ব্রিটিশ নাবিক ও ক্যাপ্টেন জেমস কুক এবং স্যার জোসেফ ব্যাংকস যখন প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া এলেন, তাঁরা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে খুবই মুগ্ধ হলেন। হঠাৎ তাঁরা দেখতে পেলেন যে, অদ্ভুত এক প্রানী তাদের সামনে ঘোরাফেরা করছে। প্রাণীটির চারটি পা থাকা সত্ত্বেও সেটি তার পিছনের দুই পায়ের সাহায্যে লম্বা লম্বা লাফে এগিয়ে চলে। তার সামনের পা দুটো অপেক্ষাকৃত ছোট, তাই প্রাণীটি তার লেজে ঠেস দিয়ে পিছনের দু’ পায়ের উপর ভর করে দাঁড়ায়। আরও বিস্ময়ের ব্যাপার হল প্রাণীটির পেটে একটি থলে আছে। তাতে করে প্রাণীটি তার শাবককে অনায়াশে বয়ে বেড়াতে পারে। ভীষণ কৌতূহলী হয়ে ক্যাপ্টেন জেমস কুক এবং স্যার জোসেফ ব্যাংকস ওখানকার স্থানীয় এক অধিবাসীকে জিজ্ঞেস করল “What the creature is called?” বেচারা লোকটি যেন আগত এই সাহেবদের দেখে ততোধিক বিস্মিত! এমন সাদা চামড়ার মানুষ এর আগে আর কক্ষনই সে দেখেনি। তাদের সাদা সাদা চুল, নীল চোখ – সব দেখে সে তো একেবারে হতভম্ব। তার উপর তাদের ভাষা! সেটাতো আরও অদ্ভুত। তাদের প্রশ্নের মাথামুণ্ডু কিছুই সে বুঝতে পারল না। তাই সে তার Guugu Yimithirr (গুগু ইমিথির) ভাষায় বলল ‘Gangurru, ….. Gangurru’। ওদের Guugu Yimithirr ভাষায় যার মানে হল - “আমি তোমার ভাষা বুঝি না।” ওদিকে ক্যাপ্টেন জেমস কুক এবং স্যার জোসেফ ব্যাংকসও লোকটির কথা কিছুই বুঝল না। তার ফলে যা হবার তাই হল। তাঁরা ধরেই নিল যে, লোকটি বলছে প্রাণীটির নাম ‘Gangurru’ (গ্যাঙ্গুরু)। তাদের ব্রিটিশ উচ্চারনে তা গিয়ে দাঁড়ালো "kangaroo"। সেই থেকে আজব এই প্রাণীটির নাম হয়ে গেল "kangaroo" (ক্যাঙ্গারু)।
(০২/০১/২০১৪ইং)
Comments (23)
তোরে নিয়া
বলতে গিয়ে
এতোগুলো কথা,
কারো হাত
কারো পা-
কারো গেলো মাথা ।
ভাল লাগলো।
অভিনন্দন আপনাকে ভাই । আশা করি নিয়মিত দেখবেন , মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ , ভালো থাকবেন ।
সুন্দর লিখেছেন... শুভেচ্ছা রইলো
আপনাকে ও শুভেচ্ছা । আশা করি নিয়মিত দেখবেন , মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ , ভালো থাকবেন ।
সুন্দর লিখেছেন
আশা করি নিয়মিত দেখবেন , মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ , ভালো থাকবেন ।