বাল্যকাল হইতেই 'দূরদর্শন' নাম্নীয় চৌকোনা একটা বাক্সের প্রতি ছিল সীমাহীন তীব্র কৌতুহল। ইহার ভিতরে মানব-মানবীরা কি সুন্দর করিয়া কথা বলিয়া হাসাহাসি করিত তাহা দেখিতাম আর মুগ্ধ হইয়া যাইতাম। আর ভাবিতাম-"আহা! আমিও যদি ইহার ভিতরে যাইতে পারিতাম কি মজাই না হইত।" আস্তে আস্তে শৈশব পার করিয়া কৈশোরে উপনীত হইলাম। তখন একটু একটু করিয়া বুঝিতে শিখিয়াছি ভদ্রলোকেরা ইহাকে আদর করিয়া 'টেলিভিশন' নামে অভিহিত করিয়া থাকেন।
কৈশোরে আরেকটা জিনিস নিয়া খুব মাতিয়াছিলাম, উহার নাম ক্রিকেট। কি চমৎকার করিয়া একজন ব্যাট নামের একটা কাঠের বস্তু নিয়া মাঠে নামে(পরে জানিয়াছিলাম তাহার নাম ব্যাটসম্যান)। আরেকজন বল নামের একটা গোলাকার বস্তু ব্যাটসম্যানের দিকে ছুঁড়িয়া মারিয়া তাহার পিছনের স্টাম্প নাম্নীয় তিনটা খাড়া দন্ড ভূপাতিত করিবার আপ্রাণ চেষ্টা করে(পরে আরও জানিয়াছিলাম তাহাকে বোলার বলে)। ব্যাটসম্যান বলটাকে ব্যাট সহযোগে ইচ্ছামত ঠ্যাঙায়, আর বাকি দশজন মানব সন্তান দৌড়াদৌড়ি করিয়া বলটাকে কুড়াইয়া বোলারের কাছে ফেরত পাঠায়(তাহারা ফিল্ডার)। এই আজব খেলার মাহাত্ম্যে একেবারে অভিভূত হইয়া গেলাম(আহা! মধু, মধু!)।
যাহা হউক, ক্রিকেট লইয়া মাতিলাম। দিবা নাই, রাত্রি নাই চব্বিশ ঘন্টা শুধুই ক্রিকেট আর ক্রিকেট। ক্রিকেট ছাড়া আর সকল শব্দ আমার কর্ণকুহরে পৌঁছাইতে ব্যর্থ হইয়া মাথা কুটিয়া মরিতে লাগিল। মজনু লাইলীর প্রেমে মজিল'র মত দশা হইয়াছে আমার। অবশ্য কৈশোরে পাড়ার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাদিগের রাজত্বে যাহা খেলিতাম তাহাকে ক্রিকেট খেলা বলা যায় না, উহাকে বলা যায় 'মুটেগিরি'। ভ্রাতাদিগের পিছনে পিছনে ব্যাট, বল, স্টাম্প প্রভৃতি সরঞ্জামাদি বহন করিয়া তাহাদের কষ্ট লাঘব করিয়া মুটের কাজ করিতাম। ইহার বদৌলতে মাঝে মাঝে ফিল্ডিং করিবার সুযোগ পাইতাম, এছাড়া বেশিরভাগ সময় মাঠের ধারে বসিয়া তাহাদের খেলা দেখিয়া আমোদিত হইয়া হাততালি দেওয়া ছাড়া আর কোন কাজ ছিল না। অবশ্য ইহাতেই আমরা কনিষ্ঠরা... continue reading
কৈশোরে আরেকটা জিনিস নিয়া খুব মাতিয়াছিলাম, উহার নাম ক্রিকেট। কি চমৎকার করিয়া একজন ব্যাট নামের একটা কাঠের বস্তু নিয়া মাঠে নামে(পরে জানিয়াছিলাম তাহার নাম ব্যাটসম্যান)। আরেকজন বল নামের একটা গোলাকার বস্তু ব্যাটসম্যানের দিকে ছুঁড়িয়া মারিয়া তাহার পিছনের স্টাম্প নাম্নীয় তিনটা খাড়া দন্ড ভূপাতিত করিবার আপ্রাণ চেষ্টা করে(পরে আরও জানিয়াছিলাম তাহাকে বোলার বলে)। ব্যাটসম্যান বলটাকে ব্যাট সহযোগে ইচ্ছামত ঠ্যাঙায়, আর বাকি দশজন মানব সন্তান দৌড়াদৌড়ি করিয়া বলটাকে কুড়াইয়া বোলারের কাছে ফেরত পাঠায়(তাহারা ফিল্ডার)। এই আজব খেলার মাহাত্ম্যে একেবারে অভিভূত হইয়া গেলাম(আহা! মধু, মধু!)।
যাহা হউক, ক্রিকেট লইয়া মাতিলাম। দিবা নাই, রাত্রি নাই চব্বিশ ঘন্টা শুধুই ক্রিকেট আর ক্রিকেট। ক্রিকেট ছাড়া আর সকল শব্দ আমার কর্ণকুহরে পৌঁছাইতে ব্যর্থ হইয়া মাথা কুটিয়া মরিতে লাগিল। মজনু লাইলীর প্রেমে মজিল'র মত দশা হইয়াছে আমার। অবশ্য কৈশোরে পাড়ার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাদিগের রাজত্বে যাহা খেলিতাম তাহাকে ক্রিকেট খেলা বলা যায় না, উহাকে বলা যায় 'মুটেগিরি'। ভ্রাতাদিগের পিছনে পিছনে ব্যাট, বল, স্টাম্প প্রভৃতি সরঞ্জামাদি বহন করিয়া তাহাদের কষ্ট লাঘব করিয়া মুটের কাজ করিতাম। ইহার বদৌলতে মাঝে মাঝে ফিল্ডিং করিবার সুযোগ পাইতাম, এছাড়া বেশিরভাগ সময় মাঠের ধারে বসিয়া তাহাদের খেলা দেখিয়া আমোদিত হইয়া হাততালি দেওয়া ছাড়া আর কোন কাজ ছিল না। অবশ্য ইহাতেই আমরা কনিষ্ঠরা... continue reading
Comments (2)
কেন জীর্ণ চূর্ণিত শরীরে যত ইচ্ছে আকাশকুসুম বুনে যায় প্রণয় ?
কেন তার সফেদ হাত আমাকেই ছুঁয়ে যায় বারবার ?
অসম্ভব কাব্য ভাষা।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা
পরম প্রণয়। অনেক ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা
সুন্দর কবিতার সাথে ছবি অসাধারন লাগল
অভিনন্দন কবি কে
অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা