আজি বরষা-বাদল দিনে
নব সাজে তুমি আসিয়াছ ফিরে
পুব অভিসারে। তব জল সিঞ্চনে
শ্রাবণের নদী উঠিবে ভরিয়া
উচ্ছাস ভরা জলরাশি দু-পাড় ভাসাবে আবার
কলকল জলে নৌকা বাইবে মাঝি,
যাবে অনেক দূরে।
গলা ছেড়ে গাইবে ভাটিয়ালি গান।
তব জল-ধারা
আবার নামিবে। চিরচেনা সেই
দেবদারুটার দেহ জুড়িয়া
সুখের অশ্রু ঝরাইবে ফের গুবাক তরুর পাতা।
ডাহুক পাখিরা ভিজিয়া ভিজিয়া
দূর-বহুদুর যাইবে উড়িয়া।
জানি– ঋতু শেষে, ভাদরী লগনে
সারি সারি কাশফুলের নরম ছোঁয়ায়
তব মায়াবী কোমল-পেলব হাতে
পরশ বুলিয়ে। বিদায় বেলায়-
কেয়া পাতার নৌকোয় বসে
চলে যাবে নববধূ সেজে
পূণঃ দূর-দেশে, সুদূর পশ্চিমায়।
আজি বাদলের দিনে
বর্ষণ-জলে ভিজাতে তুমি।
তবু তুমি পারিবেনা কাঁদিতে চাহিলেও
একটু অশ্রুর ফোটা ফেলিতে। তুষারের দেশে।
বহুদিন পর গ্রীষ্মের আকুলতায়
কুতুহলি হয়ে
হয়তো আবার দিবে দেখা, অনুরাগে।
কদম ফুটিবে ফের
তোমার খোঁপায় গুজে দিতে।
মালঞ্চে শত নব নব ফুল
ফুটিবে আবার
তোমায় পূজো দিবে বলে
তোমায় নিয়াছি বরণ করে।
[উৎসর্গঃ মহান প্রাণ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম] continue reading
Comments (5)
ভালইতো এনালাইসিস করছেন। শুভকামনা
ধন্যবাদ ভাই । :)