দখিনা হাওয়ার তাড়া খেয়ে পালিয়ে যাচ্ছে চুপ জল
সকল নাচের মুদ্রা জানা জলহাসি
তোমার চুলের মত,
তোমার খোঁপা ভেঙে পালায় চুলগুলো সব
গোপন প্রশ্রয়ে তোমার
আমার পলায়নপর পঙতির মত
তোমাকে ছুঁয়ে মহীরুহ হয়ে উঠে আমার ভেতরকার কবিতা ।
তুমি আমার সবটা জুড়ে আছ যেহেতু
আমি বহুদিন আগে একদিন বহুবার তোমাকে ছেড়ে আসতে
কোন খেলায় বাকি রাখিনি নিজের সাথে
হেরে হেরে তো আজ নিজেকেও আয়নায় দেখতে ভাল লাগে না নিজেকে ।
তাই আমার সমস্ত পৌরষদীপ্ত সমুদ্র পতন
আমি বোকা মেকি হাসিতে নির্লজ্জ হই রোজ !
তোমার হাওয়া মাতাল উড়না যেমন আগ্রাসী
সোনা রৌদ্দুরের আলো কেড়ে নেয়
কেড়ে নেয় চোখের আয়ু সবার
তোমার উড়না আমার প্রার্থনার ভাষা জানে !
তোমার অবলা দুটো চোখ
মুহূর্তেই আমাকে পড়ে ফেলতে পারে আদ্যোপান্ত ।
পুরনো ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে শীতের কাপড়গুলো উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে
তোমার গন্ধ পেয়ে
তোমার গন্ধ পেয়ে আমার ভেতরে যাবতীয় পদ্য
ভুলভাল উঁকি দিয়ে মিশে যাচ্ছে মেঘে
তুমি আরেকটু থাক বাঁ পাশ জুড়ে,
আরেকটু ভুল হয়ে স্মৃতিজুড়ে ।
তুমি সকল ভুল নিয়ে থাক আর কিছু সময়
ভুলভাল কবিতা হয়ে ।।
বহুদিন পর কানে আসলে পুরনো দিনের গান
হটাত বুকের গহীনে মোছড় দিয়ে উঠে শৈশব
তুমিত তার চেয়ে দ্বিগুণ ছাইমৃত আগুন !
তুমি আমার রক্তে নেশা তুমুল তেমন ।
ভোরবেলা মিষ্টি রোদ থেকে ফিরে শাওয়ারের নিচে ধুয়ে ফেলা যেত যদি ভেতরটাকে
পৃথিবীর দীর্ঘ সুন্দর দিনগুলো গোগ্রাসে গিলে ফেলতাম বাৎসল্য জীবনের
অথচ আমি স্নান করি তোমার রোদে !
আমার যাবতীয় অভুক্ত কবিতার ক্ষুরধার পংতিবলি
বেহুদা, পরাজিত লোকটার মত মূর্ছাগত
দেবালয়ে মাথা ঠুকে !!
আমার ভাল চেহেরা যা, সে কেবল ঈশ্বরের
আমার ক্ষত বিচ্ছুত যা কিছু, সেসব তোমার ।
১৩ জানুয়ারি ২০১৪
৩০ পৌষ ১৪২০