Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

“তাসনিম ও তার সদিচ্ছা”

 

 

 

ধনু রাশির জাতক তাসনিম সব সময়েই একটু অন্যরকম। অন্যরকম বলতে কখনো হই হুল্লোড় করে বাড়ি মাতিয়ে তুলছে। কখনো চুপচাপ। হতাশায় মৃয়মাণ। কখনো সাহসী দূর্বার।

চাকরি বাকরির ব্যাপারে বরাবরই অলস প্রকৃতির তাসনিম একটা মনের মত চাকরির খোঁজ করতে করতে অবশেষে মাস কয়েক হলো একটা চাকরিতে ঢুকেছে। যতটা উৎফুল্ল হয়ে চাকরিতে ঢুকেছিল ততটা আগ্রহ এখন আর নেই। কারণটা স্যালারী। এবং সেই সাথে পরেছে চরম ঠান্ডা। এই অসম্ভব ঠান্ডায় লেপের তলা থেকে যার বেরোতেই ইচ্ছে করে না সে কেন সামান্য বেতনের একটা চাকরি করার জন্য সাত সকালে ঘুম থেকে উঠতে যাবে! তবুও কি এক অমোঘ আকর্ষণে রবি-মংগল-বৃহস্পতিবার ওকে সকালে উঠতেই হয়।

কোনরকমে মায়ের তৈরী করা নাশতা খেয়ে তাড়াহুড়া করে তৈরী হয়ে একেবারে শেষ সময়ে বাসা থেকে বের হয় ও। আকর্ষণটা আর কিছুই নয়, শিক্ষকতা। পড়াতে ওর কি যে ভালো লাগে। পড়ানোর নির্দিষ্ট সিস্টেমের বাইরে নিজস্বতা এপ্লাই করে শিক্ষার্থীদের আনন্দের মাঝে ক্লাস নিতে যে আনন্দ তার সাথে আসলে আলসেমীর কোন তুলনা হতে পারেনা। সপ্তাহে মাত্র তিন দিন অফিসে যাবার জন্য প্রায় শেষ সময়ে বের হয় বলেই রিকশা নিতেই হয়। তা নইলে সঠিক সময়ে ক্যাম্পাসে পৌঁছানো যাবেনা। শিক্ষার্থীদের আগে তাকে যে পৌঁছোতেই হবে। নইলে শিক্ষক হিসেবে ওর যে মান থাকবেনা। আর ফেরার সময়ে যখন দুপুর তখন রিকশা করে বাড়ি ফিরতে ওর এতটুকু ইচ্ছে করে না। রিকশা  নিলে পলাশী হয়ে ফাঁকা রাস্তায় ঠান্ডাটা বড় বেশি খামচে ধরে শরীরে। যতই গরম কাপড় চাপাও উপরে নিচে, বাতাসে একেবারে কলজে কাঁপিয়ে দেয়। শীত এবার একেবারে তার হিংস্র থাবা যেন আরো ধারালো করে নিয়েই এসেছে। খামচে আছড়ে একাকার করে দেবে।

ফাঁকা রাস্তা দিয়ে শীতের কামড় খেতে খেতে বাড়ি পৌঁছোনোর চেয়ে ও প্রতিদিন নিউমার্কেট গাউছিয়া হয়ে ঢাকা কলেজের সামনে ফুটপাত ধরে হেঁটে হেঁটে সাইন্স ল্যাব পেট্রল পাম্পের কাছে পৌঁছে রিকশা করে বাড়ি ফিরে। এখান দিয়ে যেতে অতটা ঠান্ডাও লাগেনা। আর, মার্কেটের রকমারী জিনিসও উপভোগ করতে করতে সময় দ্রুত কেটে যায়। বাসার বাইরে বের হলেই তাসনিম কিছু না কিছু কিনে ফিরবেই। কখনো বাবার পছন্দের কিছু। কখনো বা মায়ের জন্য। ঘরে ঢুকে “এটা তোমার জন্য” বলতে ওর কি যে মজা লাগে!

এর আগের শীতের সময় বাসার কাজের মেয়ের জন্য গরম কাপড় কিনে দিয়েছিলো। বাসায় যে কাজের মহিলাটি রয়েছে তার তিনটি মেয়ে ও একটি ছেলে। বড় মেয়েটি তাসনিমের কাছে ওর তৃতীয় শ্রেণীর পড়া করতে আসে। সারা বছরই আসছে। প্রথম দুটি সাময়িকী পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েছে। আশা আছে এবারো ভালো করবে। কিন্তু, শীত নামছে। ছোট্ট মেয়েটি শীতের কাপড় তো পরে আসে না। এভাবেতো ঠিকপরীক্ষার আগে অসুখ বাঁধিয়ে বসবে। কয়েকদিন একটানা একই কথা বলে আসতে আসতে তাসনিমের বিরক্তি ধরে যায়। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে নিজেই কিনে দিতে।

ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরতে একদিন খুচরা সোয়েটার বিক্রেতার গলা ভেসে আসে, “ত্রিশ টাকা! ত্রিশ টাকা! যেইটা লন, ত্রিশ টাকা! বাইচ্ছা লন ত্রিশ টাকা! ছোট বড় ত্রিশ টাকা!” এরকম খুচরো টাকায় সোয়েটার? অবাক কান্ড!এর আগেও দেখেছে। কিন্তু, এত কমে! তাসনিম এগিয়ে গিয়ে আরো ক’জন কাস্টোমারের সাথে নিজেও গিয়ে উলটে পালটে দেখতে থাকে ঠিক কোন্ সোয়েটারটি নেয়া যায়। “ভালই তো সোয়েটারগুলো। এত কমে বিক্রি করছে! বাহ্!” মিনিট কয়েক উপরে-নিচে উলটে-পালটে দুটো হাতা কাটা সোয়েটার পছন্দ হলো। একটা সাদা। উলেই ডিজাইন করা আছে প্রজাপতি আর ফুলে। আর অন্যটা বাঁটা মেহেদি রঙের। ছোট একটা পকেটও আছে। “সাদা রঙ এর সোয়েটারটা বোধহয় বগলে হবেনা আমার। যাক গে! যদি না হয়ই, শিরিনকে না হয় দিয়ে দেবো!” শিরিন হলো ওর বাসার বুয়ার মেয়েটা যাকে ও পড়ায়।

বাসায় ফিরে সত্যিই দেখা গেলো, ওর গায়ের মাপে হচ্ছে না। টাইট হচ্ছে। অতঃপর আর কি করা। দিয়ে দিলো ও ঐটা শিরিনকে। বুয়া সেটা দেখেই ভীষণ খুশি। তাসনিমের মা সেটা অবশ্য না ধুয়ে দিলেন না। ধুয়ে শুকিয়ে তারপরে শিরিনের গায়ে চাপাতে দিলেন।

এই একটি সোয়েটার গিফট করে ওর যেন নেশা ধরে গেলো। মায়ের কাজে পাশের ফ্লাটেই নানুর বাসার বুয়াটা অনেক সাহায্য করে। মা অবশ্য তাকে সেই মাইনে দিয়ে দেয়। তবুও, হাসিমুখে করে দেয় তো মেয়েটা। “তাকে যদি একটা সোয়েটার কিনে দেয়া যায়। কেমন হয়?” যেই ভাবা সেই কাজ! ওকেও একটি সোয়েটার কিনে এনে দেবে বলে ভাবলো তাসনিম।

তার দুদিন পরে ঘরে বসে ছিলো তাসনিম। দরজার ঠকঠক শব্দে মা দরজা খুলেদেখে, ফকির। ভিক্ষে দেওয়ার পরে ফকিরটি বলে উঠলো, “আম্মা, একঠা গরম কাপড় দিবাইন? অনেক জ্বার পইরছে!” মায়ের কণ্ঠে শুনতে পেলো ও, “গরম কাপড় তো নাই। টাকা দিয়ে দেই তোমাকে। কিনে নিও।” ফকির বলে উঠলো, “টাকা দিয়া কৈইত্থিকা কিনবাইন? বাজারে যাওন কশটো!” মায়ের পেছনে এগিয়ে গিয়ে তাসনিম বলে উঠলো, “ঠিক আছে। আপনি বরং সামনের সপ্তাহে আসুন। আমি কিনে রাখবো।” মা অবাক হয়ে বলে উঠলেন, “তুমি কিনবা?” মেয়ের সাথে যেন মুহুর্তেই চোখে চোখে কথা হয়ে গেলো মায়ের।তারপরে মহিলাটিকে কথা দিয়ে দিলেন, “তুমি মনে করে পাঁচ ছয়দিন পরে এসো কিন্তু।” তাসনিমের খুব মজা লাগছে। “ইস, একটা কাজের মত কাজ পাওয়া গিয়েছে। কাল তো ছুটি। পরশু আবার যেতে হবে ক্যাম্পাসে। ফেরার পথে সুন্দর দেখে দুটো সোয়েটার অবশ্যই কিনতে হবে। তবে, সমস্যা হলো, সব দিন ভালো মানের সোয়েটার কম দামে পাওয়া যায় না।” এভাবে হিসেব করে দুজনের জন্য দুটি সোয়েটার কিনে বাড়ি ফিরলো সে। মা বাড়ি ছিলেন না। যতক্ষণ না বাড়ি ফিরছেন ততক্ষণ মাকে না দেখিয়ে, কেমন কিনলো তার মন্তব্যটা না শুনে আর স্বস্তি পাচ্ছে না তাসনিম। মা বাড়িতে ফেরার পরে দুটো সোয়েটার এত পছন্দ হলো যে, বেড়াতে আসা মনু খালামনি পর্যন্ত একটা ওনাকেই দিয়ে দিতে বললেন।

আজকের দুটোর মান ও দাম আগেরটার চেয়েও অনেক ভালো। যাদের জন্য আনা হয়েছে জিনিস দুটো তাদেরকেই দিতে ইচ্ছে করলো। খালামনিকে জাস্ট এতটুকুই বললো, “আমি তো মানত করে ফেলেছি ওদেরকেই দেবো। আপনার জন্য আরেকদিন আনা যাবে।” মনেমনে একটু বিরক্ত হলো। “ইস, খালামনিটা কি! উনি নিজেই তো ইচ্ছে করলেই কিনে নিতে পারবেন!” সেই সোয়েটার কেনার পরে এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গিয়েছে। “মহিলা এখনো তো এলো না!” মহিলাটি গরিব হলেও ছেলেকে হোস্টেলে রেখে পড়াশুনা করাচ্ছে। ছেলেও কলেজে যেতে পড়তে পারবে এমন মাপেই কিনেছে ওটা। শীত কমে গেলে যেন হালকা ঠান্ডাতেও পরতে পারে সেজন্যে সামনে চেইন সহ কিনেছে।

দিন দুই আগের কথা। মা রান্না ঘরে রান্না করছিলেন। আর, খালামনি বসে আছেন ডাইনিংএর চেয়ারে। তাসনিম ঘরের খালি জায়গা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিল। দরজায় ঠক ঠকশব্দ পেয়ে খুললো। “আম্মা ভিক্ষা দ্যান!” শোনার আগেই দরজাটা ভিড়িয়ে দিয়ে চালের কৌঁটা থেকে চাল নিয়ে আবার দরজা খুলে ভিক্ষা দিতে গেলো। মহিলা ফকিরটি বলে উঠলো, “আফা, একটা গরম কাপড় অইবো?” তাসনিমরা মোটামুটি মধ্যবিত্ত পরিবারের। অবস্থা স্বচ্ছল। কিন্তু, খুব বাড়তি কিছু নেই ওদের। যা আছে তা পরিমাণ মত। ওরা কোন জিনিসই বাড়তি রাখে না। ফকির অথবা কাছের পরিচিত গরিব লোকদের ব্যবহারের জামা কাপড়ের যেগুলো কম ব্যবহার করা হয় সেগুলো দিয়ে প্রায় সারা বছরই সাহায্য করে থাকে। ফকির মহিলাটি দরজার সামনে সিড়ি ঘরের খালি জায়গায় বাতাসে পাতলা একটি শাড়িতে ঠকঠক করে কাঁপছে। দেখে খুব মায়া হলো ওর। “ইস! এই কাপড়ে আরো অনেক বাসা-বাড়ি ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করবে!” নিজের গায়ে পরে থাকা চেইন ওয়ালা সোয়েটারটা দেখলো একবার। তারপরই মায়ের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে উঠলো, “মা, আমি এই সোয়েটারটা এই ফকিরটিকে দিয়ে দেই?” খালামনি হায় হায় করে উঠলেন, “আরে মেয়ে করো কি! এইটা আমার খুব পছন্দের তো। তুমি বাতিল করলে আমি চাইছিলাম এইটা!” “ধ্যেত! এই খালামনিটা কি! এত নামাজ কালাম পড়ে! তবু...” মনে মনে ভেবে জোরে বলে উঠলো উত্তেজিত স্বরে, “আপনি দ্যাখেন এই মহিলাটি কিভাবে কাঁপছে! আমি তো লেপের ভিতরেই বেশিরভাগ সময়ে বসে থাকি। আর ঘরে পড়তে আমার সোয়েটার লাগে না। বাইরে পরার আলাদা সোয়েটার আছে। চাদর আছে আমার।” খালামনিকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দরজার বাইরে দাঁড়ানো ফকিরটির দিকে নিজের সোয়েটারটি খুলে বাড়িয়ে ধরলো, “দেখুন তো, আপনার গায়ে লাগে কিনা।” মহিলা তো সাথে সাথে গায়ে পরে তাসনিমের দিকে চেয়ে এক ঝকঝকা হাসি উপহার দিলো।

তাসনিম মাত্র আগের দিন বেতন পেয়েছে। তারপর থেকে খুশিতে উড়ে চলেছে যেন। টাকা বেশি নয়। কিন্তু, এখানে নাকি কেউই সঠিক সময়ে ন্যায্য বেতন পায়না। সেখানে ও পেয়েছে বলেই এইখুশি। টাকাটা এখনো খরচ করা হয়নি। নিজের গায়ের গরম জামা ফকিরটিকে দিয়ে দেবার পরেই ওর মাথায় এলো ভাবনাটা। “আচ্ছা, এই বাসায় যত ফকির ভিক্ষে করতে আসবে সব ক’জনকে এই পুরো শীতে ভিক্ষার সাথে সাথে গরম কাপড় দিলে কেমন হয়?” ইচ্ছেটা ও ওর মায়ের সাথেও শেয়ার করলো। খুশিতে ওনার গলা ধরে এলো। চোখে চিকচিক করছে পানি। “ভালো আইডিয়া! এগুলোই তো সাথে যাবে। মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার।”

মায়ের উৎসাহ পেয়ে ও ভাবনাটা রাতে সেজ খালামনির সাথেও শেয়ার করলো যিনি ওদের বাসারই চার তলায় থাকেন। উনিও বলে উঠলেন দাঁত বের করে ঝলমলে কণ্ঠে, “হ্যাঁ। আইডিয়া তো ভালোই। তাহলে আমিও এক কাজ করি।” বলে দুই হাত প্রসারিত করে বললেন আবারো, “তোমার খালুর এত্ত মোজা রয়েছে। বাতিল। কোনটার হয়তো আঙ্গুলের অংশটা ছেঁড়া। অফিসে পরে যাওয়া যায়না বলে রিজেক্ট করে দিয়েছে। আমি বরং কাল সকালেই সবগুলোর ফুটো সেলাই করতে বসবো। তুমি যেমন সোয়েটার দেবে। আমি তেমন মোজা দিতে পারবো।” তাসনিম খুশিতে চেঁচিয়ে উঠলো, “ওয়াও!” মা বলে উঠলেন, “ফকিরগুলা তো খালি পায়ে ভিক্ষা করতে আসে। মোজাতে কি কাজ হবে?” খালামনি বললেন, “রাতে শুয়ে থাকবে যখন তখন পরে ঘুমাতে বলবো। ঠান্ডা কম লাগবে।” খালামনির সাথে আলোচনা করতে করতে কয়েকটা চাদর কিনবে বলেও ঠিক করলো। বৃহস্পতিবার ক্লাস নিয়ে অফিস থেকে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বেশ ক’দিন ছুটি পরে গিয়েছে। আসছে মঙ্গলবার চাদর ও সোয়েটার কিনে নিয়ে আসবে। মার্কেট বন্ধ থাকলে খুচরা ও সস্তা জিনিসের হাট বসে মংগলবারে। ওর সামান্য বেতনে সস্তায় ভালো জিনিস উপহার দেয়া ছাড়া উপায় কি!

বাসায় খালামনি ও খালাতো ভাই-বোন মিলিয়ে বেশ আড্ডা জমে উঠেছে। সেই সাথে শীতের লেপ ও কম্বলেও টান পরেছে। নইলে এই চরম শীতে ও যেখানে এক লেপ এর উপরে কম্বল চাপিয়ে শোয় সেটাও এখন সম্ভব হচ্ছেনা। একটা লেপ জড়িয়ে ঘুমোতে ওকে রীতিমত কাঁপাকাঁপি করে ঘুমোতে হচ্ছে ক’দিন ধরে। অথচ, আজ এই গরমকাপড় বিলানোর সিদ্ধান্ত মাথায় নিয়ে ওর সেই ঠান্ডাবোধ কমে গেলো অনেকাংশে। একটি সদিচ্ছা পূরণের স্বপ্নে বিভোর হয়ে শান্তির ঘুম জড়িয়ে এলো ওর দু’চোখে।

(সমাপ্ত)

[বাস্তবের কাহিনী ও চরিত্র পালটে গল্পের রূপান্তর করা হয়েছে। ] 

১ Likes ২৪ Comments ০ Share ৪৩৯ Views

Comments (24)

  • - রোদেলা

    ভালোবাসাকে প্রত্যাখান করার আস্পর্ধা কখনও কি হয়েছে কারো?

    নারে ভাই কারো হয় নাই।

    ভালো বলছেন।

    • - মোকসেদুল ইসলাম

    - কামাল উদ্দিন

     ভালোবাসলে এমনটিই করা উচিৎ, যেখানে ব্যর্থতা কে কোন ভাবেই চিন্তায় আনা যাবে না

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    - রুদ্র আমিন

    দিন আমার যাচ্চে চলে ভিন্ন পথে

    বইছে হাওয়া গন্ধযুক্ত ভাবতে পারি না

    পশুপাখি কিংবা মানবের গলিত দেহের ঘ্রাণ।

     

    ভাল লিখেছেন ভাইজান।

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ আমিনুল ভাই

    Load more comments...