মনে পড়ে শীতের মাঠে এক পলক ঘুড়ি হাতে ছুটে চলা এক বালক আলে পা আঁটকে পড়ে যাওয়ার ক্ষণ তুমি বললে কাঁদবি না একদম; মাগো আমি বড় হয়ে গেছি এখন দেখ তো আজ একদম কাঁদি না। এক টাকার এক ছটাক বকার ঠেঙ গ্রামের মেলা রঙচঙা নাগরদোলা তীর ধনুক কিনব এই এক ধ্যেন তোর কপালে তীর পড়েছিল তাই সেকী বকা; এখন আমি বড় হয়ে গেছি মা তবু যে আজো লক্ষ্যভেদ হয় না। সেদিনের বৈশাখ গ্রামের স্কুলঘর ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে জবজব সেকী তোর রূদ্র মূর্তি নিষ্ঠুর থাকতে হবে নিয়ে ভেজা সব; আমি আর সেই ছোট্টটিই নেই মা তবু মেঘেরা কেন ডাকে আয় না আয় না। চার চারটে ডালভাত মাখিয়ে চারটে গ্রাস কোনটি খাবে তোর সোনা কোনটি খাবে অই ময়না মাগো অমন করে আবার খাইয়ে দে না; আমি যে আর ছোট্টটি নেই মা তবু কি তোর হাতে খেতে মন চায়না? ছোট্ট বেলার গ্রাম পেড়িয়ে কিশোর আমার মাঠ পেরিয়ে তোর আকুলান হাত ছেড়ে কবে আমি হয়ে গেছি ধেড়ে; তবু কেন তোর সংশয় যায় না যেনো আজো মিঠাই খোঁজা ছোট্ট সোনা। আমি হয়ে গেছি অনেক বড় কালো মায়ের মুখটি ভাসে বড় তবু কেন চোখের কোণে একটুখানি জল মাগো মুছিয়ে দেনা তোর আঁচল; দেখ এই আমি আছি বেশ মা করিসনে আর আমার জন্য ভাবনা।
Comments (5)
আজিজ দাদা
আসলে পড়তে পড়তে শরীরের লোমগুলো কেমন জানি করল
শুভ কামনা----
ভাল থাকুন
হ্যা, লোম খাড়া হওয়ার আরও বিস্তর ঘটনা আছে আমার অপ্রকাশিত লেখায় । কি এক সময় এসেছিল আমাদের জীবনে যা আর কখনো আসবেনা এই তল্লাটে ।।
আপনার নিজের অভিজ্ঞতা?
আমি এই লেখার কোন মন্তব্য করতে পারছিনা। দুঃখিত।
ঘরের ভিতর ঢুকে যেন জিজ্ঞাসা "আসতে পারি"?
অবশ্যই নিজের ৭১এর অভিজ্ঞতা । এটি একটি আমা লিখিত অপ্রকাশিত "আমার ৭১" লেখা থেকে নেওয়া।
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ৷ শ্রদ্ধা রইল কালের সাক্ষী লেখক ও তাঁর কলমের প্রতি ৷