Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

শাহ আজিজ

১০ বছর আগে

৭১সালে এই দিনে আমি এবং আমার সত্ত্বা

৭১ সালে আজকের অনুভূতি

 

আজ ভোর বেলাতে তোপধ্বনির গুরুধ্বনি ভুল করে বড়সড় বোমার আওয়াজ ভেবে শুরু করলাম আমার বিজয়ের অনুভূতি । ৭১এর ১৩ই ডিসেম্বর আমরা দু ভাই মুক্তাঞ্চলে ঢুকে পড়েছি । আমরা দীর্ঘ নৌকা ভ্রমনে কিন্তু পাকিস্তানী দখলকৃত এলাকা থেকে আসছি । দূর থেকে বোঝা যাচ্ছিল থানা ভবন এর পতাকা ঠিক পাকিস্তানী পতাকা লাগছে না । আমি দাড় বাওয়া বন্ধ করে মাথা ঘুরিয়ে এক নজরে তাকিয়ে দুরের পতাকার দিকে । মেজ ভাই ছইএর ভিতর দিয়ে এগিয়ে আমার পাশে দাঁড়ালেন । মাঝি এখন একাই নৌকা বাইছে জোয়ারের বিপরীতে । মৃদু বাতাসে পতাকা নড়ছে বটে তবে পুরোপুরি বোঝার মতো নয়, আমাদের গ্রাম কি এখনো পাকিস্তানী দখলে ! হটাত দমকা বাতাসে খুলে গেল পুরো পতাকা । আরে এযে স্বাধীনবাংলার পতাকা ! আনন্দে দু ভাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম , একসাথে চিৎকার করে উঠলাম “ জয় বাংলা”। পশুর নদীর পারে রামপাল এসে নামলাম । অন্য ভাইয়েরা দৌড়ে এলো আমাদের দিকে । আমরা ভীষণ ক্ষুধার্ত । মাঝিকে বললাম খেয়ে নিতে । মাঝি তার থালা দিয়ে বলল ভাত তরকারি ওটায় দিতে কারন ও এই জোয়ারে কম কষ্টে বেয়ে ফিরবে তাও রাত হয়ে যাবে বাড়ি ফিরতে । তাই হল। কিন্তু এক অদ্ভুত চিন্তা পেয়ে বসল ,তা হল মাঝি এখন স্বাধীন মুক্তাঞ্চল থেকে আবারো পাক নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ফিরে যাবে । দীর্ঘ নদীপথ । মাঝি চলে গেল ।

আমরা মেতে উঠলাম আনন্দে ফিরে আসা পরিচিত যোদ্ধাদের সাথে । ওরা সতর্ক রাজাকারদের আক্রমনের হুমকিতে । ক জায়গায় মেশিনগান পোস্ট বসেছে । গত ন মাসের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মুখগুলিতে সে কি হাসি । ওরা জানতে চাইল খুলনা শহরের পরিস্থিতি । ভারতীয় বাহিনী খুলনার দারপ্রান্তে । রূপসা নদিতে ভারতীয় গানবোটের উপর ভারতীয় বিমানের বোমা বর্ষণ । ওরা পাকিস্থানি পতাকা লাগিয়ে বলতে গেলে ঢুকে গিয়েছিল । যদি আর আধা ঘণ্টা পেত তাহলে যুগপৎ বিমান ও গানবোটের আক্রমনে খুলনা শহরের ঠিক কি অবস্থা হত ভাবতেই গা শিউরে ওঠে এখনো । গানবোট ধ্বংসের পরদিনই হাজারও জনতার সাথে আমরা বাড়ন্ত দুভাই সবার চাপে শহর ছাড়লাম ।

১৬ই ডিসেম্বর আকাশবাণীতে সন্ধ্যাবেলায় দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁপানো কান্নাজড়িত কণ্ঠে একটি স্বাধীন দেশের জন্মলগ্নের আবেগমথিত বানী পড়ে শোনালেন । আমরা চোখ মুছলাম আমাদের ৯মাসের এক বীর মিডিয়া সহযোদ্ধার সাথে।

আজ ৪২ বছর বাদে আমাদের জীবন হুমকির মুখে । উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সর্বত্র পাকিস্থানি ধারার একটি ঘরানা গড়ে উঠেছে । এ ঘরানায় যারা আছে তারা সবাই শাসক যারা ৪২ টি বছর শাসন করেছে অদল বদলের আঁতাত করে । একজন পুচকে মোল্লার ফাসিতে যে ভাবে ফুঁসে উঠেছে সারা দেশ তাতে এই ই মনে আসে এই ফুঁসে ওঠার আস্কারা শাসকরাই দিয়েছে ।

কিন্তু কেন ??

জবাব না দিয়ে পালাতে দেবনা শয়তান ।

০ Likes ৫ Comments ০ Share ৩৬৪ Views

Comments (5)

  • - ধ্রুব তারা

    ধন্যবাদ আপনাকে