তোমার বাবাও এক অষ্টাদশীর প্রেমে পড়েছিলেন একদিন
একদিন জয়নুলের দুর্ভিক্ষের ছবি দেখে তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন
তিনি রবীন্দ্র শুনতেন একদিন
পাহাড় সমুদ্র দেখলে দু হাত তুলে পাখির মত
বালক হয়ে যেতেন
তিনি বড় হয়ে কবি হতে চেয়েছিলেন
বহুদিন আগের সেসব নস্টালজিয়া এখন ফোঁড়ন কাটে অসময়ের
এখন সময়ের হাতে মার খাচ্ছে লাঞ্ছিত মানবতা !!!
মেয়ে, নোটিশ বোর্ড দেখেছ ?
সেখানে ঝুলে আছে আমার ব্যাক্তিগত দর্জির যাবতীয় সেলাই
নির্বাচিত গোপন বেদনা সকল,
সব নদীর বর্ষপূর্তি স্রোত তোমার পায়ে লুঠে পড়েছে
তুমি এক জন্মান্ধ ঘোড়ার মত
আমাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছ হাওয়াবেগে
ভোর থেকে রাত্রি
বেকসুর খালাস দিয়ে সময়কে চম্পট !
শিউলি জুঁই যতটা ঝরে বিভক্ত শীতে
তার চে বেশি ঘাম জমেছে জবুথবু ফ্রকে তোমার !
প্রেম ত হয় মনে মনে
সেখানে কেন বাবার ভয়, মেয়ে?
মায়া কেঁদো না সোনা
নার্সের হাতে যদি চুকে যেত দৌদুল্যমান জ্বর
আমার সমুদ্রসম নিখিল বেদনার জন্য তোমাকে কেন গিলব রোজ ?
তোমার বাবাকে বলবে,
‘প্রেমিকের নাম মহাসয়
যত বেদনা সহাবেন পেটে
গরিবের পেটে সবি সয়’ !!!
_______________________
নির্বাচিত বেদনা
১৯ জানুয়ারি ২০১৪
০৬ মাঘ ১৪২০