যামিনী কালে যুগীরুপ-
যুগপৎ,সন্ধানে দুই সুধা;
একে তুমি, অন্যতে শশী
বয়ন করেছি তোমায় শশীর পূর্বে ।
ক্ষণিকে আসে আবার যায় চলে
মাঝে নেয় মনের সুধিত বন্ধনা-
তারই তরে
দেখিতাম তাহারে নিত্য আসিত কেবলা-বিপরীতে
নিত্যই ফিরিত কেবলা-পথে
গাহিতাম তাহারই স্তুতগান আপন মন হইতে ।
দিয়ে যেত সুধা , করিতাম বন্ধনা-
এইতো শুধু তাহার সাথে আমার সখা ।
তুমি আসিয়াছ বন্ধুর মনোঃকাননে
প্রভঞ্জনে করিলে কানন সমঃ-
আজও তোমারই ছাঁচিতে ছয়লাব মোর-
মনো-কাননের শোভিত মঞ্জিল ।
মতিছন্নে হোক কিংবা মনলোভে হোক
বলিতেছি যাহা , তাহা মোর মনোবাঞ্ছা
এত শোভিত সত্য যাহা না প্রকাশিলে-
মনে চলিবে মন্দা ।
কঞ্জুস এ হৃদয়ে আসিয়াছ,মৃন্ময়ী-
করিয়াছ তাহা চির শারদী,
ছিলে তুমি কাননের কক্ষকুড়ি;
ফুটিয়া হইয়াছ আজ পুষ্পরাণীকথন ভঙ্গিতায় তুমি কবিয়াল,
মন-বায়েন বাদে সুধা তোমার-
তাহার সানিত বায় ;
-------------------
বার দরিয়ার মাঝে তুমি
এক প্রবহমান মন্দাকিনী
সুধা পানিতে চাহিয়াছে বহু-
বারংবার, মিশিয়াছ তুমি
বারেক – এক বারীন্দ্রায় ।
তবুও মহিমায় তোমার
বায়েন অনেক সুধিয়াছে
তোমারি বারিধারা......
--------------
চৈতন্য কালে চাহিয়া দেখি
পড়িয়াছে চন্দ্রাতপ কায়ে
বসিয়া ভাবিতেছি , আর পড়িল-
মনে, চন্দ্রানন তোমার;
চপলতায় চরিলাম কাননে-
চন্দ্রালোক তোমার সুধিতে
---------------
ঘ্রাতিয়া পরে তুলিয়া আঁখি –
চড়নকালে, দেখিলাম চক্রী –
চলিল চক্ষুগোচরে
নয়ন ভেজা বারি নিয়ে
বেদনাময় রিক্ত মনে
ফিরিলাম মঞ্জিলে .........
......................এম. নাজমুল আরিছ
Comments (4)
গত পর্বে ব্যক্তিগত সমস্যায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি! কাল আর সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি! তাই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা আর নক্ষত্রের সাথে জড়িত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের সাথে সামনাসামনি পরিচিতি পর্বের সুযোগটা নিতে ছুটে গিয়েছিলাম বাংলা একাডেমীর বইমেলার প্রান্তরে! মূলতঃ সহব্লগার, কবি, লেখকদের সাথে দেখা হবার আগ্রহই আমাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল সেখানে। কিন্তু, রুদ্র আমিন ভাইকে দেখেও পরিচিত হবার সুযোগটা হয়তো অল্পের জন্য (দুর্ভাগ্যজনকভাবে চিনতে পারিনি বলে) মিস করে ফেললাম , কিন্তু অপর দুই নক্ষত্রের সাথে পরিচিত হতে পেরে অবশ্যই ভালো লাগছে! একজন এ. টি. নূর শেখ লিটা এবং অন্যজন মামুন ভাই। দুজনই ব্যবহারে আন্তরিক ছিলেন। অবশ্য আমার প্রত্যাশায় আরো বেশি ব্লগার, কবি, লেখকদের সাক্ষাত প্রত্যাশিত থাকলেও দুর্ভাগ্যক্রমে তা আর হয়ে ওঠেনি। (১ম অংশ)
(২য় অংশ)
নক্ষত্র ব্লগের প্রলয় ভাইসহ নক্ষত্রের সকল সদস্যের ব্যবহারে যথেষ্ট আন্তরিকতা ছিল। এটা অবশ্যই ভালো লেগেছে। এমন একটি আয়োজনে নক্ষত্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন না করে পারছি না। আশা করি নক্ষত্র এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে সবসময় সাহিত্য চর্চায় উৎসাহ জোগাবে এবং নতুন লেখকদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। শুভ ব্লগিং !
নক্ষত্র ব্লগ কর্তৃক সৃজনশীল ব্লগিং প্রতিযোগিতা-২০১৫ তে অংশ গ্রহণ করে তিনবার বিজয়ী হয়। (১ম, ২য় ও ৪র্থ পর্ব) কিন্তু দু:খের বিষয় দূরে থাকি বলে যে পর্বগুলোতো বিজয়ী হয়েছি সে পর্বের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তাই হয়তো এভাবে পুরস্কার হাতে স্মৃতির পাতায় আমাকে দেখা যাবে না। সকল বিজয়ীকে অভিনন্দন। সবাই নক্ষত্রের সাথে থাকুন ভাল থাকুন। শুভ ব্লগিং।
[বি:দ্র: ৩য় পর্বে আমি পুরস্কার পাইনি কিন্তু ঐ পর্বের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলাম]