেখা, অনুরাগে।

কদম ফুটিবে ফের
তোমার খোঁপায় গুজে দিতে।
মালঞ্চে শত নব নব ফুল
ফুটিবে আবার
তোমায় পূজো দিবে বলে
তোমায় নিয়াছি বরণ করে।
[উৎসর্গঃ মহান প্রাণ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম] continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (5)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    ভালইতো এনালাইসিস করছেন। শুভকামনা

    • - ওয়াহিদ আব্দুল্লাহ

      ধন্যবাদ ভাই । :) 

ইখতামিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

পরাবাস্তব

 

ব্যালকনির পাশে একটা নারকেল গাছ দাঁড়িয়ে। বাড়ির অন্য গাছগুলোর চাইতে এই গাছটা তুলনামুলক খাঁটো। মৃদু শব্দে নারকেল পাতারা ঝিরঝিরিয়ে দোল খাচ্ছে। চিকন-লম্বা পাতাগুলোর শেষ প্রান্ত বেয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে। কয়েকটা ফোঁটা উড়ে এসে ইভানার চেহারায় জলজ তিলক পরিয়ে দিল। ও বসে ছিল তৃতীয় তলার বেলকনিতে। শ্রাবণের শেষ বৃষ্টি একটু আগেই ঝরিয়ে দিয়ে গেছে প্রকৃতি। আরও একটা বর্ষা পেরিয়ে গেল। একটু পরেই শরতের প্রথম ভোর। সারাটা রাত নির্ঘুম কাটিয়ে ইভানা ঢুলুঢুলু চোখ নিয়ে উঠে গেল স্টাডি রুমের দিকে। আলমিরা থেকে বহুদিনের অব্যবহৃত পুরানো ডায়েরিটা বের করল। টেবিল ল্যাম্পটা জ্বেলে একটা চেয়ার টেনে বসল। মেঝেয় ঘষা লেগে শুকনো কাঠ ক্যাচ্... শব্দ ছড়িয়ে আর্তনাদ করে উঠে। ইভানা এই আওয়াজটার সাথে খুব পরিচিত। ও একেবারেই সহ্য করতে পারেনা। শরীর শিরশির করে তার এই আওয়াজ কানে গেলে। আজও ব্যতিক্রম হলনা। একটা বাজে শব্দ। দাঁতে দাঁত চেপে কটকট শব্দ তুলছে সে। অনেকদিন পর আজ সে একটা চিঠি লিখবে। রাসেলকে। কতো-দিন হলো চিঠি লেখেনা। ডায়েরির সব ক'টা পাতা হলদেটে রূপ ধারণ করেছে। খসখসে পাতাগুলো তার দিকে উৎসুক নয়নে তাকিয়ে আছে তৃষ্ণার্ত হয়ে। তার লেখনির আঁচড়ে যেন একটু খানি মসির পরশ অতৃপ্ত কাগজের পিয়াস মেটায়.. ঢুলুঢুলু চোখে ঘুম নেমে এলো। চিঠি আর লেখা হলো না তার..
ইভানা তার সেই চিঠিটা লেখার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছে। আর কখনও সে চিঠি লিখবেনা বলে স্থির করেছে। কারণ, রাসেল নেই এখন আর। ইভানার জীবন থেকে রাসেল দূরে, বহুদূরে, অনে-ক দূরে চলে গেছে। তাই চিঠি লেখার প্রশ্নই আসেনা। তবুও তার মায়া লাগতো সেই অব্যবহৃত ডায়েরিটার দিকে তাকালে।
একদিন। সে ওটা পূনরায় আলমিরাতেই উঠিয়ে রাখে। কিন্তু তার ঘুম... continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    তারপ্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

     

    - সুখেন্দু বিশ্বাস

    ফাগুনের আগমনী দিনে প্রিয় অভিনেতার বিদায় ক্ষন মনকে বিষণ্ণ করে। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।  

     ফাল্গুনের শুভেচ্ছা রইলো নুরু ভাই  

    - ওয়াহিদ মামুন

    শ্রদ্ধাঞ্জলি 

    পোস্টের ধন্য ধন্যবাদ।

     

    Load more comments...

ইখতামিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

খণ্ডগল্প: রক্তমাখা অশ্রু

 
রুমেলের ঈদের ছুটি এবার একটু তড়িঘড়ি করেই শেষ হয়ে গেল । শুক্রবার রাতেই ঢাকায় পৌঁছুল সে। সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে। টিভিতে খবর দেখছে। তিন দিন যাবৎ রূপাকে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না। স্কাইপ ফেবু কোনটাতেই নেই। তিন দিন পর আজ হঠাৎ রূপাকে পাওয়া গেল ফেবুতে।
-আমি তোকে অনেক অনেক মিস করেছি :'(
-আমি এই ক'দিন আমার মাঝে ছিলাম নারে...
-কই ছিলি
-হাই
-হ্যালো
-কোন সাড়া নেই
-কোন সাড়া নেই
-কোন সাড়া নেই
অতঃপর কোন সাড়া নেই
অপেক্ষা অনেক যন্ত্রণাদায়ক। তবুও রুমেল একটার পর একটা মেসেজ-ইমো-হাই-হ্যালো করেই যাচ্ছে... অপেক্ষার সাথে যেন তার বন্ধুত্ব জড়িয়ে গেছে।

-ওই
-জানিস। বাড়ি থেকে আসার সময় আম্মু আমের আচার বানিয়ে দিসে। আমার খুব মনে চায় তোকে দিতে। তুই কি আমাকে তোর আশেপাশের কোনও এ্যাড্রেস দিতে পারবি...? আমি কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিব। তুই কালেক্ট করে নিতে পারবি।

অনেকক্ষণ পর মিস রূপার সাড়া পাওয়া গেল
-আমের আচার নিয়া চলে আয়
রুমেল অপ্রস্তুত হয়ে যায়। ফেবুতে পরিচয় রূপার সাথে। এইতো প্রায় আট মাস যাবৎ কথা হয় তাদের। ও হয়তো ভাবতেই পারেনি যে মিস রূপার সাথে তার সরাসরি দেখা হতে পারে কখনও। ও ভাবল হয়তো রূপা মজা করেই এমন বলছে
-কোথায় আসব
-বাড্ডা
-বাড্ডা কোথায়
-আমিন মার্কেট
-কিন্তু আমি যে দেখতে তেমন ভালো না। সুন্দর না। অসামাজিক। তোর সামনে আসব কেমনে?
-পিছন ফিরে আয়, সামনে আসিস না। গাধা কোথাকার...
-আমি সত্যি বলছি। তার উপরে আমি তো আনএডুকেটেড
- মাইর
-আসব?
-আয়
-আমি কিন্তু মিথ্যা কথা বলি নাই
-ওকে বুঝলাম

... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (8)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে,শুভ কামনা রইল।

    • - মৃদু ধ্বনি

      ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য

ইখতামিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

ϙϙϙ নির্জন রাতে ϙϙϙ

        

ঘুমটা হঠাৎ করেই ভেঙ্গে গেলো। অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম এমনটা নয়। কিছুক্ষণ আগেই তো বাতি নিভিয়েছিলাম। যাই হোক, আবার ঘুমাতো চেষ্টা করছি। কিন্তু ঘুম তো আর আসছেনা। তন্দ্রার দল চোরপুলিশ খেলছে যেনো। লেপের ভেতর খুব গরম অনুভব করছি। ওটা পায়ের কাছে ফেলে একটা পাতলা কম্বল টেনে নিলাম।

বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর। শ্রবণ শক্তি হঠাৎ এতো সক্রিয় হয়ে উঠলো কেনো? কোথা থেকে যেনো একটা শব্দ আসছে এইদিকে। খুব কাছে নয়, আবার বেশ দূরেও না। কিছু একটা থেঁতলানোর চাপা শব্দ। একটু পর পর। আওয়াজটা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কিন্তু এর মূল উৎস কি! তা শত বার ভেবেও বুঝতে পারলাম না। টপ করে এক ফোঁটা পানি পড়ার শব্দ হলো।

হুম.. ওয়াশ রূমের কল থেকে বালতিতে পড়েছে। কিন্তু আমাকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য এক ফোঁটা পানিই বুঝি যথেষ্ট ছিলো! মাথাটা পুরোপুরিই কম্বলের নিচে লুকিয়ে নিলাম। উহ.. এখনতো আরও বেশি গরম লাগছে। আমার শরীরের উত্তাপ যেনো একটু একটু করে বাড়ছে। ঘামতেও শুরু করেছি। অন্যদিকে ভয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে গেছে আমার। নিজের নিশ্বাসের আওয়াজকেও শুনতে ভয় লাগছে। ভাবতেও অবাক লাগে। অশরীরি কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করে আমি আতংকিত। অথচ জীবনে ভুত-প্রেত বলতে কিছুই দেখার দুর্ভাগ্য অর্জন করতে পারিনি। বরং নিস্তদ্ধ-নির্জন ও নিকষ অন্ধকারের কোনও বিশেষ মুহূর্তে ভীতিকর অনুভূতির সাথে কেবল পরিচিতই হয়েছি। অসংখ্যবার। কী অদ্ভুত!

জনবহুল, কোলাহল মুখরিত এই ঢাকার কোথাও গভীর রাতেও মানুষের সমাগম থাকে। কিন্তু রাতের আবাসিক এলাকাগুলো ঠিকই গ্রাম্য একাকিত্বের মুখোশ পরে ভৌতিক চিত্র ধারণ করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। রড-সিমেন্টের তৈরী কিছু বিশাল বাকসো ছাড়া বাকী সবই গা ছমছম করা পোর্টেইট হয়ে দেখা দেয়। নিচের কংক্রিটের ছাল... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    • - আলভিনা চৌধুরী

       শুভেচ্ছা ! 

    - কামরুন নাহার ইসলাম

    অপরাজিতা

    • - আলভিনা চৌধুরী

      বাহ ! 

      শুভেচ্ছা ! 

    - নীল সাধু

    বাহ বেশ সুন্দর সব ছবি দেখি।
    আপনি সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি ছবিও দেখি বেশ ভালো তোলেন।

    আমি মুগ্ধ ছবি দেখে।
    আশা করি আর সুন্দর সুন্দর ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।

    ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা নিরন্তর কবি সাব 

    • - আলভিনা চৌধুরী

      সাহিত্য চর্চা যে কি হয় সেটা খোদা মালুম !  

      ছবি দেবো নিশ্চয়ই, ভালো হইলে !  

      ধন্যবাদ নীল দা ! 

    • Load more relies...
    Load more comments...

ইখতামিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

অতিপ্রাকৃত গল্প: ৪ঠা জানুয়ারি

ঘটনাটা ঘটেছিল আজ থেকে এক বৎসর পূর্বে। আমার কয়েকজন বাঙ্গালী বন্ধু ঠিক করল– তারা এবারের থার্টি ফাস্ট নাইট সেলিব্রেট করবে ওকলাহোমার "হোটেল রুডলফে"। আমিও তাদের সঙ্গে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। এখানকার আরও কয়েকজন ফ্রেন্ড সিজান, লুসি, এলিজাবেথ, মন্টি ও টমসনও আমাদের সাথে আছে।

আমরা যথা সময়েই রুডলফে পৌঁছেছি। সব আয়োজন ঠিকমতোই করা হয়েছে। অনুষ্ঠান, আপ্যায়ন ও বিনোদনের কোথাও কোনও ঘাটতি রাখা হয়নি। আমরাও অনেক মজা করেছি। অনেক ড্যান্স হয়েছে। একটা কাণ্ড ঘটেছে। মজার কিনা বলতে পারবোনা। টমসন শ্যাম্পেনের বোতলটা এতো জোরে ঝাকাচ্ছিলো যে, একটুর জন্যে লুসির চোখে এ্যালকোহল ঢুকে যায়নি।

এরই মাঝে রাত তিনটা বেজে গেলো। আমরা ফিরে যেতে চাইলাম। কিন্তু মন্টি বাধ সাদলো। ও আরও কিছুক্ষণ থাকতে চাইলো ওখানে। মনে হয় কয়েক পেগ বেশিই গিলে ফেলেছে। এখানকার ছেলেমেয়েরা এতো মদ্যপ হতে পারে তা আগে আমার জানা ছিলোনা। যাই হোক আমরা তাকে কোনও রকমে গাড়িতে নিয়ে এলাম। সিজান ড্রাইভ করছে। সবাইকে যার যার বাসায় পৌঁছে দিতে হবে তাকে। বাসা থেকে না বলে তার বড়ো ভাইয়ের মাইক্রোটা এনেছিল। এতো তাড়াহুড়ার মূলে এটাই কারণ হতে পারে। কিন্তু তাকে নিয়েই আমার ভয়। কখন আবার রাস্তা থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে উঠিয়ে দেয় অথবা নদীর পানিতে ডুবিয়ে দেয় তা সে নিজেই হয়তো বুঝে উঠতে পারবেনা। "উইলিয়াম টাওয়ার" পেরিয়ে আমাদের মাইক্রো হাইওয়েতে চলতে শুরু করেছে। সিজান তাড়াহুড়া সত্বেও ইচ্ছে করেই ধীরে ড্রাইভ করছে। মন্টি ঘুমিয়ে পড়েছে। বাকিরা সবাই জোক করছে। হাসাহাসি করছে। আমি রাতের নদী দেখার লোভ সামলাতে পারছিলাম না বলে বাইরে তাকিয়ে আছি। তুষারের বৃষ্টি নদীর উপরে কী অপরূপ সৌন্দর্য মাখিয়ে দিয়েছে। যেনো থ্রিডি মুভির কোনও চিত্র আমার সামনে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - মাসুম বাদল

    সুন্দর ও তথ্যসহ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ...

    • - সনাতন পাঠক

      ধন্যবাদ জানাই আপনাকেও।

    - মেজদা

    শীতের দিনে জিনস সত্যি আরাম দায়ক। বেশ ভাল লাগলো পোস্টটি। ধন্যবাদ 

    • - সনাতন পাঠক

      ধন্যবাদ।

    - কামাল উদ্দিন

    ভাই আমাদের কোন ছবি দিলেন না ক্যান, শুধুই মেয়েদের ছবি 

    • - সনাতন পাঠক

      ভাই এটাতা মেয়েদের জিন্স নিয়ে পোষ্ট। আপনি পড়ে দেখুন। ছেলেদের জিন্স নিয়ে পোষ্ট দেয়া হলে সেখানে ছেলেদের ছবি দেব। ধন্যবাদ।

    Load more comments...
Load more writings...