আর কতবার বলতে হবে এ দেশ তোমার নয়
তোমার মেয়ে আর কতবার ধর্ষিত হলে জানবে,
তুমি ছিলে মালাউন !
যখন তোমার মেয়ে পূর্ণিমা ধর্ষিত হচ্ছিল তুমি ধর্ষকদের পায়ে পড়ে মিনতি করেছিলে,
‘বাবারা আমার মেয়েটা ত ছোট, আপনারা একজন একজন করে আসেন’।
মাগো, তুমি প্রভুর কাছেও কি এভাবেই প্রার্থনা করতে না ?
তোমার সেই প্রভুর ভাঙ্গা মস্তকও আজ ধুলো লুণ্ঠিত !!
রাষ্ট্র তোমাকে সংখ্যালঘু নামে ডাকে
রাষ্ট্রের মহার্ঘ উদারতা,
তোমার জন্য এখনো এক পৃষ্টার সরকারি আহা উঁহু বিবৃতি পাঠ হয়,
মানববন্ধন হয় !!!
আমিও এর চেয়ে বেশি সুশীল হতে পারিনি মা
ঠাকুর ঘরের সব কলা খেয়ে !
ঈশ্বর জানেন অতিভোজনে বদহজম হয় তারও
নিরীহের সকাল বিকেল প্রার্থনায় কত আর জেগে বসা যায় হরহামেশা !!
মা তুমি পালিয়ে যাও
এই দেশ তোমার নয়
একাত্তরেও তোমার বুড়ো বাবা মাথায় সাদা টুপি পড়ে পালিয়ে যাবার সময়
কেঁদেছিলেন দেশের জন্য
বাপদাদার ভিটার জন্য
বাংলার মাটি, জল, ঘাসের জন্য
শেষতক দেশটা আর কখনোই তোমার হয়ে উঠেনি মা ।
‘বাংলার হিন্দু/বাংলার বৌদ্দ/বাংলার খ্রিষ্টান/ বাংলার মুসলমান’
এই গান আজ মুহমুহ প্রচারিত হোক রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে
মনে রেখ, এ কেবল বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে যেন তোমার ভুল হয়ে না যায় মা।
তুমি ফিরে যাও
শেষ বয়সে তুমি সয়তে পারবে না এ ধকল
একাত্তরের পর থেকে তোমার পূর্বপুরুষেরা এভাবেই কেঁদে কেঁদে ফিরে গেছেন মা,
দুঃখিনী মা ।
০৮ জানুয়ারি ২০১৪
২৫ পৌষ ১৪২০
Comments (10)
জীবনের এই লড়াই, আমাদের সকলকেই করতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর কবিতা। ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ মেজদা। ভাল থাকবেন
আসলেই। এভাবেই আমাদের মতো মধ্যবিত্তের জীবন কেটে যায় বছরের পরে বছর।
ধন্যবাদ আপু