Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আজিজুল গাফফার মিসবাহ

৯ বছর আগে লিখেছেন

ইসরাঈলের গনহত্যা এবং আমাদের করনীয়

আচ্ছা আমরা কি এমন কেউ আছি যে এখনো কমলা রঙয়ের “ফ্যান্টা” বা “মিরিন্ডা” খাই নি?

“কোকাকোলা” “পেপসি” “স্প্রাইট” “সেভেন-আপ” এর বোতলে চুমুক দেয় নি এমন মানুষ কি আদৌ খুঁজে পাওয়া যাবে?

“নেসকফির” কফিতে চুমুক দেয় নি বা “ম্যাগী” নুডুলস খায় নি এমন মানুষ কি এদেশে আছে?

আমাদের দেশের এমন কোন পরিবারটা আছে, সে পরিবারে এখনো একটা “নকিয়া” ফোন ব্যাবহার করা হয় নি?

“এপেক্স” এর মতো চড়া মূল্যের জুতা আমরা কে-ই বা কিনতে চাই নি?

আমাদের অধিকাংশ মানুষের কম্পিউটার প্রসেসরে কি “ইনটেলঃ ব্যাবহার হচ্ছে না?

“কিটকেট” চকলেট খেয়ে আমরা কে-ই বা নিজেকে ধন্য মনে করি নি?

আমরা বা আমাদের পরিবারের শিশুদের শরীরে কি “জনসন এন্ড জনসন” এর বেবি প্রোডাক্ট ব্যবহৃত হয় নি?

“কেএফসি” তে গিয়ে অতি মুল্যে মুরগীর ঠ্যাং আমরা কে-ই বা খাইনি বা খেতে চাই নি?

“লরিয়াল” “জিলেট” “নাইক” এর পন্য ব্যাবহার করে আমরা কি মনে মনে ‘ব্র্যান্ডের জিনিস ব্যাবহার করতেছি’ টাইপের হাসি দেই নি?

 

এই সব গুলো প্রশ্নের জবাব হচ্ছে “হ্যাঁ”! এই জিনিস গুলো আমাদের দেশে এসেছে আমাদের মাধ্যমে, এগুলোর বিক্রিও হয়েছে আমাদের মাধ্যমে এবং এগুলোর ভোক্তাও আমরাই। আমরাই উচ্চ মুল্যের এই পণ্যগুলো কিনতে পেরে ভাব নিয়ে মুখে রেডিমেট হাসি ঝুলিয়ে রাখি। আমরা হয়তো জানি না যে এসব পন্যের উৎপাদনকারী হচ্ছে ইসরায়েল। এসব পন্য বিক্রির লাভও তারাই পায়।

আর আমরা এসব পন্য ব্যবহার করে, এসব পন্যের কোম্পানি তথা দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ করছি।

 

আর তাই তাঁরাও এসব অর্থ অস্ত্র-গোলাবারুদ কেনার কাজে লাগিয়ে হত্যা করছে গাজা-ফিলিস্তিনের শতশত নিরীহ মানুষকে। বাদ যাচ্ছে না ছোট ছোট শিশুও। মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ট্রিগার চেপে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে পেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকা শিশুদের মস্তিস্ককে।

বোমার স্প্রিন্টারে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে তাঁদের শরীর। রক্তে লাল করে ফেলছে ফিলিস্তিনের মাটি।

 

তাই আজ থেকে আসুন আমরা সবাই যথসাধ্য এ সব পন্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকিআর যদি তা করতে না পারি তাহলে প্রয়োজন নেই শুধুশুধু ফেসবুকে এসে স্ট্যাটাস দিয়ে মায়াকান্না দেখানোর। পরিবর্তনটা নিজেকে দিয়েই শুরু হোক। আপনার এতটুকু সচেতনতাও পারে এসব হায়েনাদের হাতকে দুর্বল করতে।

 

আর এখন হচ্ছে রোজার মাস – দোয়া কবুলের মাস। এ মাসে যদি আমরা খাস দিলে আল্লাহর কাছে তাঁর বান্দাদের প্রান বাঁচানোর প্রার্থনা করি তাহলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদের প্রার্থনা শুনবেন। রক্ষা করবেন সে সব মজলুমদের। আমাদের সবার ইচ্ছে, দোয়া, সচেতনতা, প্রতিবাদই পারে গাজা-ফিলস্তিনের অসংখ্য নিরীহ লোকের প্রান বাঁচাতে।

 

পুনশচঃ এখন হয়তোবা অনেকেই ভাবছেন যে, ‘আমি একা এগুলো ব্যাবহার করলে কোন সমস্যাই হবে না।’ যারা ভাবছেন তাঁদের জন্য অতি প্রচলিত ছোট্ট একটা গল্প...

এক রাজা একবার একটি দীঘি খনন করে বললেন, আমি এটি দুধ দিয়ে ভর্তি চাই তাই রাজ্যের সব লোক আগামী কাল একগ্লাস করে দুধ এনে এখানে ঢালবা।

তখন একলোক চিন্তা করলো যে, সবাই তো দুধই ঢালবে, আমি যদি সেখানে একগ্লাস পানি ঢেলে দেই তাহলে কোন সমস্যাই হবে না – কেউ বুঝতেও পারবে নাসে তাই পরের দিন একগ্লাস পানি নিয়ে গিয়ে দেখল যে, তাঁর মতোই চিন্তা করে রাজ্যের সবাই একগ্লাস করে পানি নিয়ে এসেছে এবং পুরো দীঘি পানি দিয়েই ভরে ফেলেছে! 

Likes Comments
০ Share

Comments (0)

  • - আসাদ ইসলাম নয়ন

    হু হু হু ভালো লাগলো ।

    - রোদেলা

    ঘটনার নেপথ্যে কি আছে আমরা কেউ তা জানি না,কিন্তু যা ঘটেছে তা জাতির জন্য লজ্জাকর।