Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সাদাত কামাল

১০ বছর আগে লিখেছেন

দেখলাম সে কাঁদছে

দেখলাম সে কাঁদছে। তার কান্নাটা ছিল নীরব কান্না। আমার শত ব্যস্ততার কারণে আমি আজ এতদিন খেয়াল করিনি। আসলে এটা আমার দোষ যে, আমি খেয়াল করতে পারিনি। আর সে তো আমারই সন্তান। আমার কাছ থেকে সে আর কতদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখবে?তাকে তো আমার সামনে আসতেই হবে। আমি তো তার নাড়ি-নক্ষত্র সবই জানি। সে কী করে? কেন করে? পথ চলতে গিয়ে তার কোথায়-কোথায় বেধে যায়? সে কী ভুল বলে? আমি সবই জানি। তার মনের খবরটাও আমি জানি।
আমি ইদানীং বুঝতে পারছি যে, সে একটা অভাববোধ করছে। তার এখন একটা জিনিস অতীব প্রয়োজন। আর সেই জিনিসটা হচ্ছে তার মতো করে ভাবে, তার মতো করে দেখে, আর তার মতো করে মনে-মনে গান করে এমন একটা মানুষ। যার কাছে সে ভুল করবে, যার কাছে সে রাগ করবে, গান করবে, ভান করবে। আর তার জন্য সে মাঝে-মধ্যে বকাও খাবে তার কাছে। আমার ধারণা, সে এখন পর্যন্ত জানে না যে এর ভেতরে ভালো লাগার যে ব্যাপারটা আছে তাকে কী বলে? আমি তাকে অবশ্য এ ব্যাপারে কিছুই বলিনি। আর বলবোও না। কারণ, বলে দিলে যে সে লজ্জা পেয়ে লাল হয়ে যাবে! আর তার ভেতরে যে প্রকৃতির মায়াজাল বিছিয়ে আছে, তাতে খানিকটা হয়তো কৃত্রিমতার ছোঁয়া লাগবে। অবশ্য আমি ঐ কৃত্রিম ব্যাপারটাকে সাংঘাতিকভাবে ভয় পাই। তার কারণ, সেটা যন্ত্রতুল্য ঐ রোবটগুলোর মাঝেই শোভা পায়। আর আমি তো এই প্রকৃতির সৃষ্টি সেরাজীব, মানুষ।
যাই হোক, আমি তাই তাকে বলিনি। সে তার মতো করেই তার মনের প্রকৃতিটাকে সাজাক না। ছন্দে-ছন্দে মনে মনে বলি -
বকা খেতে বেশ ভালো লাগে,
সেটা নিজের ঐ বিবেকের মাঝে,
মনটা যেন তাই সুন্দর... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (8)

  • - রুদ্র আমিন

    মনের ভেতর লুকানো হাজারও ইচ্ছে বলুন আর আশা বলুন...কোনটাই পূর্ণ হলো না ৩২টি বছরেও...দূর থেকে দেখেই গেলাম...চায়ের চুমুক দেয়ার মতোই। কত জনের মুখের প্রলাপ। যাই হোক। ক্ষণিকের জন্য নয়....বড় পরিসরে জমা থাকে এমন লেখা লিখুন..ভাল লাগবে। এটা বলব না যে এটা আমার খারাপ লেগেছে। আমি নিজেও লিখতে পারি না। মনে যা আসে তাই লিখি কবিতার মতো....ভুল হলে ক্ষমা করবেন।

    • - আহমেদ ইশতিয়াক

    - আলভিনা চৌধুরী

    শুরুটা আরেকটু গোছানো হতে পারত।

    কিন্তু শেষের দুই প্যারা... আউলা ঝাউলা  টাইপ সুন্দর !!   কয়েকবার পড়লাম ।  

     

    • - আহমেদ ইশতিয়াক




      এত্তগুলা থ্যাংক ইউ...

    • Load more relies...
    - ঘাস ফুল

    দিনপঞ্জিতে হাল্কা কিছু কথার মধ্যে ভারী কিছু কথাও সেঁটে দিয়েছেন, যা মনকে সহজেই ভাবিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ভালো লাগলো ইশতিয়াক।  

    • - আহমেদ ইশতিয়াক

      ধন্যবাদ ঘাসফুল... ছিলেন কোথায় আপনি?

    • Load more relies...
    Load more comments...

সাদাত কামাল

১০ বছর আগে লিখেছেন

বাঘ

একবার একটা বাঘ তার একমাত্র ছেলে মাইকেলকে নিয়ে গেল হরিণ শিকার করতে। মাইকেল হরিণ শিকারে তার বাবা টমাসের থেকেও অনেক বেশি দক্ষ ছিল। বাপ-বেটা দুজন সুন্দরবনের হিরন-পয়েন্টে ঘাসের মধ্যে ভাল একটা ঘনঝোপ ঠিক করে শিকারের পজিশন নিয়ে হরিণের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে তারা দুজন দেখতে পেল যে, কিছু হরিণ-হরিণী তাদের ছানাপুনা নিয়ে মনের আনন্দে সেই ঘন ঘাসের দিকে আসছে তাদের পেটপূর্তি করতে। মাইকেল তার গোঁপের তলে কুটিল হাসির একটি রেখা ফুটিয়ে বলল, বাবা আজ আমরা আমাদের মাকে আমাদের শিকারটি উপহার দেব, ওকে। টমাসের মুখে শব্দহীন সিরিয়াস গাম্ভীর্য। সে মনে মনে তার টার্গেট নির্বাচনে ব্যস্ত।
এমন সময় অনেক দূর থেকে কিছু মানুষের ক্যামেরার শাটারের ক্লিক-ক্লিক শব্দ টমাসের খাড়া কানে তীক্ষ্ণ তীরের মতো আঘাত করল। মাইকেল বলেই ফেলল, আবারও সেই উটকো ঝামেলা। টমাস বলল, ওদিকে কান না দিয়ে এবারে আমাদের ফাঁকা পেটের শব্দের দিকে কান দিয়ে শিকারে মননিবেশ কর। ঐ শব্দে হরিণগুলো আর একটু পরই আমাদের থেকে দূরে চলে যাবে।
অপেক্ষার প্রায় টান টান শেষ মূহুর্ত। আর দেরি করা মোটেও ঠিক হবে না। তাই কোনো টুরিস্ট-ফুরিস্ট না গুনেই তারা বাপ-বেটা লাঁফিয়ে পড়লো দুটি হরিণের ওপর। তারা সেগুলিকে মেরে, টেনে তাদের মা আর মাইকেলের বোন এলিসার জন্য নিয়ে গেল।
বেশকয়েক বছর পরের কথা। মানুষেরা হিরণ-পয়েন্টে মাইকেলদের বসবাসের স্থানে চেকপোস্ট বানিয়েছে। মাইকেলের বাবা টমাস সেই চেকপোস্ট থেকে ছোঁড়া গুলিতে মারা গেছে। মাইকেল তার মা, বোন আর বোনের একমাত্র ছেলে নিটনকে নিয়ে অন্যস্থানে চলে এসেছে। এখানে হরিণ প্রায় নেই বললেই চলে। তাই মামা-ভাগ্নে এখন মাঝেমধ্যেই তাদের পরিবারের জন্য মাছ শিকার করে।
একদিন মামা-ভাগ্নে ঠিক করলো যে তারা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (9)

  • - ঘাস ফুল

    সব রাজনীতিবিদরাই রসুনের কোয়ার মতো এক জায়গায় মিশে আছে। সবার ধান্ধাও তাই একই। ক্ষমতা, টাকা আর বিলাসিতা। নির্বাচন এলে আমরা সাধারণ জনগণও কিছুটা ধান্ধাবাজি করি। আসল নকল যাচাই না করে টুপাইস পকেটে ভরে নিজের বিবেক বিক্রি করে দেই। তাই শুধু রাজনীতিবিদদেরই সচেতন বা ভালো হলে হবে না। আমাদেরও সাথে সাথে হতে হবে। লেখাটা ভালো লেগেছে। ভোটের ভাষণ আসলেই এমন। যদিও অন্ত্যমিল রেখে লিখেছেন, তারপরও বলব এটাকে কবিতা ক্যাটাগরিতে দিতে পারতেন। কারণ ছড়ার বেলায় ছন্দের যেমন গুরুত্ব আছে, ঠিক তেমনি মাত্রারও সমান গুরুত্ব আছে। লেখাটাতে মাত্রা বিভ্রাট আছে। ধন্যবাদ জিয়াউল। 

সাদাত কামাল

১০ বছর আগে লিখেছেন

চকলেটের খোসা

ছোট্ট যে আমি,
আমার হাতের চকলেটটা দামি;
সেটা খাবার জন্য_
খোসাটা ছিঁড়তে যেয়ে ঘামি।
 
আমাকে দেখ্‌ছিলো আমার মামি,
দৌঁড়ে এসে_
আমার গালে দিলো একটা হামি।
ছিঁড়ে দিয়ে সেই চকলেটের খোসা,
আদর করে চিপে দিয়ে
আমার নাকটা করে দিলো বোঁচা।
 
আমি ভাবছিলাম তাকে, একটা সোঁচা;
যে ছেলেটা কিনা আমার দিকে_
মুখ হা করে;
দেখছিলো আমার চকলেটটা চোঁসা।
 
কালো চামড়া, ময়লা জামা
মাথায় খুস্‌কি, পিঠটা ঘামা।
দাঁতে ছাতা, নাকে পানি
অনেকটা যেন সিনেমার আসামি।
 
চোখে পিচুটি, হাতে ফোঁড়া
পা টা বাঁকা,
মনে হয় খোঁড়া।
 
দুষ্টুমি করে_
এখন সে ক্লান্ত।
সব মিলিয়ে ক্ষুধার্থ চোখে,
সে যেন এক_
বান্দরের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
 
এ কেমন মানুষ, ভাবছি আমি,
চোখে-চোখ তার রাখছি আমি।
 
গরমটা ভালোই পড়ছে_
আমার ভেতরে ঘাম ঝরছে;
চকলেটটা গলছে_
খোসাতে সেটা জড়াচ্ছে।
 
মৃদু-মন্দ বাতাস বইছে,
ছেলেটা হা করে দেখছে;
খাওয়াটা আমার শেষ হয়েছে,
খোসাটা বাতাসে উড়ছে।
 
এমন সময় সে ছেলে_
খোঁড়াতে খোঁড়াতে যেয়ে;
চকলেটের খোসাটা হাতে পেয়ে,
চলে গেলো হাসি দিয়ে।
 
দূর থেকে তাকে আমি_
সে খোসাটা চাটতে দেখি।
আমার দামি চকলেটের স্বাদপেতে_
ছিলোনা তার কাছে আর বাকি।
 
করেছি আমি যা নষ্ট,
ভোগ করছে সেটা তারাই_
যাদের আছে, অনেক কষ্ট।
 
-সমাপ্ত-
continue reading
Likes Comments
০ Shares