Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

“খেজুর পাতার পাটি”

“খেজুর পাতার পাটি”


 

 

আমাদের গ্রামের নিন্ম বিত্ত পরিবারের মহিলারা তাদের ঘরে শোবার জন্য বা বারান্দায় বিছানো বা আমাদের শহুরে বাড়ির অনুকরণে ঘরের কার্পেট এর পরিবর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় কমন জিনিসটি হল খেজুরের পাতার পাটি। এটি আর একটি গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ। এই পাটি এই ছাড়াও ধান গম আটা রৌদ্রে শুকাতে দেবার কাজেও ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া হাজার রকম কাজে এটি ব্যবহার করা হয়। আগে মসজিদে দেখতাম খেজুর পাতার পাটি বিছিয়ে নামাজ আদায় করা হত। গ্রমের মহিলারা মসজিদের জন্য দান হিসেবে বানিয়ে দিতেন খেজুর পাতার পাটি ও জায়নামাজ। এই তো বছর ১৯-১২ আগে আমার বাড়িতে আমার বোনরা বানাতেন সুদৃশ্য খেজুর পাতার পাটি। এই পাটিকে বলা গ্রামের শীতল পাটি।

@@ তৈরির প্রক্রিয়াঃ প্রথমে খেজুর গাছের ডাল কেটে রৌদ্রে উত্তম রূপে শুকাতে হবে। এর পর ডাল হতে পাতা গুলি ছিড়ে নিতে হবে। এর পর ঐ শুকনো পাতা গুলির গোঁড়ার দিকে বোটার অংশ এবং সামনের ছুঁচালো কাটার অংশ  কেটে ফেলে দিতে হবে। এর পর পাতাকে দু ভাগে ভাগ করতে হবে। এই দুই ভাগ কে প্রয়োজন মত চিকন করে পাটি বুননের জন্য তৈরি করা হয়। এখন পাটির বুননে জন্য দক্ষ একজনের কাছ হতে এর প্রাথমিক নকশা বা শুরুর জাল তৈরি করে নিতে হয়। এর পর শুধু পাতার পর পাতা জোড়া দিয়ে এক একটা লম্বা .........১ 

 

 কেও কেও এই......১ এর মধ্যে লাল, নীল রঙ করা পাতা যুক্ত করে পাটি বুনেন। এর এজন্য যে পাতাকে যে রঙ এ রাঙ্গাতে চান তাকে প্রথমে বাজার হতে সস্তা রঙ কিনে এনে প্রথমে পানিতে মিশিয়ে  আগুনে জ্বাল দিয়ে গরম করা হয়, এবার ঐ পানিতে প্রয়োজনীয়  পাতা  (এই দুই ভাগ কে প্রয়োজন মত চিকন করে পাটি বুননের জন্য তৈরি করা হয়।) কে ডুবিয়ে একটু সিদ্ধ করে নিতে হবে। এতে রঙ গুলি ঐ পাতায় ঢুকে যাবে। এখন ঐ পাতাকে উত্তম রূপে রৌদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার পাটির .........১ এর মাঝে মাঝে লাল বা সবুজ পাতা দিয়ে বুনানো হয়। এই পাটি গুলি দেখতে এত সুন্দর উন্নত মানের কার্পেট এর কাছে নস্যি। এই ......।।১ গুলি একটা পাটির মত তৈরি হলে এগুলিকে সাপের মত গোল করে জড়িয়ে রাখা হয়। .........১ এর পর একটা একটা পার্ট কেটে নেওয়া হয়। যত লম্বা পাটি আপনি চান সেই মত দৈর্ঘে এক একটি কেটে নিয়ে এই পার্ট গুলি আবার একটার সঙ্গে একটা জুড়ে দেওয়া হয় পাতা দিয়ে। এই জোড়া গুলি এমন মসৃণ ভাবে দেওয়া হয় কি বলব। এ যেন একটা শিল্প। পার্ট পার্ট জোড়া দিয়ে এবার দৈর্ঘের দিকে কাটা মাথা মুড়িয়ে নিচের দিকে সেলাই করা হয় সুতা দিয়ে। এভাবে তৈরি হয়ে গেল একটা পাটি। এবার কি কাজে ব্যবহার করবেন ঠিক করে ব্যবহার করুন প্রয়োজন মত।

তবে এখন খুব কম তৈরি হয় এই পাটি। গ্রামে গেলে মাঝে মাঝে দেখি।

 

গ্রামের মহিলারা অবসরে বুনিয়ে এক একটা পাটি তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় ৪-৬ মাস। আগেএকএকটাপাটি৫০-২০০টাকাপর্যন্তবিক্রয়করতেনসবমহিলারাক্ষুদ্রআয়প্রচেষ্টাপরিবারকেদিতেচেষ্টাকরতেনএকটুসচ্ছলতা

 

 

০ Likes ২ Comments ০ Share ৪৫৩ Views

Comments (2)

  • - জাহাঙ্গীর আলম

    লেখাগুলা বোল্ড কিল্লাই নরমাল করেন পড়তে সুবিধা হইব ৷ সুন্দর ছবির জন্য ধন্যবাদ কম, কয়টা তো মারাত্মক ভালা পাই ৷ ভাল মানুষের দেশে গেলেন কিন্তু ২/১ খান মানুষ কিংবা গাইড বা গ্রামবাসীর ছবি যোগ দিয়েন কিন্তু ৷অপেক্ষায় রইলাম ৷

    • - কামাল উদ্দিন

      লেখাগুলো বোল্ড হইছে কেন বুঝতে পারলাম না, যাই হোক, নেন চা খান

    • Load more relies...
    - ঘাস ফুল

    ভাইজান ঐটা কী সাপ আছিল। সাপ দেখতে পছন্দ করি কিন্তু ভয় পাই।  

    মারাত্মক সব দেখলাম। আগামী পর্বে শেষ ক্যান? ঝোলা খালি হইয়া গেছে? 

    • - কামাল উদ্দিন

      হ ভাই, ঝোলাটা এক্কেবারে খালি

    - মাঈনউদ্দিন মইনুল

    সুন্দর.... 

    সাপের ছবি জুম না করলে কিন্তু ছোবল খাবেন, এরা মডেলিং পছন্দ ন খরে! .... খিয়াল কইরা 

    • - কামাল উদ্দিন

      ধন্যবাদ মইনুল ভাই, আপনার পরামর্শ মনে থাকবে

    Load more comments...